এসএসসি বাংলা ১ম পত্র - কপোতাক্ষ নদ (কনসেপ্ট নোট)

 

কপোতক্ষ নদ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত

কবি পরিচিতি:

নাম: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

জন্ম তারিখ: ২৫ জানুয়ারি, ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দ।

জন্ম পরিচয়:

জন্মস্থান: যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রাম।

শিক্ষাজীবন:

মায়ের তত্ত্বাবধানে গ্রামেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন।

কলকাতার লালবাজার গ্রামার স্কুল, হিন্দু কলেজ এবং পরবর্তীতে বিশল্প কলেজে ভর্তি হন।

বিশন্স কলেজে তিনি গ্রিক, লাতিন ও হিব্রু ভাষায় শিক্ষার সুযোগ পান।

তিনি ইংরেজি, সংস্কৃত, ফরাসি, জার্মান ও ইতালীয় ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য বিলেতে গিয়েছিলেন।

কর্মজীবন/পেশা:

প্রথম জীবনে আইন পেশায় জড়িত হলেও লেখালেখি করেই পরবর্তী সময়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন এবং পিতৃদত্ত নামের শুরুতে 'মাইকেল' শব্দ যোগ করেন।

সাহিত্যকর্ম

কাব্যগ্রন্থ: তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, মেঘনাদবধ-কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলি। তাছাড়া 'The Captive Ladie' ও 'Visions of the Past' তাঁর দুটি ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ।

নাটক: শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী, মায়াকানন (অসমাপ্ত)।

প্রহসন: একেই কি বলে সভ্যতা?, বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ।

ইংরেজি নাটক ও নাট্যানুবাদ: রিজিয়া, রত্নাবলি, শর্মিষ্ঠা।

গদ্য অনুবাদ: হেক্টর বধ।

তিনি বাংলায় চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেটের প্রবর্তক। তাঁর প্রবর্তিত ছন্দের নাম 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ'।

জীবনাবসান: ২৯ জুন, ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দ।


কবিতার মূলভাব:

কবিতায় কবির গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কপোতক্ষ নদের প্রতি তার গভীর ভালবাসার পরিচয় দিয়েছেন।

কবিতার সারসংক্ষেপ:


                    'কপোতাক্ষ নদ' চতুর্দশপদী কবিতায় কবি যশোরের সাগরদাঁড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কপোতাক্ষের প্রতি তাঁর গভীর প্রেমবোধের পরিচয় দিয়েছেন। শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত মাতৃরূপ কপোতাক্ষ নদকে স্মরণ করেছেন। জন্মভূমির শৈশব-কৈশোরের বেদনা-বিধুর স্মৃতি তাঁর মনে জাগিয়েছে কাতরতা। কবির মন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কপোতাক্ষের তীরে ফিরে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। কারণ জন্মভূমির এই নদ যেন মায়ের স্নেহ তাঁকে বেঁধেছে, কিছুতেই তিনি তাকে ভুলতে পারেন না। তাঁর মনে সন্দেহ জাগে, এই নদের দেখা কি তিনি আর পাবেন? তাই তিনি প্রিয় নদের কাছে মিনতি করে বলেন- যদি কোনোদিন তিনি কপোতাক্ষের তীরে আর ফিরে যেতে নাও পারেন তবু যেন কপোতাক্ষ কবিকে মনে রাখে, বাংলার কোটি মানুষের কাছে তাঁর কথা পৌঁছে দেয়; তাঁকে যেন স্মরণ করে।


চলো সহজভাবে কবিতার অর্থবুঝি:


লাইন ১: সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!
         সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;

ব্যাখ্যা: কপোতাক্ষ নদ কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাগরদাঁড়ি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ। শৈশবের নানা স্মৃতি কবির মনে ভিড় করে। ফলে কবি যখন একা থাকেন তখন এই নদের কথা ভাবেন। কপোতাক্ষের কথা সবসময় তাঁর মনে পড়ে। প্রবাসে কঠিন বাস্তবতায় কবি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন। কপোতাক্ষের স্মৃতি তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে।

লাইন ২: সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনে
শোনে মায়া-মন্ত্রধ্বনি) তব কলকলে

ব্যাখ্যা: রাতে মানুষ যেমন ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে, কবিও অনুরূপভাবে কপোতাক্ষকে নিয়ে স্বপ্নে দেখেন। স্বপ্নের মতো কপোতাক্ষের সব সুখ-স্মৃতি তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তিনি নদের কলকল শব্দে বয়ে চলা অনুভব করেন। তিনি যেন স্বপ্নের ঘোরে কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনতে পান।

লাইন ৩: বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে, কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?
 
ব্যাখ্যা: প্রবাসজীবনে কবি বহু নদ-নদী দেখেছেন, কিন্তু আর কোনো নদ-নদীর জল কপোতাক্ষের মতো তৃপ্তি দিতে পারেনি। কারণ শৈশব-কৈশোরে কপোতাক্ষই ছিল তাঁর ভালোবাসা। এই নদের সৌন্দর্য অনুভব করে এর জলেই তাঁর স্নেহের তৃষ্ণা মিটেছে।
বিদেশের কোনো নদ-নদীর জলে কিংবা সৌন্দর্যে, কবির সে তৃষ্ণা মেটেনি।

লাইন ৪: দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে।

ব্যাখ্যা: প্রবাসজীবনে কবি উপলব্ধি করেছেন তাঁর জন্মভূমির রূপসৌন্দর্যকে। কবির স্বদেশ প্রেম মূলত কপোতাক্ষ নদকে কেন্দ্র করে ফুটে উঠেছে। তিনি জন্মভূমির এই নদীর জলকে মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। প্রবাসজীবনের স্নেহহীন দুঃসময় কবির মনে যখন গভীর বেদনা সৃষ্টি করেছে, কপোতাক্ষ নদের স্বচ্ছ স্রোতধারা তখন কবির কল্পনায় ভূমিমাতার দুধের ফোয়ারা হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে

লাইন ৫: আর কি হে হবে দেখা?- যত দিন যাবে,

ব্যাখ্যা: কবি স্বদেশ ছেড়ে প্রবাসে গিয়ে শৈশব-স্মৃতিতে কাতর হয়ে পড়েছেন। বাস্তবতায় ফিরে এসে তার মনে জেগেছে নানা সন্দেহ, সংশয়। হাজার হাজার মাইল দূরে থাকা কপোতাক্ষ নদের সঙ্গে পুনরায় তার দেখা হওয়া নিয়েও সংশয়ের শেষ নেই। তিনি কি আবার সেই শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি জড়ানো কপোতাক্ষ নদকে দেখতে পাবেন?

লাইন ৬: প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে
      বারি-রূপ কর তুমি; এ মিনতি, গাবে
        বঙ্গজ জনের কানে, সখে, সখা-রীতে
        নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে

ব্যাখ্যা: কবি জানেন যে তাঁর শৈশবের নদটি আগের মতোই সাগরকে বারিরূপ (জল) কর দিয়ে যাচ্ছে। প্রজা যেমন রাজাকে কর বা রাজস্ব দেয়, তেমনই কপোতাক্ষ নদও সাগরকে জলরূপ কর বা রাজস্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের কানে কানে কররূপ সেই স্রোতধারা কলকল ধ্বনিতে সাগরের বুকে ছুটে চলছে। কবির প্রত্যাশা- এই নিরন্তর ছুটে চলার মধ্যে কপোতাক্ষ নদ যেন কবিকে স্নেহাদরে বন্ধু ভাবে। প্রেমভাবে যেন তাঁকে স্মরণ করে। কারণ কবি তাকে গভীর আবেগ, ভালোবাসায় স্মরণ করেছেন।

লাইন ৭: লইছে যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে।

ব্যাখ্যা: কবি শুধু জন্মভূমির প্রিয় নদকেই স্মরণ করেন না, কপোতাক্ষ নদ যে তাঁর স্বদেশের জন্য হৃদয়ের কাতরতা তাও তিনি বঙ্গবাসীর কাছে ব্যক্ত করেছেন। প্রবাসজীবনেও তিনি গানে, কবিতায় শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত নদের কথা লিখেছেন। তাঁর প্রিয় নদের নাম বঙ্গের সংগীতে রূপান্তরিত।


পাঠ্যবইয়ের অতিরিক্ত শব্দার্থ:

কপোতাক্ষ - যশোর জেলার একটি নদ বিশেষ- এই নদের তীরবর্তী সাগরদাঁড়ি গ্রাম মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি।

নদ- কপোতাক্ষ, বলেশ্বর, সিন্ধু, দামোদর, ব্রহ্মপুত্র প্রভৃতি নদ নামে অভিহিত।

মোর- আমার।

ভাবি- চিন্তা করি, মনে করি।

যেমতি- যেমন।

লোক- মানুষ, জন।

স্বপন - সুপ্ত বা নিদ্রিত অবস্থায় কোনো বিষয়ের প্রত্যক্ষবৎ অনুভব, নিদ্রিত অবস্থায় মনের ক্রিয়া বা অনুভূত বিষয়, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কল্পনা, কল্পনা, মিথ্যা আশা।

মায়া ইন্দ্রজাল, মোহ।

ছলনে- কাপট্যে, শঠতায়, ধাপ্পায়।

স্নেহ- আদর, সোহাগ, ভালোবাসা।

তৃষ্ণা - পিপাসা, প্রবল ইচ্ছা, আকাঙক্ষা।

মিনতি- অনুরোধ, উপরোধ।

গাবে- গাইবে।

বঙ্গজ- বাংলাদেশে জাত বা উৎপন্ন।

সখা-রীতে প্রেমরীতিতে, প্রেমভাবে, বন্ধুভাবে।

মজি- আনন্দিত হই, মুগ্ধ হই।

প্রবাসে- বিদেশে, পরবাসে।

সংগীত- গান, গান-বাজনা, গীতবাদ্য


গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতাটি কবির 'চতুর্দশপদী কবিতাবলি' থেকে নেওয়া হয়েছে।
  • 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতার আবরণে তাঁর দেশপ্রেম প্রকাশিত।
  • কপোতাক্ষ নদ' একটি চতুর্দশপদী কবিতা, ইংরেজিতে এ ধরনের কবিতাকে সনেট (Sonnet) বলা হয়।
  • চতুর্দশপদী কবিতা'র প্রধান বৈশিষ্ট্য চৌদ্দ-চরণ-সমন্বিত ভাবসংহত সুনির্দিষ্ট থাকা।
  • চতুর্দশপদী কবিতার দুটি অংশ থাকে- অষ্টক এবং ষটক।
  • চতুর্দশপদী কবিতার প্রথম আট চরণ বা লাইনের যে স্তবক থাকে তাকে বলে অষ্টক (Octave) এবং পরবর্তী বা শেষের ছয় চরণ বা লাইনের যে স্তবক থাকে তাকে ষটক (Sestet) বলে।
  • চতুর্দশপদী কবিতায় প্রতিফলিত ভাবের প্রবর্তনা থাকে অষ্টকে অর্থাৎ প্রথম আট লাইনে এবং ভাবের পরিণতি থাকে ষটকে অর্থাৎ শেষ ছয় লাইনে।
  • চতুর্দশপদী কবিতার বৈশিষ্ট্যানুসারে 'কপোতাক্ষ নদ' একটি চতুর্দশপদী কবিতা।
  • কপোতাক্ষ নদ' কবিতার অন্ত্যমিল বিন্যাস হচ্ছে- কখকখ কখখক এবং গঘগ ঘগঘ।
  • কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কপোতাক্ষ নদের জলকে কবি মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
  • জন্মভূমির এ নদ যেন মায়ের স্নেহডোরে কবিকে বেঁধেছে, তাই কিছুতেই তাঁকে তিনি ভুলতে পারেন না।
  • কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবি তাঁর স্বদেশের জন্য হৃদয়ের কাতরতা বঙ্গবাসীর কাছে ব্যক্ত করেছেন।
  • কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবি তাঁর শৈশব-কৈশোরের সঙ্গে মিশে থাকা এ নদের তীরে বেড়ে ওঠার স্মৃতি রোমন্থন করেছেন।
  • 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় প্রজারূপ বলতে কপোতাক্ষ নদকে এবং রাজরূপ বলতে সাগরকে বোঝানো হয়েছে. 

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। 'বিরলে' অর্থ কী? [কু. বো. '২২]

উত্তর: 'বিরলে' শব্দের অর্থ একান্ত নিরিবিলিতে।

প্রশ্ন ২। 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় অষ্টকের মিলবিন্যাস কী? [ব. বো. '২২; রা. বো, '২০]

উত্তর: 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় অষ্টকের মিলবিন্যাস হলো 'কখখক কখখক'।

প্রশ্ন ৩। সনেটের ষটকে কী থাকে? [ম. বো. '২২]

উত্তর: সনেটের ষটকে-কবিতার ভাবের পরিণতি থাকে।

প্রশ্ন ৪। 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতার আবরণে কী প্রকাশিত হয়েছে? [কু. বো. '২০]

উত্তর: 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতার আবরণে তাঁর অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্ন ৫। অষ্টক কী? [সি. বো. '২০]

উত্তর: চতুর্দশপদী কবিতার প্রথম আট চরণ হলো অষ্টক।

প্রশ্ন ৬। 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার প্রথম আট চরণের অন্ত্যমিল কী? [দি. বো. '২০]

উত্তর: 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার প্রথম আট চরণের অন্তমিল হলো-কখকখ কখখক।

প্রশ্ন ৭। সনেটের অষ্টকে মূলত কী রয়েছে? [ম. বো. '২০]

উত্তর: সনেটের অষ্টকে রয়েছে মূলত ভাবের প্রবর্তনা।

প্রশ্ন ৮। সব সময় কবির কার কথা মনে পড়ে? [কু. বো. '১৯]

উত্তর: সব সময় কবির কপোতাক্ষ নদের কথা মনে পড়ে।

প্রশ্ন ৯। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? [কু. বো. '১৭]

উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ১০। মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন কত সালে? [য. বো. '১৬]

উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন ১৮৪৩ সালে।

প্রশ্ন ১১। মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তির নাম কী?[দি. বো. '১৭, '১৬; ঢা. বো. '১৫; চ. বো. '১৫; সি. বো. '১৫]

উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তির নাম 'মেঘনাদ-বধ কাব্য'।

প্রশ্ন ১২। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত সালে পরলোকগমন করেন? [রা. বো. '১৫]

উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৭৩ সালে পরলোকগমন করেন।

প্রশ্ন ১৩। বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তন করেন কে?[কু. বো. '১৫]

উত্তর: বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তন করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

প্রশ্ন ১৪। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কয়টি প্রহসন রচনা করেছেন?[রংপুর ক্যাডেট কলেজ]

উত্তর: মাইকেল মধুসুদন দত্ত দুটি প্রহসন রচনা করেছেন

প্রশ্ন ১৫। 'বঙ্গজ জন' দ্বারা কাদের বোঝানো হয়েছে? [কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ]

উত্তর: 'বঙ্গজ জন' দ্বারা বোঝানো হয়েছে বঙ্গে বাস করে যে জন বা বাংলাদেশের অধিবাসী

প্রশ্ন ১৬। কপোতাক্ষ নদকে কবি কী বলে সম্বোধন করেছেন? [মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]

উত্তর: কপোতাক্ষ নদকে কবি 'সখা' বলে সম্বোধন করেছেন।

প্রশ্ন ১৭। 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবি বিরলে কার কথা ভাবেন?

উত্তর: কবি বিরলে কপোতাক্ষ নদের কথা ভাবেন।

প্রশ্ন ১৮। মধুসূদন বাংলা কাব্যে কোন ছন্দের প্রবর্তন করেন?

উত্তর: মধুসূদন বাংলা কাব্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন করেন।

প্রশ্ন ১৯। বহু দেশে কবি কী দেখেছেন?

উত্তর: বহু দেশে কবি বহু নদ-নদী বয়ে যেতে দেখেছেন।

প্রশ্ন ২০। কপোতাক্ষ নদ কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: বাংলাদেশের যশোর জেলায় কপোতাক্ষ নদ অবস্থিত।

প্রশ্ন ২১। "সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে"- কবি কার কথা ভাবেন?

উত্তর: সতত অর্থাৎ সর্বদাই কবি কপোতাক্ষ নদের কথা ভাবেন।

প্রশ্ন ২২। নদী কাকে প্রজারূপে বারি-রূপ কর দান করে?

উত্তর: নদী প্রজারূপে সাগরকে বারি-রূপ কর দান করে।

প্রশ্ন ২৩। 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতাটির উৎস কী?

উত্তর: 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতাটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের চতুর্দশপদী কবিতাবলি' থেকে গৃহীত হয়েছে।


অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। "জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে"- চরণটি ব্যাখ্যা কর। [চ. বো. '২৪]

অথবা, "জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে" বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? [য. বো, '২৩; ম. বো, '২৪]

উত্তর: 'জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!'- কথাটি দ্বারা কবি কল্পনায় কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনে ভুলের ছলনায় কান অর্থাৎ হৃদয় জুড়ানোর কথা বলেছেন।

'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবি খ্যাতি লাভের আশায় 'ইউরোপ চলে যান। কিন্তু দীর্ঘ প্রবাসজীবনে একসময় স্বদেশের প্রতি তাঁর তীব্র আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। তখন তিনি অবচেতন মনে প্রিয় নদ কপোতাক্ষের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। তিনি স্বদেশে ফিরে আসতে চান। কবি অবচেতন মনে নদের কলকল ধ্বনি শোনাকে 'জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে' বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রশ্ন ২। 'স্নেহের তৃষ্ণা' অর্থকী? ব্যাখ্যা কর [রংপুর ক্যাডেট কলেজ]

উত্তর: 'স্নেহের তৃষ্ণা' বলতে কবি জন্মভূমির প্রতি গভীর অনুরাগে কপোতাক্ষ নদের স্নেহধারা পাওয়ার ব্যাকুলতাকে বুঝিয়েছেন।

স্বদেশ থেকে বহু দূরে ফ্রান্সে বসবাস করার সময় কবি জন্মভূমির প্রতি গভীর টান অনুভব করেন। জন্মভূমির শৈশব-কৈশোরের অম্লমধুর স্মৃতি কবিকে কাতর করে। তিনি তাঁর গভীর অনুভবে থেকেও কপোতাক্ষ নদের জলধারার কলকল ধ্বনি শুনতে পান। এই নদ যেন কবিকে মায়ের স্নেহডোরে বেঁধে রেখেছে। তাই সেই নদের স্নেহধারা পেতে তিনি ব্যাকুল হন। তাঁর সমস্ত স্নেহ-তৃষ্ণার জল যেন বুকে ধারণ করে বয়ে চলেছে কপোতাক্ষ। পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরে বহু নদ-নদী তিনি দেখেছেন। তবু কপোতাক্ষকে তিনি ভুলতে পারেন না। কারণ কপোতাক্ষ তাঁকে যে মাতৃস্নেহে জড়িয়ে রেখেছে তা আর কোনো নদ-নদী পারেনি। তাই কবি স্বদেশে ফিরে গিয়ে মায়ের স্নেহডোরে নিজেকে বাঁধতে চান, কপোতাক্ষের জলে তাঁর স্নেহের তৃষ্ণা নিবারণ করতে চান।

প্রশ্ন ৩। 'দুগ্ধস্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে'- কথাটি বুঝিয়ে লেখ। [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]

উত্তর: 'দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে'- এই কথাটি দিয়ে কবি কপোতাক্ষ নদের মাতৃসম স্নেহধারাকে বুঝিয়েছেন। কবির জন্মভূমি মাতৃসম। মাতৃভূমির বুক চিরে বয়ে চলা কপোতাক্ষ নদ যেন 'দুগ্ধ-স্রোতোরূপী জন্মভূমি স্তনে'। এর মাতৃদুগ্ধসম জলধারা দু'তীরে প্রাণের সঞ্চার করে, প্রকৃতি হয় সমৃদ্ধ ও উর্বর। তাছাড়া কপোতাক্ষ নদের স্নেহধারায় সিক্ত হয়ে কবির শৈশব-কৈশোর কেটেছে। কপোতাক্ষ নদকে ঘিরে তাঁর অনেক আনন্দ-বেদনার স্মৃতি রয়েছে। মায়ের দুধ পান করে যেমন সন্তান পুষ্ট হয়, ঠিক তেমনই কপোতাক্ষ নদের জলধারা কবির হৃদয়কে তৃপ্ত করেছে। এ তৃপ্ততা কবি হৃদয়কে সর্বদা আচ্ছন্ন করে রেখেছে। এই কারণেই কবি কপোতাক্ষ নদকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করে আলোচ্য কথাটি বলেছেন।

প্রশ্ন ৪। কপোতাক্ষ নদের জলরাশিকে 'স্নেহের তৃষ্ণা' বলার কারণ কী? [মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]

উত্তর: কপোতাক্ষের প্রতি কবির গভীর অনুরাগের কারণে তিনি কপোতাক্ষ নদের জলরাশিকে' স্নেহের তৃষ্ণা' বলেছেন।

স্বদেশ থেকে বহু দূরে ফ্রান্সে বসবাস করার সময় কবি জন্মভূমির প্রতি গভীর টান অনুভব করেন। জন্মভূমির শৈশব-কৈশোরের কপোতাক্ষ নদের স্মৃতি কবিকে কাতর করে। প্রবাসে থেকেও কপোতাক্ষ নদের জলধারার কলকল ধ্বনি শুনতে পান। কপোতাক্ষের বুকে যে জলধারা প্রবাহিত হয় তা কবি পৃথিবীর আর কোনো নদ-নদীতে খুঁজে পান না। তাই কবির মধ্যে সেই স্নেহ পাওয়ার তৃষ্ণা থেকে যায়। একমাত্র কপোতাক্ষের জলই কবির তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারে বলেই কপোতাক্ষ নদের জলরাশিকে'স্নেহের তৃষ্ণা' বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ৫। কপোতাক্ষ নদের কথা কবির সবসময় মনে পড়ে কেন?

উত্তর: শৈশব স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের জল কবির কাছে মাতৃদুগ্ধের মতো, এ কারণে কপোতাক্ষ নদের কথা তাঁর সবসময় মনে পড়ে।

শিশুর জন্য মায়ের স্নেহ অকৃত্রিম। কবির কাছে তাঁর স্বদেশ মায়ের মতো স্নেহ-মমতার উৎস। মাতৃভূমিতে বয়ে চলা নদের জল কবির কাছে মাতৃদুগ্ধস্বরূপ। এই নদের জলেই কবি তৃষ্ণা নিবারণ করেছেন। এই নদের সঙ্গেই কেটেছে তাঁর শৈশবের দিনগুলো। তাঁর কাছেই মিটেছে তাঁর স্নেহ-তৃষ্ণা। তাই শৈশব-কৈশোরের কপোতাক্ষ নদকে কবি ভুলতে পারেন না।

প্রশ্ন ৬। কবি কপোতাক্ষ নদকে স্মরণ করেছেন কেন?

উত্তর: কবির শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিকে ধারণ করে আছে বলে কবি কপোতাক্ষ নদকে স্মরণ করেছেন।

'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবি স্বদেশে ও কপোতাক্ষ নদের প্রতি গভীর প্রেমভাব ব্যক্ত করেছেন। কবি প্রবাসে থেকে তাঁর স্বদেশের প্রিয় নদের কথা মনে করেছেন। কবি কল্পনায় কপোতাক্ষ নদের কলধ্বনি শুনতে পেয়েছেন। তাই নদের কাছে তাঁর সবিনয় মিনতি- বন্ধুভাবে তাকে তিনি স্নেহাদরে যেমন স্মরণ করেন, কপোতাক্ষও যেন একই প্রেমভাবে তাঁকে সস্নেহে স্মরণ করে। কপোতাক্ষ নদ যেন তাঁর স্বদেশের জন্য হৃদয়ের কাতরতা বঙ্গবাসীর কাছে ব্যক্ত করে।

প্রশ্ন ৭। 'কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে'- চরণে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? [মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]

উত্তর: 'কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে' বলতে কবি জন্মভূমির নদের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা বোঝাতে চেয়েছেন।

'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতার আবরণে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম। কবি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে এই নদের তীরে তিনি বড় হয়েছেন। জন্মভূমির এই নদের সঙ্গে কবির স্নেহ-মায়ার সম্পর্ক। তিনি প্রবাসজীবনে ফ্রান্সে বসেও এই নদের কথা ভুলতে পারেন না। এ নদের স্মৃতি মন থেকে মুছতে পারেন না। কবি অনেক দেশের অনেক নদ-নদী দেখেছেন কিন্তু কবিহৃদয়ের তৃষ্ণা তাতে নিবারণ হয়নি। কেবল কপোতাক্ষের জলই তা মেটাতে পারে। তাই আলোচ্য চরণের মধ্য দিয়ে কবির কপোতাক্ষ নদ ও জন্মভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে।

বহুনির্বাচনী

১. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতাটি রচনাকালে কবি কোন দেশে ছিলেন?

ক. ফ্রান্সে

খ. ইংল্যান্ডে

গ. ইতালিতে

ঘ. আমেরিকায়

উত্তর: ক. ফ্রান্সে

২. 'কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?'- এ উক্তিতে কবির কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে?

i. মমতা

ii. অনুরাগ

iii. ভ্রান্তি

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i

গ. i ও iii

খ. ii

ঘ. i, ii ও iii

[বি. দ্র. ক ও খ দুটিই সঠিক উত্তর]

উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪-সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও:

প্রবাস জীবনে ফাস্টফুডের দোকানে কত খাবার খেয়েছি আমি জীবনে। মায়ের হাতের পিঠার কথা ভুলি আমি কেমনে?

৩. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কোন বিষয়টি উদ্দীপকটিতে প্রকাশ পেয়েছে?

ক. সুখস্মৃতির অনুপম চিত্রায়ণ

খ. রঙিন কল্পনার নিদর্শন

গ. কষ্টকর স্মৃতির কাতরতা

ঘ. স্নেহাদরের কাতরতা

উত্তর: ঘ. স্নেহাদরের কাতরতা

৪. অনুচ্ছেদটির মূল বক্তব্য নিচের কোন চরণে ফুটে উঠেছে?

ক. সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে।

খ. জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে।

গ. এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?

ঘ. আর কি হে হবে দেখা?

উত্তর: গ. এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে

বিগত বছরের প্রশ্নোত্তর

৫. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার অষ্টকের মিল বিন্যাস কী? [ঢা. বো. '২২; সকল বোর্ড '১৮; রা. বো. '১৯; সি. বো. '১৯; দি. বো. '১৬]

 

ক. কখ খক কখ খক

গ. কখখগ কখখগ

খ. কখ কখ কখ কখ

ঘ. কখ কখ কখ খক

উত্তর: ঘ. কখ কখ কখ খক

৬. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির কাছে 'ভ্রান্তির ছলনা' কোনটি? [রা. বো. '২২]

ক. স্নেহের তৃষ্ণা

খ. নিশার স্বপন

গ. মায়া-মন্ত্রধ্বনি

ঘ. কপোতাক্ষের কলকল ধ্বনি

উত্তর: ঘ. কপোতাক্ষের কলকল ধ্বনি

৭. সনেটের অষ্টকে কী থাকে? [য. বো. '২২; দি. বো. '১৬]

ক. স্মৃতিকাতরতা

খ. অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম

গ. ভাবের পরিণতি

ঘ. ভাবের প্রবর্তনা

উত্তর: ঘ. ভাবের প্রবর্তনা

৮. 'প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে বারিরূপ কর তুমি।' এখানে বারিরূপ কর কে কাকে দেয়? [কু. বো. '২২]

ক. প্রজা রাজাকে

খ. কবি কপোতাক্ষকে

 গ. পর্বত নদীকে

ঘ. নদ সাগরকে

উত্তর: ঘ. নদ সাগরকে

 

৯. 'আর কি হে হবে দেখা?' এতে কী প্রকাশ পেয়েছে? [সি. বো. '২২]

অথবা, "আর কি হবে দেখা? যত দিন যাবে"- এখানে কবিমনের কোন অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে? [সি. বো. '১৭]

ক. স্মৃতি

খ. আকাঙক্ষা

গ. সংশয়

ঘ. প্রহসন

উত্তর: গ. সংশয়

১০. কপোতাক্ষ নদের জলকে কবি কিসের সাথে তুলনা করেছেন? [বি. বো. '২২]

ক. নিশার স্বপন

খ. স্নেহের তৃষ্ণা

গ. মায়া-মন্ত্রধ্বনি

ঘ. মাতৃদুগ্ধ

উত্তর: ঘ. মাতৃদুগ্ধ

১১. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় স্মৃতিকাতরতার আবরণে কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? [বি. বো. '২০]

ক. অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম

খ. শৈশবস্মৃতি

গ. নদীর প্রতি ভালোবাসা

ঘ. প্রকৃতির প্রতি মমতা

উত্তর: ক. অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম

১২. "আর কি হে হবে দেখা?- যত দিন যাবে"- 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার এই পঙ্ক্তির মাধ্যমে কবির কোন মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে? [ঢা. বো. '২০; ম. বো, '২২]

ক. আকাঙক্ষা

খ. আক্ষেপ

গ. আশঙ্কা

ঘ. আফসোস

উত্তর: খ. আক্ষেপ

১৩. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কোন চরণের মধ্যে সংশয়বোধ প্রকাশ পেয়েছে? [য. বো, '২০]

ক. সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে

খ. বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে

গ. আর কি হে হবে দেখা?- যত দিন যাবে

ঘ. লইছে যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে

উত্তর: গ. বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে

১৪. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার প্রেক্ষাপটে জন্মভূমির নদ কবিকে কোন স্নেহডোরে বেঁধেছে? [চ. বো. '২০]

ক. হৃদয় কাতরতার

খ. বঙ্গজ জনের

গ. জন্মভূমির

ঘ. মায়ের

উত্তর: ঘ. মায়ের

১৫. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় 'রাজা' কাকে বলা হয়েছে

ক. কপোতাক্ষ নদকে

খ. সাগরকে

গ. নদীকে

ঘ. কবির গ্রামকে

উত্তর: খ. সাগরকে

১৬. 'পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায় ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা সে কি ভোলা যায়?" উদ্দীপকে চিত্রায়িত ভাবনা কোন কবির ভাবনাকে পরিস্ফুটিত করে?

[বি. বো. '২০]

ক. মাইকেল মধুসূদন দত্ত

খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গ. লালন শাহ

ঘ. কাজী নজরুল ইসলাম

উত্তর: ক. মাইকেল মধুসূদন দত্ত

১৭. আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে হয়তো মানুষ নয় হয়তো শঙ্খচিল শালিকের বেশে হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে। উদ্দীপকটির সাথে নিচের কোন কবিতার মিল পাওয়া যায়? [ম. বো. '২০]

ক. বঙ্গবাণী

খ. কপোতাক্ষ নদ

গ. আমি কোনো আগন্তুক নই

ঘ. সেইদিন এই মাঠ

উত্তর: খ. কপোতাক্ষ নদ

১৮. 'কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই, কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই, আজ আর নেই।'-উদ্দীপকে 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? [ঢা. বো. '১৯]

ক. দেশপ্রেম

খ. স্মৃতিকাতরতা

গ. স্নেহকাতরতা

ঘ. অমরত্বের আকাঙক্ষা

উত্তর: খ. স্মৃতিকাতরতা

১৯. "বকুলতলার মেলা ভেঙেছে কবে হারিয়ে ফেলেছি পুরনো গান তবু মনে আজও বাজে সেই সুর সাথীদের সাথে মান-অভিমান।" উদ্দীপকের ভাবটি 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কোন পতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? [য. বো. '১৯]

ক. আর কি হে হবে দেখা

খ. কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?

গ. জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!

ঘ. লইছে যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে।

উত্তর: গ. জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!

২০. "মনে পড়ে সেই জ্যৈষ্ঠের দুপুরে, পাঠশালা পলায়ন"-পঙ্ক্তিটির সাথে 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার সাদৃশ্য কোথায়? [কু. বো. '১৯]

ক. স্মৃতিকাতরতায়

খ. কল্পনাপ্রবণতায়

গ. সুখের অনুভবে

ঘ. স্নেহের তৃষ্ণায়

উত্তর: ক. স্মৃতিকাতরতায়

২১. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কাকে প্রজা বলা হয়েছে? [ব. বো. '১৯; সকল বোর্ড ২০১৮]

ক. কপোতাক্ষ নদকে

খ. বারিকে

গ. সাগরকে

ঘ. দেশকে

উত্তর: ক. কপোতাক্ষ নদকে

২২. অবসাদে ঘুম নেমে এলে আবার দেখেছি ঝিকিমিকি সেই শর্বরী তিতাস। উক্ত কবিতাংশের ভাবের সঙ্গে 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার সাদৃশ্যগত চরণ কোনটি? [দি. বো. '১৯]

ক. বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে

খ. সতত, তোমার কথা ভাবি এ বিরলে

গ. আর কি হে হবে দেখা? যত দিন যাবে

ঘ. লইছে তব নাম বঙ্গের সংগীতে

উত্তর: খ. সতত, তোমার কথা ভাবি এ বিরলে

২৩. 'পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায় ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা সে কি ভোলা যায়।' 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার সাথে উদ্ধৃতাংশের মিল রয়েছে- [রা. বো. '১৭]

ক. স্বদেশ চেতনায়

খ. স্মৃতিকাতরতায়

গ. দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসায়

ঘ. অমরত্ব আকাঙক্ষায়

উত্তর: খ. স্মৃতিকাতরতায়

২৪. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার ষটকের ছন্দের মিল বা অন্ত্যমিল কোনটি? [য. বো. '১৭; ব. বো. '১৭]

ক. গঘঙ গঘঙ

গ. গঘগ ঘগঘ

খ. গঘগ গঘগ

ঘ. গঘঘ গঘগ

উত্তর: গ. গঘগ ঘগঘ

২৫. 'নয়ন সমুখে তুমি নাই নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই'

উদ্দীপকের ভাবটি ফুটে উঠেছে কোন চরণে? [কু. বো. '১৭]

ক. জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!,

খ. দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে।

গ. কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?

ঘ. সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!

উত্তর: ঘ. সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!

২৬. আর কি হে হবে দেখা?

এখানে প্রকাশ পেয়েছে কবির- [চ. বো. '১৭]

ক. অসহায়ত্ব

গ. সংকোচ

খ. অনিশ্চয়তা

ঘ. বিরহ

উত্তর: খ. অনিশ্চয়তা

২৭. মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি কোনটি? [দি. বো. '১৭]

ক. ব্রজাঙ্গনা কাব্য

গ. মেঘনাদ-বধ কাব্য

খ. বীরাঙ্গনা কাব্য

ঘ. তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য

উত্তর: গ. মেঘনাদ-বধ কাব্য

২৮. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতাটি রচনাকালে কবি কোন দেশে ছিলেন? [ঢা. বো. '১৬]

ক. ফ্রান্সে

খ. ভারতে

গ. ইতালিতে

ঘ. ইংল্যান্ডে

উত্তর: ক. ফ্রান্সে

২৯. বাংলা সাহিত্যে প্রথম ও সার্থক মহাকাব্য কোনটি? [দি. বো. '১৫]

ক. হেক্টর বধ

খ. বীরাঙ্গনা

গ. মেঘনাদ-বধ

ঘ. মহাশ্মশান

উত্তর: গ. মেঘনাদ-বধ

৩০. কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে? দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে। পঙ্ক্তিদ্বয়ে ফুটে উঠেছে- [ম. বো. '২০]

i. দেশপ্রেম

ii. স্মৃতিকাতরতা

iii. হৃদয়ের কাতরতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৩১. চতুর্দশপদী কবিতায় প্রচলিত অষ্টকের অন্ত্যমিল হচ্ছে-[চ. বো. '১৬]

i)কখখগ কখখগ

ii. কখগক কখগ

iii. কখখক কখখক

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

৩২. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় 'স্নেহের তৃষ্ণা' কথাটিতে প্রকাশ পেয়েছে কবির-- [সকল বোর্ড '১২]

i. স্মৃতিকাতরত

ii. স্বাজাত্যবোধ

iii. স্বদেশপ্রেম

নিচের কোনটি সঠ

ক. i

খ. ii

গ. i ও ii

ঘ. i ও iii

উত্তর: ঘ. i ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৩ ও ৩৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

"অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার লাভ করে তার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। হাজারো কর্মব্যস্ততার মধ্যেও তিনি ছুটে যান শৈশবের স্মৃতি-বিজড়িত বিদ্যাপীঠে, শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তাঁর দীক্ষাগুরুদের। যাঁদের কাছে তিনি হাতেখড়ি নিয়েছিলেন।" [চ. বো. '২২]

৩৩. উদ্দীপকে অমর্ত্য সেন ও মাইকেল মধুসূদন দত্তের মধ্যে সাদৃশ্য কিসে?

ক. স্মৃতিকাতরতায়

গ. দেশপ্রেমে

খ. স্বাজাত্যবোধে

ঘ. মহানুভবতায়

উত্তর: গ. দেশপ্রেমে

৩৪. উক্ত দিকটি বিশেষভাবে প্রকাশিত হয়েছে যে চরণে

ক. কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে

খ. সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে

গ. জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে

ঘ. লইছে যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে

উত্তর: ক. কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৫ ও ৩৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

সেই মনে পড়ে জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাহিকো ঘুম, অতিভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম। [দি. বো. '২০]

 ৩৫. কবিতাংশটি তোমার পঠিত কোন কবিতার ভাবকে ধারণ করেছে

ক. সেইদিন এই মাঠ

খ. আমি কোনো আগন্তুক নই

গ. কপোতাক্ষ নদ

ঘ. পল্লিজননী

উত্তর: গ. কপোতাক্ষ নদ

৩৬. উক্ত ভাব যে চরণে প্রতিফলিত-

ক. ছেলেরে তাহার ভালো করে দাও কাঁদে জননীর প্রাণ

খ. পৃথিবীর এই সব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল

গ. আমি স্বাপ্নিক নিয়মে এখানেই থাকি

ঘ. কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে

উত্তর: ঘ. কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে


প্র্যাকটিস

১. চতুর্দশপদী কবিতার অষ্টকে কী থাকে? [ঘ. বো. '২৪] অথবা, সনেটের অষ্টকে কী থাকে? [দি. বো. ১৬]

ক. স্মৃতিকাতরতা

খ. অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম

গ. ভাবের পরিণতি

ঘ. ভাবের প্রবর্তনা

২. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার "সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে"-এ পঙক্তিটির মধ্যে কোন ভাবটি ফুটে উঠেছে?[কু. বো. '২৪]

ক. স্বদেশপ্রেম

খ. স্মৃতিকাতরতা

গ. ভ্রান্তির ছলনা

ঘ. মায়ের স্নেহডোর

৩. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কপোতাক্ষ নদের কাছে কী মিনতি করেছেন? [চ. বো, '২৪]

ক. নিরবধি বয়ে চলতে

খ. বঙ্গজ জনের কানে গান গাইতে

গ. প্রজারূপে রাজাকে কর দিতে

ঘ. প্রেম-ভাবে তাকে স্মরণ করতে

৪. "আর কি হে হবে দেখা" চরণ দ্বারা কোনটি বোঝানো হয়েছে? [ব. বো. '২৪]

ক. নদকে দেখার তীব্র আকাঙক্ষা

খ. স্বদেশের প্রতি গভীর উপলব্ধি

গ. অন্তরের আকুল আকৃতি

ঘ. স্বদেশের প্রতি অনুশোচনা

৫. "কপোতাক্ষ নদ" কবিতায় ষটক-এর মেলবন্ধন কোনটি? [ম. বো. '২৪]

ক. ঘঙচ-ঘঙচ

খ. ঘঙ ঘঙ-চর্চ

গ. কখ-কখ-কখ

ঘ. গঘগ-ঘগঘ

[বি.দ্র. সঠিক উত্তর: গঘগ-ঘগঘ।]

৬. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার শেষ পঙ্ক্তি কোনটি?[য. বো. '২৩]

ক. জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!

খ. দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে

গ. বঙ্গজ জনের কানে, সখে, সখা-রীতে

ঘ. লইছে যে নাম তব বঙ্গের সংগীতে

৭. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবি সাগরকে কীরূপে কল্পনা করেছেন? [য. বো. '২৩]

ক. রাজা

খ. প্রজা

গ. মাতা

ঘ. সখা

৮. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির কাছে মায়া মন্ত্রধ্বনি হলো, কপোতাক্ষ নদের- [কু. বো. '২০]

ক. চির চলমানতা

খ. কলকল শব্দ

গ. দুগ্ধরূপ স্রোত

ঘ. অম্লান স্মৃতি

৯. বাংলা ভাষার মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত ছন্দ কোনটি? [ব. বো. '২৩]

ক. স্বরবৃত্ত

গ. গদ্য ছন্দ

খ. অমিত্রাক্ষর

ঘ. মাত্রাবৃত্ত

১০. প্রবাস জীবনে কবি কাকে প্রেমভাবে স্মরণ করেছেন?[দি. বো. '২৩]

ক. বঙ্গভূমিকে

খ. বঙ্গবাসীকে

গ. রাজা-প্রজাকে

ঘ. কপোতাক্ষ নদকে

১১. সনেটের ষটকে কী থাকে? [ম. বো. '২৩]

ক. ভাবের উদ্ভব

খ. ভাবের প্রবর্তনা

গ. ভাবের পরিণতি

ঘ. ভাবের উচ্ছ্বাস

১২. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার অষ্টকের মিল বিন্যাস কী

[ঢা. বো. '২২; সকল বোর্ড '১১; রা. বো. '১৯; সি. বো. '১৯; দি. বো. '১৬]

ক. কখ খক কখ খক

খ. কখ কখ কখ কখ

গ. কখখগ কখ খগ

ঘ. কখ কখ কখ খক

১৩. "আর কি হবে দেখা? যত দিন যাবে"- এখানে কবিমনের কোন অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে? [চ. বো. '২৩; সি. বো. '১৭]

ক. স্মৃতি

খ. আকাঙক্ষা

গ. সংশয়

ঘ. প্রহসন

১৪. কপোতাক্ষ নদের জলকে কবি কিসের সাথে তুলনা করেছেন? [ব. বো. '২২]

ক. নিশার স্বপন

খ. স্নেহের তৃষ্ণ

গ. মায়া-মন্ত্রধ্বনি

ঘ. মাতৃদুগ্ধ

১৫. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার প্রেক্ষাপটে জন্মভূমির নদ কবিকে কোন স্নেহডোরে বেঁধেছে? [চ. বো. '২০]

ক. হৃদয় কাতরতার

খ. বঙ্গজ জনের

গ. জন্মভূমির

ঘ. মায়ের

১৬. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় 'রাজা' কাকে বলা হয়েছে?[সি. বো. '২০]

ক. কপোতাক্ষ নদকে

গ. নদীকে

খ. সাগরকে

ঘ. কবির গান   

১৭. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কাকে প্রজা বলা হয়েছে?

[ব. বো. '১৯; সকল বোর্ড ২০১৮]

ক. কপোতাক্ষ নদকে

খ. বারিকে

গ. সাগরকে

ঘ. দেশকে

১৮. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার ষটকের ছন্দমিল বা অন্ত্যমিল কোনটি? [য. বো. '১৭; ব. বো. '১৭]

ক. গঘঙ গঘঙ

খ. গঘঘ গঘঘ

গ. গঘগ ঘঙঘ

ঘ. গঘগ ঘগঘ

১৯. মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি কোনটি?

[সি. বো. '২৩; দি. বো. '১৭]

ক. ব্রজাঙ্গনা কাব্য

খ. বীরাঙ্গনা কাব্য

গ. মেঘনাদ-বধ কাব্য

ঘ. তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য

২০. কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে? দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে। পতিদ্বয়ে ফুটে উঠেছে-

[ম. বো. '২০

i. দেশপ্রেম

ii. স্মৃতিকাতরতা

iii. হৃদয়ের কাতরতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও ii

২১. চতুর্দশপদী কবিতায় প্রচলিত অষ্টকের অন্ত্যমিল হচ্ছে

[চ. বো. '১৬]

i. কখখগ কখখ

ii. কখগক কখগক

iii. কখখক কখখক

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) i

খ. ii

গ. i ও iii

ঘ. i ও ii

উদ্দীপকটি পড়ে ২২ ও ২৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

"অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার লাভ করে তাঁর প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। হাজারো কর্মব্যস্ততার মধ্যেও তিনি ছুটে যান শৈশবের স্মৃতি-বিজড়িত বিদ্যাপীঠে, শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তাঁর দীক্ষাগুরুদের।

যাঁদের কাছে তিনি হাতেখড়ি নিয়েছিলেন।" [চ. বো. '২২]

২২. উদ্দীপকে অমর্ত্য সেন ও মাইকেল মধুসূদন দত্তের মধ্যে সাদৃশ্য কিসে?

ক. স্মৃতিকাতরতায়

খ. স্বাজাত্যবোধে

গ. দেশপ্রেমে

ঘ. মহানুভবতায়

২৩. উক্ত দিকটি বিশেষভাবে প্রকাশিত হয়েছে যে চরণে-

ক. কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে

কপোতক্ষ নদ

খ. সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে

গ. জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির

ঘ. লইছে যে তব নাম বঙ্গের সং

২৪. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির সীমাহীন দেশপ্রেম ফুটে উঠেছে নিচের কোন লাইন

[ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, খিলগাঁও, ঢাকা]

i. সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে

ii. দুগ্ধ-স্রোতরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে

iii. লইছে যে নাম তব বঙ্গের সংগীতে নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i

খ. ii

গ. iii

ঘ. i, ii ও iii

উদ্দীপকটি পড়ে ২৫ ও ২৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে।

সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;

[জামালপুর জিলা স্কুল]

২৫. উদ্দীপকের 'সতত' শব্দের আভিধানিক অর্থ কী? [চ. বো. '১৬]

ক. সর্বদা

খ. সততা

গ. সুন্দর

ঘ. পবিত্র

২৬. উদ্দীপকে যে চিত্রকল্পটি ফুটে উঠেছে-

i. ভ্রান্তির ছলনা

ii. আত্মপ্রীতি

iii. স্মৃতি রোমন্থন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i

খ. ii

গ. iii

ঘ. i ও ii

উত্তরমালা

১।ঘ

২।খ

৩।ঘ

৪। ক

৫। .

৬।ঘ

৭।ক

৮। খ

৯। খ

১০। ঘ

১১।গ

১২।ঘ

১৩। গ

১৪। ঘ

১৫। ঘ

১৬। খ

১৭। ক

১৮। ঘ

১৯। গ

২০। ঘ

২১।গ

২২। গ

২৩। ক

২৪। খ

২৫। ক

২৬।গ

 

 

 

 


সৃজনশীল

পাঠ্যবইয়ের সৃজনশীল প্রশ্ন:

প্রশ্ন ১: ছোটোকালে ছিলাম বাঙালিদের বালুচরে, সাঁতরায়ে নদী পাড়ি দিতাম বারবার এপার হতে ওপারে, ডিভি লটারি সুযোগ করে দিলে ছুটে চলে যাই আমেরিকায় কিন্তু আজ মন শুধু ছটফটায় আর শয়নে স্বপনে বাড়ি দিয়ে যায়, মধুময় স্মৃতিগুলো আমাকে কাঁদায়, তবু দেশে আর নাহি ফেরা হয়।

ক. সনেটের ষটকে কী থাকে?

খ. 'স্নেহের তৃষ্ণা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতি 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার আলোকে তুলে ধর।

ঘ. "উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতির অন্তরালে যে ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে তা-ই 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূলভাব" কথাটির সত্যতা বিচারকর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. সনেটের ষটকে কবিতার ভাবের পরিণতি থাকে।

খ. 'স্নেহের তৃষ্ণা' বলতে কবি জন্মভূমির প্রতি গভীর অনুরাগে কপোতাক্ষ নদের স্নেহধারা পাওয়ার ব্যাকুলতাকে বুঝিয়েছেন। স্বদেশ থেকে বহু দূরে ফ্রান্সে বসবাস করার সময় জন্মভূমির শৈশব-কৈশোরের অম্ল-মধুর স্মৃতি কবিকে কাতর করেছে। তিনি তাঁর গভীর অনুভবে প্রবাসে থেকেও যেন কপোতাক্ষ নদের জলধারার কলকল ধ্বনি শুনতে পান। সেই নদীর স্নেহধারা পেতে তিনি ব্যাকুল হন। তাঁর সমস্ত স্নেহতৃষ্ণার জল যেন বুকে ধারণ করে বয়ে চলছে কপোতাক্ষ।

সারকথা: কবির জন্মভূমিতে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদের জলধারাতেই তাঁর তৃষ্ণার্ত হৃদয় তৃপ্ত হবে বলে তিনি মনে করেন।

গ. উদ্দীপকে স্বদেশের গভীর অনুরাগ ও স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ পেয়েছে। এই বিষয়টি 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা করা যায়। স্বদেশের মাটির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেই মানুষ ধন্য হয়। জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা মানুষকে মহত্ত্ব ও গৌরব দান করে। চিরচেনা জন্মভূমির আকাশ-বাতাস, নদ-নদী, সবুজ গাছপালা, আলো-জল সবই অত্যন্ত প্রিয় বস্তু। উদ্দীপকে স্বদেশের জন্য গভীর অনুরাগ ও ব্যাকুলতা প্রকাশ পেয়েছে। একজন বাঙালি অভিবাসন ভিসা নিয়ে স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে চলে গেছেন। সেখানে থাকাকালে স্বদেশের সাধারণ ঘটনা তাঁর স্মৃতিতে কীভাবে অসাধারণ হয়ে ধরা পড়েছে সেই বিষয়টি ফুটে উঠেছে। প্রবাসী ব্যক্তির মন ছটফট করে তাঁর প্রিয় মাতৃভূমির জন্য। স্বদেশের জন্য এই বেদনাবোধ ও ব্যাকুলতা 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবির স্বদেশানুরাগ ও কপোতাক্ষ নদের প্রতি তাঁর অনুভূতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিও প্রবাসে সুদূর ভার্সাই নগরীতে বসে স্বদেশের শৈশবের নদের কথা ভেবে আবেগাপ্লুত হয়েছেন।

সারকথা: 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় ও উদ্দীপকে স্বদেশের প্রতি প্রবাসী ব্যক্তির অনুরাগ ও অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে।

ঘ. "উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতির অন্তরালে যে ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে তাই 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূলভাব।"-কথাটির সত্যতা আছে। জন্মভূমির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। মানুষের অন্তরজুড়ে থাকে জন্মভূমির প্রতি গভীর অনুরাগ, আবেগ, ভালোবাসা, যা কখনো বিচ্ছিন্ন হয় না। কারণ স্বদেশের মাটির কাছে মানুষের ঋণের শেষ নেই। উদ্দীপকে এক প্রবাসী বাঙালির স্বদেশের প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। এখানে প্রবাসজীবনে স্বদেশের অতি সাধারণ ঘটনা কীভাবে তার স্মৃতিতে অসাধারণ হয়ে ভেসে উঠেছে সেই বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে। উদ্দীপকের প্রবাসী বাঙালির এই আবেগ-অনুভূতি 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবির স্বদেশানুরাগের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাঁরা দুজনই তাঁদের শৈশব-কৈশোরের কথা ভেবে অস্থির হয়েছেন। প্রিয় জন্মভূমিতে ফিরে আসার ব্যাকুলতা এবং স্মৃতিকাতরতার দিক থেকে তাঁরা দুজনই একে অন্যের প্রতিচ্ছবি। 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায়

কবির মনে ভিড় করা শৈশবের নানা স্মৃতি প্রতিফলিত হয়েছে।

প্রবাসজীবনে বারবার কবির মনে পড়েছে শৈশব-কৈশোরের সঙ্গী কপোতাক্ষ নদের কথা। এই নদের জল কবির কাছে মাতৃদুগ্ধের মতো। উদ্দীপকের প্রবাসী ব্যক্তিরও কাছেও স্বদেশের স্মৃতিময় ঘটনাগুলো অত্যন্ত মূল্যবান।

বিগত বছরের প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। সুরমার তীরে হয়নি বসা

সে তো অনেক কাল

হয় না দেখা উথাল হাওয়ায়

উড়ছে নায়ের পাল।

একটা নদী কলকলিয়ে দুলদুলিয়ে চলে

দুই কূলে তার দুঃখ-সুখের হাজার কথা বলে।

রাগলে নদী গর্জনে তার বুক কাঁপে থরথর

শান্ত হলে অনেক সুখে জাগায় বুকে চর।

চরের বুকে বাঁধলে সে ঘর প্রাণের মেলায় হাসে শান্ত নদী যমুনা সে জীবন ভালোবাসে।

[ঢাকা বোর্ড ২০২৪]

ক. সনেটের অষ্টকে কী থাকে?

খ. 'জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!'- বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকের (i)-এ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে- তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. "উদ্দীপকের (ii)-এ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূল চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে।"- উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. সনেটের অষ্টকে থাকে ভাবের প্রবর্তনা।

খ. 'জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!'- কথাটি দ্বারা কবি কল্পনায় কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনে ভুলের ছলনায় কান জুড়ানোর কথা বলেছেন।

'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবি খ্যাতি লাভের আশায় ইউরোপ চলে যান। কিন্তু দীর্ঘ প্রবাসজীবনে একসময় স্বদেশের প্রতি তাঁর তীব্র আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। তখন তিনি অবচেতন মনে প্রিয় নদ কপোতাক্ষের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। তিনি স্বদেশে ফিরে আসতে চান। কবি অবচেতন মনে নদের কলকল ধ্বনি শোনাকে 'জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে' বলে উল্লেখ করেছেন।

গ. উদ্দীপক (i)-এ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির মাতৃসম কপোতাক্ষ নদের প্রতি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ার দিকটি ফুটে উঠেছে।

মাতৃভূমির সঙ্গে মানুষের যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তা অকৃত্রিম। তাই তো কোনো উদ্দেশ্যে যদি কেউ নিজ ভূমি ছেড়ে চলেও যায় তারপরও তার মন পড়ে থাকে জন্মভূমির কোলে।

'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির বর্ণনায় স্মৃতিকাতরতা উঠে এসেছে। ইংরেজ ভাবধারায় পুষ্ট কবি তাঁর জন্মভূমি ও শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত নদ কপোতাক্ষের কথা বিদেশের মাটিতে বসে স্মরণ করেন। তিনি আবারও মাতৃরূপী এই নদের কাছে ফিরতে চেয়েছেন। তেমনই উদ্দীপকেও সুরমা নদীর প্রতি কবির স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ পেয়েছে। সুরমা নদীর তীরে কবির অনেকদিন বসা হয়নি, উত্তাল হাওয়ায় নৌকার পাল দেখা হয়নি। এসব বিষয়ের মধ্য দিয়ে তাঁর স্মৃতিকাতরতাই প্রকাশ

পাচ্ছে। এভাবেই উদ্দীপক (i)-এ আলোচিত কবিতার স্মৃতিকাতরতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

ঘ. "উদ্দীপক (ii)-এ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূল চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে।"- উক্তিটি যথার্থ নয়।

নদীমাতৃক এ দেশের নদ-নদী ও মাটির প্রতি মানুষের রয়েছে নাড়ির টান। জন্মভূমি যেমন মানুষকে আশ্রয় দেয়, তেমনই এ দেশের নদ-নদীও মানুষের জীবনের নানা উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়ে থাকে।

'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির শৈশব-কৈশোর কেটেছে যে নদকে কেন্দ্র করে সেই নদেরই স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। কবি নানা দেশে ঘুরেছেন, নানা নদ-নদী দেখেছেন কিন্তু মাতৃসম কপোতাক্ষ নদের জলে তাঁর তৃষ্ণা যতটা নিবারিত হয় তেমনটা অন্য কোথাও হয় না। কবিতায় কবি নদকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করে আবেগ প্রকাশ করেছেন। এ কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতার অন্তরালে দেশপ্রেমের চেতনাই প্রধান হয়ে দেখা দিয়েছে।

উদ্দীপক (ii)-এ আমরা একটি নদীর বর্ণনা পাই। সেই নদী হাজারো মানুষের দুঃখ-সুখের কথা বলে। উদ্দীপকের পঙক্তিগুলোর মধ্য দিয়ে আসলে নদীকেন্দ্রিক আবেগেরই প্রকাশ ঘটেছে, যাতে 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূল চেতনার প্রতিফলন ঘটেনি। এখানে কোনো স্মৃতিকাতরতা বা দেশপ্রেমের চেতনা পরিলক্ষিত হয় না। শুধু নদীর বর্ণনা রয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের (ii)-এ 'কপোতাক্ষ নদ'

কবিতার মূল চেতনার প্রতিফলন ঘটেনি। তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ নয়।

প্রশ্ন ২। আরাফ আর আয়মান যেন এক বৃন্তে দুটি কুসুম। এইচএসসি পাসের পর দুজনই ভর্তি হলো তাদের কাঙ্ক্ষিত ও স্বপ্নের বুয়েটে। এর মধ্যে আয়মান আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজখবর নেয়- কারণ, বুয়েট শেষ করে সে আমেরিকায় পাড়ি জমাতে চায়। কিন্তু আরাফের এক কথা, পড়াশুনা শেষ করে সে দেশেই থাকবে। যা করবে দেশের জন্যই করবে। এভাবে সবাই দেশ ছেড়ে গেলে দেশই বা কীভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করবে? আজ আয়মান আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তার মন পড়ে থাকেদেশের বিস্তীর্ণ মাঠ, অবারিত ধানক্ষেত, বন্ধু-বান্ধব, ছোটাছুটি এসবের মধ্যে। আরাফের সাথে কথা বললেই সে তার ফেলে যাওয়া সবকিছু নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। [রাজশাহী বোর্ড ২০২৪]

ক 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার অষ্টকের মিলবিন্যাস কীরূপ?

খ. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবি কপোতাক্ষ নদকে দুগ্ধস্রোতোরূপী বলেছেন কেন?

গ. উদ্দীপকের শেষাংশে আয়মানের মাধ্যমে 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবির মনোভাবের কোন বিশেষ দিকটির ইঙ্গিত রয়েছে-ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের আরাফ ও আয়মান 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় প্রতিফলিত মূল চেতনাকেই ধারণ করে আছে- বিশ্লেষণ কর

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার অষ্টকের মিলবিন্যাস- কখকখ কখখক।

খ. কপোতাক্ষ নদের জলধারা কবিহৃদয়কে তৃপ্ত করে বলে তিনি কবিতায় এটিকে দুগ্ধস্রোতোরূপী বলেছেন।

কপোতাক্ষ নদের স্নেহধারায় সিক্ত হয়ে কবির শৈশব-কৈশোর কেটেছে। কপোতাক্ষ নদকে ঘিরে তাঁর অনেক আনন্দ-বেদনার স্মৃতি রয়েছে। মায়ের দুধ পান করে যেমন সন্তান পুষ্ট হয়, ঠিক তেমনই কপোতাক্ষ নদের জলধারা কবির হৃদয়কে তৃপ্ত করেছে। এ কারণেই তিনি কপোতাক্ষ নদকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করে এটির জলধারাকে দুগ্ধস্রোতোরূপী বলেছেন।

গ. উদ্দীপকের শেষাংশে আয়মানের মাধ্যমে 'কপোতাক্ষ নদ'

কবিতার কবির মনোভাবের স্মৃতিকাতরতার দিকটির ইঙ্গিত রয়েছে।

জন্মের পর থেকে মানুষ তার জন্মভূমিতে একটা বড় সময় কাটায়। ফলে জন্মভূমির সঙ্গে তার আত্মার বন্ধন তৈরি হয়।

উদ্দীপকের আয়মান বুয়েটে পড়াশোনা শেষ করে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বন্ধু আরাফের সাথে কথা বললেই সে তার ফেলে যাওয়া সবকিছু নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবি প্রবাসে বসে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত প্রিয় কপোতাক্ষ নদকে স্মরণ করছেন। তিনি প্রবাসে বসেও এই কপোতাক্ষ নদকে ভুলতে পারেন না। এভাবেই উদ্দীপকের শেষাংশে আয়মানের মাধ্যমে 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবির মনোভাবের স্মৃতিকাতরতার দিকটিই ইঙ্গিত করা হয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকের আরাফ ও আয়মান 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় প্রতিফলিত মূল চেতনাকেই ধারণ করে আছে- মন্তব্যটি যথার্থ।

একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক যেখানেই অবস্থান করুক, স্বদেশের প্রতি প্রেম ও ভালোবাসা তার মধ্যে বিরাজমান থাকেই। বিদেশে অবস্থান করলেও জন্মভূমি তাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে।

'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিদেশে অবস্থান করেও তাঁর স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদকে বারবার স্মরণ করছেন। প্রবাসে গিয়ে তিনি বহু দেশে বহু নদ-নদী দেখলেও তাঁর জলের তৃষ্ণা মেটাতে সেগুলো ব্যর্থ হয়। তাঁর এই তৃষ্ণা কেবল স্বদেশের কপোতাক্ষ নদের জলেই মেটানো সম্ভব। এখানে তাঁর স্মৃতিকাতরতার অন্তরালে দেশপ্রেমের চেতনাই প্রধান হয়ে দেখা দিয়েছে।

উদ্দীপকের আরাফ ও আয়মান দুজনের মধ্যেই দেশপ্রেম ফুটে উঠেছে। আরাফ পড়াশোনা শেষ করে দেশেই থাকতে চায়। সে মনে করে সবাই যদি দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যায় দেশই বা কীভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করবে? আর আয়মান আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হলেও সেখানে সে বারবার তার দেশকে, দেশের বন্ধু-বান্ধবদের স্মরণ করে স্মৃতিকাতর হয়। তারা দুজনেই দেশপ্রেমের চেতনাকে ধারণ করে। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রশ্ন ৩। স্তবক-১:

একবার যেতে দে না আমায় ছোট্ট সোনার গাঁয়

যেথায় কোকিল ডাকে কুহু-

দোয়েল ডাকে মুহু মুহু

নদী যেথায় ছুটে চলে আপন ঠিকানায়।।

স্তবক-২:

মিছা মণি মুক্তা হেম, স্বদেশের প্রিয় প্রেম, তার চেয়ে রত্ন নাহি আর।

সুধাকরে কত সুধা দূর করে তৃষা ক্ষুধা, স্বদেশের শুভ সমাচার।। [কুমিল্লা বোর্ড ২০২৪]

ক. সনেটের কোন অংশে ভাবের প্রবর্তনা থাকে?

খ. "আর কি হে হবে দেখা?" এ অংশে কবি মনের অভিব্যক্তি ব্যাখ্যা কর।

গ. স্তবক-১ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার যে ভাবের ইঙ্গিত বহন করে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. স্তবক-২ যেন 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূল চেতনাকেই ধারণ করেছে। মূল্যায়ন কর।

৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক. সনেটের অষ্টকে ভাবের প্রবর্তনা থাকে।

খ. প্রশ্নোক্ত অংশে স্বদেশের স্মৃতিবিজড়িত নদের সঙ্গে আর দেখা হবে কি না সেই বিষয়ে কবিমনের সংশয় প্রকাশ পেয়েছে।

কবি সুদূর প্রবাসে অবস্থানকালে শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত নদের কথা স্মরণ করেছেন। নদের প্রতি কবির ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কবিতায়। জন্মভূমির কপোতাক্ষ নদ তাঁকে স্নেহডোরে বেঁধেছে। কিন্তু তিনি তার

কাছে ফিরে আসতে পারছেন না। কবির সঙ্গে প্রিয় নদের আর কখনো দেখা হবে কি না তা তিনি জানেন না। এ বিষয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। কবিমনের এই 'অভিব্যক্তিই এখানে ব্যক্ত হয়েছে।

গ. স্তবক-১ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার যে ভাবের ইঙ্গিত বহন করে তা হলো স্বদেশের প্রতি কবির স্মৃতিকাতরতা।

মানুষ যেখানেই থাকুক না কেন, স্বদেশের স্মৃতি তাকে তাড়িত করে বেড়ায় সর্বক্ষণ। সেই স্মৃতির বেড়াজাল থেকে মুক্ত হওয়া সবার পক্ষে সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।

উদ্দীপকের স্তবক-১ এ কবি তাঁর প্রিয় জন্মভূমির কথা স্মরণ করেছেন। সেখানকার দোয়েল আর কোকিলের সুমধুর সুর, বয়ে চলা নদীর অপরূপ ছবি কবি তাঁর স্মৃতিতে রোমন্থন করেছেন। এই স্মৃতিকাতরতা 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবির ক্ষেত্রেও লক্ষণীয়। কবিতায় কবি তাঁর জন্মভূমির কপোতাক্ষ নদকে স্মরণ করেছেন প্রেমভাবে। এই নদের কলকল ধ্বনি কবি সুদূর প্রবাসে থেকেও মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে পেয়েছেন। এভাবে এই নদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কবি মূলত স্বদেশের প্রতি স্মৃতিকাতরতার দিকটিই তুলে ধরেছেন। স্তবক-১ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার এই স্মৃতিকাতরতার ভাবটির ইঙ্গিত বহন করে।

 

ঘ. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায়, কবির স্বদেশপ্রেমের দিক দিয়ে স্তবক-২ যেন 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূল চেতনাকেই ধারণ করেছে।

স্বদেশের প্রতি প্রেম মানুষের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য। স্বদেশকে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সবারই উচিত স্বদেশকে ভালোবেসে তার সবকিছুকে আপন করে নেওয়া।

উদ্দীপকের স্তবক-২ এ স্বদেশের প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ধন-সম্পদ, ঐশ্বর্য প্রভৃতি এই ভালোবাসার কাছে তুচ্ছ হয়েছে। নিজ দেশই কবির তৃষ্ণা দূর করতে পারে। অন্য কিছুতে কবি এতটা তৃপ্ত হতে পারেন না। স্বদেশের প্রতি এমন ভালোবাসা 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায়ও দেখতে পাওয়া যায় প্রবলভাবে।

'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবি শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত নদের কথা বলেছেন। তাঁকে ভুলতে না পারার, তার কাছে ফিরে যেতে না পারার বেদনাধ্বনি উচ্চারিত হয়েছে কবির কণ্ঠে। এখানে কবি তাঁর স্বদেশের ফেলে আসা নদের কথা ব্যথিতচিত্তে স্মরণ করেছেন। কবিতাটিতে মূলত স্মৃতিকাতরতার অন্তরালে কবির অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে। এটিই কবিতার মূল চেতনা। তাই বলা যায়, স্তবক-২ যেন 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূল চেতনাকেই ধারণ করেছে।

প্রশ্ন ৪। উদ্দীপক-১:

আমার যেতে ইচ্ছে করে নদীটির ওই পারে যেথায় ধারে ধারে বাঁশের খোঁটায় ডিঙি নৌকা

বাঁধা সারে সারে।

উদ্দীপক-২:

ওগো আমার জন্মভূমি, ওগো অপরূপা ফিরে কি আর পাবো তোমায়? এ বিদেশ, বিভুঁয়ে তোমারে স্মরি আনমনে আঁখি মুছি সযতনে তবু আশা পারি না ছাড়িতে, বেঁধে রেখেছো যে মা, তোমার স্নেহডোরে।

[চট্টগ্রাম বোর্ড ২০২৪]

ক. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার অষ্টকের মিলবিন্যাস কী?

খ. 'জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে'- চরণটি ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপক-১ এ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. "উদ্দীপক-২ ও 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির মনোভাব একই সূত্রে গাঁথা।"- বিশ্লেষণ কর।

৪নং প্রশ্নের উত্তর

ক. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার অষ্টকের মিল বিন্যাস কখকখ কখখক

খ. 'জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!'- কথাটি দ্বারা কবি কল্পনায় কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনে ভুলের ছলনায় কান জুড়ানোর কথা বলেছেন।

'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবি খ্যাতি লাভের আশায় ইউরোপ চলে যান। কিন্তু দীর্ঘ প্রবাসজীবনে একসময় স্বদেশের প্রতি তাঁর তীব্র আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। তখন তিনি অবচেতন মনে প্রিয় নদ কপোতাক্ষের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। তিনি স্বদেশে ফিরে আসতে চান। কবি অবচেতন মনে নদের কলকল ধ্বনি শোনাকে 'জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে' বলে উল্লেখ করেছেন।

গ. উদ্দীপক-১ এ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবির শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত নদ কপোতাক্ষের কাছে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে।

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই যে ব্যক্তি থাকুক না কেন, তার মন পড়ে থাকে জন্মভূমির কোলে। মাতৃভূমিতে ফিরে আসার জন্য সে সর্বদা ব্যাকুল থাকে।

'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় দেখা যায়, কবি উপলব্ধি করতে পারেন মাতৃভূমির প্রতি তাঁর কত টান। তিনি বিদেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছেন, কিন্তু শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের কলতানে তাঁর প্রাণ যতটা জুড়ায় ততটা অন্য কোথাও হয় না। তাই তো তিনি এ কবিতার মাধ্যমে সেই নদের কাছে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। উদ্দীপকেও এমনই নদীকেন্দ্রিক ইচ্ছার প্রকাশ দেখি। কারও একজনের কবির মতোই নদীর কাছে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে। এভাবেই স্মৃতিবিজড়িত নদ-নদীর কাছে ফিরে যাওয়ার আকাঙক্ষার দিক থেকে আলোচ্য কবিতা ও উদ্দীপক-১ সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. "উদ্দীপক-২ ও 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির মনোভাব একই সূত্রে গাঁথা।"- মন্তব্যটি যথার্থ।

মাতৃভূমির প্রতি টান ও ভালোবাসা অকৃত্রিম। কেউ যদি কোনো কারণে প্রবাসে অবস্থান করে তার অন্তরজুড়ে স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা বিরাজ করে।

উদ্দীপকে জন্মভূমির প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। এখানে কোনো এক প্রবাসীর বিদেশের মাটিতে থাকার পরেও সর্বদা দেশের কথা তার মনে জাগরুক থাকে। তার মনে আশংকা জাগে সে কি আর জন্মভূমিকে দেখতে পাবে? যে দেশ তাকে মায়ের স্নেহডোরে বেঁধেছে সেই দেশের কথা স্মরণ করে সে অশ্রু ঝরিয়েছে। তাছাড়া দেশে ফিরে যাওয়ার তীব্র আকাঙক্ষারও কারণ ঘটেছে সঞ্চার উদ্দীপকে। 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায়ও কবির স্মৃতিকাতরতার আবরণে অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম প্রকাশ পেয়েছে। তিনি তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের ধ্বনি বিদেশে থেকেও শুনতে পান। কবির আর্জি, যেন দেশ ও দেশের মানুষ তাঁকে মনে রাখে। আলোচ্য কবিতায় দেশে ফিরে যাওয়ার কবির তীব্র আকাঙক্ষার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে, যা উদ্দীপক-২ এর মূলভাবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপক-২ ও 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির মনোভাব একই সূত্রে গাঁথা।

প্রশ্ন ৫। উদ্দীপক-১:

ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা

তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা।

উদ্দীপক-২:

"হাটে মাঠে বাটে এই মতো কাটে বছর পনেরো-ষোলো একদিন শেষে ফিরিবারে দেশে বড়োই বাসনা হল অবারিত মাঠ, গগন ললাট চুমে তব পদধূলি ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলি।"

[বরিশাল বোর্ড ২০২৪]

ক. সনেট-এর বাংলা প্রতিশব্দ কী?

খ. 'দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপক-২ এ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা কর।

ঘ. "উদ্দীপক-১ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূলভাবের নামান্তর।"-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

৫নং প্রশ্নের উত্তর

ক. সনেট-এর বাংলা প্রতিশব্দ চতুর্দশপদী কবিতা।

খ. কপোতাক্ষ নদের জলধারা কবিহৃদয়কে তৃপ্ত করে বলে তিনি কবিতায় এটিকে দুগ্ধস্রোতোরূপী বলেছেন।

কপোতাক্ষ নদের স্নেহধারায় সিক্ত হয়ে কবির শৈশব-কৈশোর কেটেছে। কপোতাক্ষ নদকে ঘিরে তাঁর অনেক আনন্দ-বেদনার স্মৃতি রয়েছে। মায়ের দুধ পান করে যেমন সন্তান পুষ্ট হয়, ঠিক তেমনই কপোতাক্ষ নদের জলধারা কবির হৃদয়কে তৃপ্ত করেছে। এ কারণেই তিনি কপোতাক্ষ নদকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করে এটির জলধারাকে দুগ্ধস্রোতোরূপী বলেছেন।

ঘ. "উদ্দীপক-১ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূলভাবের নামান্তর।"- মন্তব্যটি যথার্থ।

জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। দেশমাতৃকার মাটি, রূপ, রস, গন্ধ ব্যক্তিকে যতটা মুগ্ধ করে অন্য কোনো স্থানে সেটা পাওয়া যায় না।

'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির দেশপ্রেমের দিকটিই প্রকাশ পেয়েছে। বিদেশে অবস্থানকালে তিনি উপলব্ধি করতে পারেন দেশের প্রতি তাঁর কত টান। বিভিন্ন জায়গায় তিনি গেছেন কিন্তু শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদে তিনি যতটা মুগ্ধতা খুঁজে পেয়েছেন তেমনটি অন্য কোথাও পাননি। দেশ যে তাঁকে মায়ের স্নেহে আগলে রাখত এ কথা তিনি কবিতায় প্রকাশ করেছেন। মাতৃরূপী এই দেশের কোলে তিনি আবার ফিরে আসতে চেয়েছেন, যা মূলত দেশের প্রতি প্রেম ও ভালোবাসার প্রকাশ। উদ্দীপক-১ এ আমরা দেশের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশই দেখতে পাই 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবির মতো।

উদ্দীপক-১ এর পতিগুলোর মর্মার্থেও দেশপ্রেমের বিষয়টি প্রতীয়মান হয়। এখানেও দেশের ধন-সম্পদ, সৌন্দর্যের কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকের পতিগুলোতেও মাতৃভূমিকে সেরা বলা হয়েছে। অর্থাৎ উদ্দীপক এবং আলোচ্য কবিতার মূল সুর একই। সেটি হলো দেশপ্রেম। তাই বলা যায়, উদ্দীপক-১ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূলভাবের নামান্তর।


প্র্যাকটিস

প্রশ্ন ১। বহুদিন পরে মনে পড়ে আজি পল্লী মায়ের কোল কাঁউশাখে যেথা বনলতা বাঁধি হরষে খেয়েছি দোল, কুলের কাঁটার আঘাত সহিয়া কাঁচা-পাকা কুল খেয়ে অমৃতের স্বাদ যেন লভিয়াছি গাঁয়ের দুলালী মেয়ে। পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খেয়ে আরো উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে।   [দিনাজপুর বোর্ড ২০২৪]

ক. মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি কোনটি?

খ. 'আর কি হে হবে দেখা?' কবি একথা বলেছেন কেন?

গ. উদ্দীপকের সাথে 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার সাদৃশ্যগত অনুভূতি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. "উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতির অন্তরালে যে ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে তা-ই 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় কবির মূল চেতনা"-মন্তব্যটি যথার্থতা নিরূপণ কর।

প্রশ্ন ২। আমার দেশের মাটিতে মেশানো আমার প্রাণের ঘ্রাণ গৌরবময় জীবনের সম্মান। প্রাণ-স্পন্দনে লক্ষ তরুর করে জীবন প্রবাহ সঞ্চারি মর্মরে, বক্ষে জাগায়ে আগামী দিনের আশা-আমার দেশের এ মাটি মধুর, মধুর আমার ভাষা।

[ঢাকা বোর্ড ২০২৩]

ক. সনেটের অষ্টকে কী থাকে?

খ. 'আর কি হে হবে দেখা?'- কবি এরূপ সংশয় প্রকাশ করেছেন কেন?

গ. উদ্দীপক ও 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় বর্ণিত সাদৃশ্যের দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. "উদ্দীপক ও 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতায় বিশেষ দিকের সাদৃশ্য থাকলেও আঙ্গিক ও চেতনাগত পার্থক্য স্পষ্ট।- মন্তব্যটির যৌক্তিক মূল্যায়ন কর।

প্রশ্ন ৩। বহুদিন পরে মনে পড়ে আজি পল্লিমায়ের কোল; ঝাউশাখে যেথা বনলতা বাঁধি হরষে খেয়েছি দোল; কুলের কাঁটার আঘাত সহিয়া কাঁচাপাকা কুল খেয়ে অমৃতের স্বাদ যেন লভিয়াছি গাঁয়ের দুলালী মেয়ে

[যশোর বোর্ড ২০২৩]

ক. সনেটের ষটকে কী থাকে?

খ. 'জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের সাথে 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।

ঘ. "উদ্দীপক ও 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার মূল সুর অভিন্ন।"-মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৪। তোমরা যেখানে সাধ চ'লে যাও- আমি এই বাংলার পারে র'য়ে যাব; দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে,

চ'লে যায় কুয়াশায়, তবু জানি কোনোদিন পৃথিবীর ভিড়ে হারাব না তারে আমি- সে যে আছে আমার

এ বাংলার তীরে। [কুমিল্লা বোর্ড ২০২৩]

ক. মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি কী?

খ. "কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে" বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপক (i)-এ 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে? তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপক (ii)-এ ফুটে ওঠা দিকটি 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার সম্পূর্ণ ভাবের প্রতিফলন নয়। যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৫। মিজান সাহেব যে গ্রামে বড় হয়েছেন তার পাশে ছোট একটি নদী ছিল। নদীটির নাম ভৈরব। শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এ নদীটির সাথে। কত বছর কেটে গেল নদীটিকে চোখের দেখাও দেখতে পাননি তিনি। কিন্তু শহুরে জীবনের কর্মব্যস্ততার মধ্যেও তার শৈশবের সেই নদীটির স্মৃতি ম্লান হয়ে যায়নি। অবসরে কল্পনায় সেই নদীর ছবি আঁকেন তিনি। [কুমিল্লা বোর্ড ২০২২]

ক. 'বিরলে' অর্থ কী?

খ. 'বারি-রূপকর' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের মিজান সাহেবের অনুভূতিতে 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার যে বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের মিজান সাহেব ও 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার কবির উপলব্ধি একই ধারায় উৎসারিত- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।