এসএসসি বাংলা ১ম পত্র - মানুষ মুহম্মদ (স.)

মানুষ মুহম্মদ (স.)

চরিত্র পরিচিতি

আয়িশা

আরিশা বিনতে আবু বকর ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মদের স্ত্রীগণের মধ্যে একজন। তিনি ছিলেন মুহাম্মাদের তৃতীর স্ত্রী এবং তাঁর সকল বিবাহিত স্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র কুমারী নারী ইসলামের ঐতিহ্য অনুসারে, তাকে "উম্মুল মু'মিনিন" বা "বিশ্বাসীদের মাতা" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মুসলিম সম্প্রদায় তাকে মুহাম্মদের স্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধা করে থাকেন। এছাড়া ইসলামের ঐতিহ্যগত ইতিহাসেও তার অবদান অনস্বীকার্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খালিদ

খালিদ বিন ওয়ালিদ বিন মুগিরা বিন আব্দুল্লাহ বিন ওমর বিন মাখজুম আল-কুরাইশি আল-মাখজুমি (মৃঃ ৬৪২) ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ), খলিফা আবু বকর (শা. ৬৩২-৬৩৪) এবং উমরের (শা. ৬৩৪-৬৪৪) সেবায় একজন আরব মুসলিম সামরিক সেনাপতি, যিনি ৬৩২-৬৩৩ সালে আরবে বিদ্রোহী উপজাতিদের বিরুদ্ধে রিদ্দার যুদ্ধ, ৬৩৩-৬৩৪ সালে সাসানীয়া ইরাক এবং ৬৩৪-৬৩৮ সালে বাইজেন্টাইন সিরিয়াতে মুসলিম বিজয়ের প্রথম দিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।

খাদিজা

খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (প্রতিবর্ণীকৃত: খাদিজাতু বিনতে খুওয়াইলিদ; আনু, ৫৫৫ ৬২০) ছিলেন ইসলামের নবী মোহাম্মাদ সা. এর প্রথম স্ত্রী এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি তিনি সাধারণত খাদিজা বা খাদিজাতুল কুবরা নামে পরিচিত। খাদিজা ছিলেন মক্কার কুরাইশ বংশের নেতা খুওয়ালিদ ইবনে আসাদের কন্যা এবং নিজ প্রচেষ্টায় সফল একজন ধনাঢ্য ও ব্যবসায়ী মহিলা। খাদিজাকে মুসলমানরা উম্মুল মুমিনিন (মুসলমানদের মাতা) বলে উল্লেখ করে থাকেন এবং তাঁর নামের শেষে সম্মান ও প্রার্থনা হিসেবে রাজিআল্লাহু আনহা (আল্লাহ তাঁর ওপর সন্তুষ্ট থাকুক) বলে থাকেন।

আবু বকর

আবু বকর ইবনে কুহাফা (২৭ অক্টোবর, ৫৭৩-২৩ আগস্ট, ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একজন প্রধান সাহাবি, ইসলামের প্রথম খলিফা। প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে তিনি একজন এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীর সম্মান তাকেই দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি রাসুল মুহাম্মাদের শ্বশুর ছিলেন। মুহাম্মাদ সা. এর মৃত্যুর পর তিনি খলিফা নির্বাচিত হন এবং মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন। মুহাম্মাদ সা. এর প্রতি অতুলনীয় বিশ্বাসের জন্য তাকে "সিদ্দিক" বা বিশ্বস্ত উপাধি প্রদান করা হয়। মিরাজের ঘটনা তিনি এক ব্যক্তির কাছে শুনেই বিশ্বাস করেন। তাই তাঁর নামের শেষে "সিদ্দিক" উপাধি যুক্ত করে তাকে! আবু বকর সিদ্দিক" নামে সম্বোধন করা হয়।

উমর

হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহু (৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দ ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ও প্রধান সাহাবীদের অন্যতম।

আবু বকরের মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

উমর ইসলামী আইনের একজন অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ ছিলেন। ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন করার কারণে তাকে ফারুক (সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধি দেওয়া হয়। আমিরুল মুমিনীন উপাধিটি সর্বপ্রথম তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। ইতিহাসে তাকে প্রথম উমর হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। নামের মিল থাকার কারণে পরবর্তী কালের উমাইয়া খলীফাহ্ উমর বিন আব্দিল আযীযকে দ্বিতীয় উমর হিসেবে সম্বোধন করা হয়। সাহাবীদের মর্যাদার ক্ষেত্রে সুন্নীদের কাছে আবূ বাক্সের পর উমরের অবস্থান। শিয়া সম্প্রদায় উমরের এই অবস্থান স্বীকার করে না। এছাড়াও তিনি ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মাদের শ্বশুর, যেহেতু উমরের মেয়ে হাফছাহ বিন্ত উমর ছিলেন মুহাম্মাদের স্ত্রী।

যুদ্ধসমূহ

বদরের যুদ্ধ

বদরের যুদ্ধ (২ হিজরির ১৭ রমজান (১৭ মার্চ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে এটি প্রথম প্রধান যুদ্ধ। এতে জয়ের ফলে মুসলিমদের ক্ষমতা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পায়।

যুদ্ধের পূর্বে ৬২৩ থেকে ৬২৪ সালের মধ্যে মুসলিম ও কুরাইশদের মধ্যে বেশ কিছু খন্ডযুদ্ধ হয়। বদর ছিল দুই বাহিনীর মধ্যে প্রথম বড় আকারের যুদ্ধ। যুদ্ধে মুসলিমদের বিপক্ষের আবু জাহল (আমর ইবনে হিশাম), উতবা ইবনে রাবিয়া, উমাইয়া ইবনে খালাফ, শায়বা ইবনে রাবিয়া' ওয়ালিদ ইবনে উতবা, 'উদ্ভবা ইবনে আবি মুইত নিহত হয়। মুসলিমদের বিজয়ে অন্যদের কাছে বার্তা পৌঁছায় যে মুসলিমরা আরবে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং এর ফলে নেতা হিসেবে মুহাম্মাদের অবস্থান দৃঢ় হয়।

৩১৩ জন, ২টি ঘোড়া, ৭০টি উট

১০০০ জন পদাতিক, ১০০টি ঘোড়া, ৭০০টি উট

উহুদের যুদ্ধ

উহুদের যুদ্ধ উহুদ পর্বতের সংলগ্ন স্থানে সংঘটিত হয়। মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এই দুই পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন যথাক্রমে মুহাম্মাদ (সঃ) ও আবু সুফিয়ান। ইসলামের ইতিহাসে সংঘটিত প্রধান যুদ্ধসমূহের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। এর পূর্বে ৬২৪ সালে এই দুইপক্ষের মধ্যে বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। বদরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মক্কার পক্ষ থেকে এই যুদ্ধের সূচনা করা হয়েছিল। প্রথম দিকে মুসলিমরা সুবিধাজনক স্থানে থাকলেও এক পর্যায়ে যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ কুরাইশদের হাতে চলে যায়। বিশৃখল অবস্থায় পড়ে যাওয়া মুসলিমরা এরপর পর্বতে জমায়েত হতে সক্ষম হয়। কুরাইশরা এরপর আর অগ্রসর হয়নি এবং যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ীদের তিনদিন অবস্থানের তৎকালীন রীতি পালন না করে ফিরে যায়। ফলে শেষপর্যায়ে মুসলিমদের তুলনামূলক বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও কুরাইশদের সুবিধাজনক অবস্থান সত্ত্বেও যুদ্ধের ফলাফল অমীমাংসিত রয়ে যায়।

৭০০ জন, ৫০ তীরন্দাজ, ৪টি ঘোড়া ৩,০০০ জন, ৩,০০টি উট, ২০০টি ঘোড়া

খন্ডক বা আহজাবের যুদ্ধ যার অর্থ জোটের যুদ্ধ

কুরাইশদের সাথে বনু নাদির ও বনু কাইনুকা জোট গঠন করে মদিনা আক্রমণ করেছিল। ইতিপূর্বে বনু নাদির ও বনু কাইনুকা গোত্রকে বিশ্বাসঘাতকতার কারণে মদিনা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাই প্রতিশোধ হিসেবে তারা কুরাইশদের সাথে জোট গঠন করে। ৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। জোট বাহিনীর সেনাসংখ্যা ছিল প্রায় ১০,০০০ এবং সেসাথে তাদের ৬০০ ঘোড়া ও কিছু উট ছিল। অন্যদিকে মদিনার বাহিনীতে সেনাসংখ্যা ছিল ৩,০০০।

পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনায় যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণকারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে।

হুদাইবিয়ার সন্ধি

হুদাইবিয়ার সন্ধি (ষষ্ঠ হিজরীর জ্বিলকদ মাসে (মার্চের ৬২৮ খ্রীষ্টাব্দে) মদিনা শহরবাসী এবং কুরাইশ গোত্রের মধ্যে সম্পাদিত একটি ঐতিহাসিক সন্ধিচুক্তি। এই সন্ধিচুক্তিটি একটি দশ বছর শান্তি প্রতিষ্ঠিত করে এবং মুহাম্মাদকে পরের বছর হজ্জের সময় মক্কার দিকে আসতে অনুমোদন করে।

হুদাইবিয়ার সন্ধি

  • মুসলিমগণ এ বছর উমরাহ না করেই মদীনায় ফিরে যাবে।
  • আগামী বছর উমরাহের জন্য এসে তারা ৩দিন মক্কায় অবস্থান করতে পারবে এবং তাদের প্রস্থানকালে কুরাইশরা মক্কা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাবে।
  • কুরাইশদের এবং মুসলিমদের মধ্যে আগামী ১০বছর যুদ্ধ বন্ধ থাকবে।
  • কুরাইশদের কেউ মদীনায় আশ্রয় নিলে তাকে ফেরত দেওয়া যাবে। কিন্তু মদীনার কোন মুসলিম মক্কায় আশ্রয় নিলে, তাকে ফেরত দেয়া যাবেনা।
  • আরবের যেকোন গোত্রের লোক মুসলিমদের বা কুরাইশদের সাথে সন্ধিচুক্তিসূত্রে বন্ধনাবদ্ধ হয়ে যাবে।
  • মক্কায় ব্যবসায়ীরা নিরাপদে মদীনার পথানুসরণ সিরিয়া, মিশর ইত্যাদি দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে।
  • মক্কায় বাসিন্দা মুসলিমদের জানমালের কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া যাবে।
  • সন্ধিচুক্তিতে স্বাক্ষরদাতার পক্ষদ্বয় একে অপরের ধনসম্পদকে সম্মান ও রক্ষা করবে।
  • মক্কায় প্রবেশকালে মুসলিমরা বর্শা বা ফলা আনা যাবেনা। আত্মরক্ষার জন্য কোষবন্ধ তলোয়ার বা তরবারি আনা যাবে।
  • সন্ধির শর্তাবলি উভয় পক্ষকে পরিপূর্ণভাবে পালন করতে হবে।

পাঠ পরিচিতি

হযরত মুহম্মদ (স.)-এর মানবিক গুণাবলি এ প্রবন্ধে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। হযরত ছিলেন মানুষের নবি।

মানুষ হিসেবে হযরতের বৈশিষ্ট্যের আলোচনাই এ প্রবন্ধের প্রতিপাদ্য বিষয়।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন


১। 'পুলকদীপ্তি' অর্থ কী?

উত্তর: আনন্দের উদ্ভাস।

২। ছাত্রজীবনে মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কোন আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন?

উত্তর: অসহযোগ আন্দোলন।

৩। মানুষ মুহম্মদ (স.)' রচনাটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

উত্তর: মরু ভাস্কর।

৪। তায়েফের অবস্থান কোথায়?


উত্তর: সৌদি আরবের দক্ষিণ অঞ্চল

৫। 'পৌত্তলিক' শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: মূর্তিপূজক।

৬। 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধে 'স্থিতধী' বলা হয়েছে কাকে?

উত্তর: হযরত আবু বকর (রা:)।

৭। কোনটি হযরতের সচেতন চিত্তে মুহূর্তের জন্যও স্থান লাভকরেনি?

উত্তর: বংশ গৌরব।


৮। হযরত মুহম্মদ (স.) অজেয় হয়েছিলেন কীসের দ্বারা?

উত্তর: সততা ও বিশ্বাসের দ্বারা।

৯। আহযাবের যুদ্ধ' এর অপর নাম কি?

উত্তর: খন্দকের যুদ্ধ।

১০। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী কত সালে কলকাতা ছেড়ে বাঁশদহ ফিরে আসেন?

উত্তর: ১৯৫৩ সালে।

১১। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর রচনার বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর: সহজ সরল প্রকাশভঙ্গি।

১২। 'অরাতি' শব্দটির অর্থ কী?

উত্তর: অরাতি অর্থ শত্রু।

১৩। 'সমাচ্ছন্ন' শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: অভিভূত।

১৪। হযরত ইব্রাহিম (আ) এর স্ত্রীর নাম কী?

উত্তর: বিবি হাজেরা।

১৫। আয়েশা (রা.) কার কন্যা ছিলেন?

উত্তর: হযরত আবু বকর (রা:)।

১৬। কার গম্ভীর উক্তিতে সকলের চৈতন্য হয়েছিল?

উত্তর: হযরত আবু বকর (রা:)।

১৭। আবু মা'বদ কী চরাতেন?

উত্তর: মেষপাল।

১৮। 'যে বলিবে হযরত মরিয়াছেন, তাহার মাথা যাইবে'- উক্তিটি কার?

উত্তর: বীরবাহু ওমর (রা:)।

১৯। হযরত ওমর (রা) কার কন্ঠে কোরআনের বাণী শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনকে?

উত্তর: ভগ্নির কন্ঠ

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

১। মানুষের একজন হইয়াও হযরত মুহম্মদ (স.) দুর্লভ কেন?

উত্তর: হযরত মুহম্মদ (স.) একমাত্র ব্যক্তি যিনি সকল মানবীয় গুণাবলির অধিকারী ছিলেন। তাই তিনি মানুষের একজন হয়েও দুর্লভ।

২। খাদিজা (রা)-র হযরত মুহম্মদ (স.)-কে পছন্দ করার কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: হযরত মুহম্মদ (স.)-এর বিশ্বস্ততা, সততা ও চারিত্রিক সৎ গুণাবলির কারণে বিবি খাদিজা তাঁকে পছন্দ করেন।

৩। 'তাঁহারই দিকে সকলের মহাযাত্রা'। কেন? বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর: এখানে তাহারই দিকে সকলের মহাযাত্রা বলতে সকল সৃষ্টির অবধারিত মৃত্যু তথা স্রষ্টার দিকে ফিরে যাওয়াকে বুঝানো হয়েছে।

৪। বড় সুন্দর বড় মনোহর সেই অপরূপ রূপের অধিকারী' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: 'বড় সুন্দর, মড় মনোহর সেই অপরূপ রূপের অধিকারী' বলতে হযরত মুহম্মদ (স.) এর সৌন্দর্যের কথা বোঝানো হয়েছে।

৫। হযরত মুহম্মদ (স.) কে কেন বজ্রের মতো কঠিন, কুসুমের মতো কোমল বলা হয়েছে?

উত্তর: মহানবী (স.) ছিলেন সত্যের সাথে আপোষ হীন, সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে বজ্রের মতো কঠিন। কিন্তু করুণায় মুহম্মদ (স.) ছিলেন কুসুমের মতো কোমল।

৬। মানুষ ত্রুটির অধীন, হযরতও মানুষ'-এ কথা কেন বলা হয়েছে?

উত্তর: মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। হযরত মুহম্মদ (স.) একজন মানুষ, তাঁরও ভুল আছে। তাঁর ভুলের কথা স্মরণ করে লেখক এ কথা বলেছেন।

৭। 'আমি রাজা নই, সম্রাট নই, মানুষের প্রভু নই।'-ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: মহানবী (স.) তাঁর সাধারণত্ব বুঝানোর জন্য জনৈক ব্যক্তিকে এ কথা বলেন।

৮। তিনি রাসুল, কিন্তু তিনি মানুষ, আমাদেরই মতো দুঃখ বেদনা, জীবন-মৃত্যুর অধীন রক্ত-মাংসে গঠিত মানুষ।'-উক্তিটি দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?

উত্তর: হযরত আবুবকর (রা) এর এই উক্তির মাধ্যমে মানুষের নশ্বরতাকে এবং মুহম্মদ (স.) এর বাইরে নন- এ কথা বুঝানো হয়েছে।

সৃজনশীল এর গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:

  • সহিষ্ণু, উদার ও ক্ষমাশীল
  • সততা, সহনশীলতা, প্রতিরোধ, বিমুখ মানসিকতা।
  • হযরত মুহম্মদ (স) সর্বোৎকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী মানবীয় ক্ষমতাশীলতার দিক প্রতিফলিত হবে।

সৃজনশীল প্রশ্ন

১. আনোয়ার সাহেব অত্যন্ত সৎ ও বিচক্ষণ মানুষ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। তিনি তার কর্মস্থলে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এ বিষয়টিকেই কিছু সহকর্মী বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে এবং সুযোগ পেলেই তারা তাকে অপদস্ত করার চেষ্টা করে। আনোয়ার সাহেব সব বুঝতে পারলেও তাঁর অবস্থান থেকে সরে পড়েননি বরং সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত সহকর্মীদের বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের কোন দিকটিকে আলোকপাত করে? ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) উদ্দীপকের আনোয়ার সাহেবের মাঝে যে গুণাবলি পরিলক্ষিত হয় তা 'মানুষ' মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন কর।

২. যে গেছে বুকেতে আঘাত হানিয়া তার লাগি আমি কাঁদি;

যে মোরে দিয়েছে বিষেভরা বাণ

আমি দেই তারে বুকভরা গান;

কাঁটা পেয়ে তারে ফুল করি দান সারাটি জনম-ভর

(গ) উদ্দীপকে 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) উদ্দীপকটি 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের সমগ্রভাবকে ধারণ করে কি? যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও।

৩. অর্ধ পৃথিবী করেছ শাসন ধুলায় তখতে বসি

খেজুর পাতার প্রাসাদ তোমার বারে বারে গেছে খসি

সাইমুম ঝড়ে পড়েছে কুটির তুমি পড়নি ক' নুয়ে,

উর্ধ্বের যারা পড়েছে তাহারা, তুমি ছিলে খাড়া ছুঁয়ে।

শত প্রলোভন বিলাস বাসন ঐশ্বর্যের মদ

করেছে সালাম দূর হতে সব ছুইতে পারেনি পদ।

(গ) 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) "উদ্দীপকের চেয়ে 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের ভাব অধিকতর গভীর ও ব্যাপক" মন্তব্যটির সাথে তুমি কি একমত? যুক্তিসহ লেখ।

৪. উদ্দীপক (i) তাহার প্রতি আমার রাগ-হিংসা-দ্বেষ কিছুই নাই। ঈশ্বরের নামে শপথ করিয়া বলিতেছি, আমার বিষদাতার মুক্তির জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিব।

উদ্দীপক (ii) প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় খুনোখুনি, মারামারি আর হিংসা-বিদ্বেষের খবর দেখে মাসুম খুব দুঃখিত হয়। সে ভাবে মানুষের মধ্যে সামান্য ধৈর্য্য মনে হয় নাই। অথচ মহানবী (স.) শত্রুর নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়েও তাদের মুক্তি কামনা করে স্রষ্টার কাছে মোনাজাত করে বলেছেন, "এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা করো।" মাসুম ভাবে, অথচ আমরা তাঁর অনুসারী হয়েও অন্যের অনিষ্ট করতে ব্যস্ত থাকি।

(গ) উদ্দীপক (ii)-এর মাসুমের ভাবনা 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের মানুষের পক্ষে যা আচরণীয় তার আদর্শ প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত বহন করে-উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।

(ঘ) উদ্দীপক দুইটির বিষয়বস্তু 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো