বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় - অধ্যায়ঃ ২ (বাংলাদেশের স্বাধীনতা)

 


বাংলাদেশের স্বাধীনতা
প্রয়োজনীয় তথ্য

  • পাকিস্তানি সামরিক শাসকচক্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা চক্রান্ত শুরু করে।
  • ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন।
  • পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় অধিবেশনে যোগদান করতে অস্বীকার করেন। অন্যান্য সদস্যকেও তিনি হুমকি দেন। এসবই ছিল ভুট্টো-ইয়াহিরার ষড়যন্ত্রের
  • ইয়াহিয়া খান ১লা মার্চ ভুট্টোর ঘোষণাকে অজুহাত দেখিয়ে ৩রা মার্চের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।
  • সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করে অধিবেশন স্থগিত করার পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
  • অসর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারা দেশে হরতাল পালিত হয়
  • ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
  • ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানের সমাবেশে ছাত্রনেতা শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।
  • সকল সরকারি কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে বহুলোক হতাহত হয়।
  • বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল এক জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে সকল বাঙালিকে অংশগ্রহণে আহ্বান জানান।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, যেখানে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-শাসন, বঞ্চনার ইতিহাস, নির্বাচনে জয়ের পর বাঙালির সাথে প্রতারণা ও বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের পটভূমি তুলে ধরেন।
  • বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ ভাষণ এক স্মরণীয় দলিল এবং বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
  • ইউনেস্কো ২০১৭ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে 'ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ' (World Documentary Heritage) বা 'বিশ্ব প্রামাণ্য দলিল' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
  • বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে জনগণকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার এবং শত্রুর মোকাবিলা করার আহ্বান জানান এবং সকলকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন।

  • ১৭ই মার্চ টিক্কা খান ও রাও ফরমান আলী 'অপারেশন সার্চলাইট' এর মাধ্যমে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন।
  • ২৫শে মার্চ রাতে পৃথিবীর জঘন্যতম গণহত্যা 'অপারেশন সার্চলাইট' শুরু হয়।

১. রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

২. উপ-রাষ্ট্রপতি:

সৈয়দ নজরুল ইসলাম (অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি)

৩. প্রধানমন্ত্রী:

তাজউদ্দীন আহমদ

৪. অর্থমন্ত্রী:

এম. মনসুর আলী

৫. স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী:

এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান

৬. পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী:

খন্দকার মোশতাক আহমেদ

ইয়াহিয়া-ভুট্টোর ষড়যন্ত্র ও বাঙালির জাগরণ:

১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়: ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি রমনার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্যদের পাঠ করান। এতে ৬ দফা ও ১১ দফার প্রতি অবিচল থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়.

ক্ষমতা হস্তান্তরে ষড়যন্ত্র

পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিক্ষোভ

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ

২৫শে মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর 'অপারেশন সার্চলাইট' নামক পরিকল্পনার মাধ্যমে নৃশংস গণহত্যা শুরু করে। বাঙালিরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।

স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক যাত্রা

৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনে সাড়া দিয়ে সকল স্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়। পূর্ব পাকিস্তানের সকল অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবের সাথে আলোচনার জন্য ঢাকায় আসেন, এসময় ভুট্টোও আসেন।

অন্যদিকে, আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সৈন্য ও গোলাবারুদ এনে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

ইয়াহিয়া ও ভুট্টো গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং ইয়াহিয়ার নির্দেশে পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে গণহত্যা চালায়। ২৫শে মার্চের রাত 'কালরাত্রি' নামে পরিচিত এবং এটি এখন 'জাতীয় গণহত্যা দিবস' হিসেবে স্বীকৃত। ২৬শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ২৭শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পুনরায় ঘোষণা দেন। এর মাধ্যমে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ. 

মুজিবনগর সরকার

গঠন: ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল 'মুজিবনগর সরকার' গঠন করা হয়। ঐ দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় 'বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আদেশ'।

লক্ষ্য: মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, নির্দেশনা সুসংহত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠন।

শপথ গ্রহণ: মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল। মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে এ সরকারের কার্যক্রম শুরু হয়।

মুজিবনগর সরকারের কাঠামো

মুজিবনগর স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের কাঠামো ছিল নিম্নরূপ:

২৫শে মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর 'অপারেশন সার্চলাইট' নামক পরিকল্পনার মাধ্যমে নৃশংস গণহত্যা শুরু করে। বাঙালিরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।

উপদেষ্টা পরিষদ

স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে উপদেশ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য একটি ৬ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়। সদস্যগণ হলেন-

১. ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ভাসানী ন্যাপ) মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

২. ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (মোজাফ্ফর ন্যাপ) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ।

৩. কমিউনিস্ট পার্টির কমরেড মণি সিং।

৪. জাতীয় কংগ্রেসের শ্রী মনোরঞ্জন ধর।

৫. তাজউদ্দীন আহমদ (বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী)

৬. খন্দকার মোশতাক আহমেদ (বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী)।

৭. মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল (অব.) এম.এ.জি ওসমানী।

মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম

১. প্রশাসনিক কার্যক্রম:

বাঙালি কর্মকর্তাদের নিয়ে এ সরকার প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেছিল। এতে মোট ১২টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিল। এগুলো হলো-

প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়, সাধারণ প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিভাগ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন ও যুব ও অভ্যর্থনা শিবির নিয়ন্ত্রণ বোর্ড

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে (কলকাতা, দিল্লি, লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, স্টকহোম প্রভৃতি) বাংলাদেশ সরকারের মিশন স্থাপন করেন। এসব মিশন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রচার ও আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে।

বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব নেতৃত্ব ও জনমতের সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করেন।

২. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা:

মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক, বেসামরিক জনগণকে নিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

·         বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে ১১জন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। বেশ কিছু সাব-সেক্টর এবং তিনটি ব্রিগেড ফোর্স গঠিত হয়। এসব বাহিনীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি সেনা কর্মকর্তা, সেনা সদস্য, পুলিশ, ইপিআর, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যগণ যোগদান করেন।

·         নিয়মিত সেনা, গেরিলা ও সাধারণ যোদ্ধাদের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়। এরা মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিফৌজ নামে পরিচিত। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে যোদ্ধারা পাকিস্তানি সামরিক আস্তানায় হামলা চালাত।

·         মুক্তিযুদ্ধের সরকারের অধীন স্থানীয়ভাবে আরও কয়েকটি বাহিনী গড়ে উঠেছিল। এসব সংগঠন স্থানীয়ভাবে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।

·         ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাগণ মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে দেশকে পাকিস্তানিদের দখলমুক্ত করার জন্য রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছেন, দেশের জন্যে প্রাণ দিয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছেন

মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ জনগণ ও পেশাজীবীদের ভূমিকা:

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ নিরস্ত্র জনগণের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে ছাত্র, জনতা, পুলিশ, ইপিআর, কৃষক, শ্রমিক, নারী, পেশাজীবী সকল স্তরের মানুষে সাহসিকতার সাথে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এমনকি অবাঙালিরাও অংশ নেয়।

·         মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে শত্রুমুক্ত করার লক্ষ্যে মৃত্যুকে তুচ্ছ মনে করে যুদ্ধে যোগদান করেছিলেন।

·         তাঁরা ছিলেন দেশপ্রেমিক, অসীম সাহসী এবং আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ যোদ্ধা।

·         দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে বহু মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন রণাঙ্গনে শহিদ হন।

·         অনেকে মারাত্মকভাবে আহত হন।

·         তাই মুক্তিযোদ্ধাদের এ ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না। জাতি চিরকাল মুক্তিযোদ্ধাদের সূর্যসন্তান হিসেবে মনে করবে।

প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধকে কেন যুদ্ধকে 'গণযুদ্ধ' বা 'জনযুদ্ধ'ও বলা যায়?

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক, ইপিআর, পুলিশ, আনসার, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালি এবং অবাঙালি অংশগ্রহণ করে। তাই এ যুদ্ধকে 'গণযুদ্ধ' বা 'জনযুদ্ধ'ও বলা যায়।

ছাত্রসমাজ

আন্দোলনে অংশগ্রহণ: পাকিস্তানের চব্বিশ বছরে বাঙালি

জাতির স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সকল আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে এদেশের ছাত্রসমাজ।

·         ১৯৪৮-১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন

·         ১৯৬২ ও ১৯৬৪ সালের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন

·         ১৯৬৬ সালে ছয় দফার আন্দোলন

·         ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান

·         ১৯৭০-এর নির্বাচন

·         ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা:

·         ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়।

·         অনেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করে।

·         মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা

ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখার এক বিরাট অংশ ছিল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

 

মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের মহান আত্মত্যাগ ব্যতীত স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হতো।

পেশাজীবী

সাধারণ অর্থে যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত তারাই হলেন পেশাজীবী। পেশাজীবীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, সাহিত্যিক, প্রযুক্তিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিক ও বিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা:

·         পেশাজীবীদের বড়ো অংশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

·         মুজিবনগর সরকারের অধীনে পরিকল্পনা সেল গঠন করে বিশ্ববাসীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সরবরাহ, সাহায্যের আবেদন এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য প্রদান করেন।

·         পেশাজীবীদের মধ্যে অনেকে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হন।

·         ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এদের ভূমিকা ছিল অনন্য ও গৌরবদীপ্ত।

মুক্তিযুদ্ধে নারী

মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ ও সহযোদ্ধা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা। মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা নিম্নরূপ-

·         ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, তাতে নারীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।

·         মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

  ·         সহযোদ্ধা হিসেবে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রুষা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

স্বীকৃতি প্রদান: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার

বাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত হন লক্ষাধিক মা-বোন। তাঁরাও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী। ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে সরকারিভাবে তাঁদের 'বীরাঙ্গনা' উপাধিতে ভূষিত করা হয়। সরকার ২০১৬ সালে তাঁদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

গণমাধ্যম

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র:

·         ২৬শে মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন। পরে এটি মুজিবনগর সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।

·         সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে।

·         মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়ে বিজয়ের পথ সুগম করে।

·         মুজিবনগর সরকারের প্রচার সেলের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত 'জয়বাংলা' পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে।

জনসাধারণ

·         পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কিছু দোসর ছাড়া প্রায় সবাই কোনো না কোনোভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।

·         সাধারণ মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়, শত্রুদের অবস্থান ও গতিবিধি সম্পর্কিত তথ্য, খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহ এবং সেবা দিয়ে সাহায্য করে।

·         মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি ও আদিবাসী উভয় শ্রেণীর জনগণ অংশগ্রহণ করে।

·         অনেকেই শহীদ হন, এবং ত্রিশ লক্ষ শহীদের মধ্যে সাধারণ মানুষের সংখ্যাই ছিল বেশি।

·         তাদের রক্তের বিনিময়েই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ এবং লাল-সবুজ পতাকা অর্জিত হয়েছে

প্রবাসী বাঙালি

·         প্রবাসী বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেন।

·         তাঁরা বিভিন্ন দেশে মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন।

·         বাংলাদেশের সমর্থনে বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করেছেন।

·         বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন।

·         বিশ্বের বিভিন্ন সরকারের কাছে পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আবেদন করেছেন।

·         ব্রিটেন ও আমেরিকার প্রবাসী বাঙালিদের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

·         তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেছেন।

শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী

·         যুদ্ধে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতি কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

·         পত্র-পত্রিকায় লেখা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে খবর পাঠ, দেশাত্মবোধক ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান, কবিতা, নাটক, কথিকা এবং জনপ্রিয় অনুষ্ঠান 'চরমপত্র' ও 'জল্লাদের দরবার' মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

·         এই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড রণক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের মানসিক ও নৈতিক শক্তি ধরে রাখতে সহায়তা করেছে, সাহস জুগিয়েছে এবং জনগণকে শত্রুর বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছ

মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বজনমত ও বিভিন্ন দেশের ভূমিকা

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা বিশ্ববাসীর বিবেককে নাড়া দেয়। বিভিন্ন দেশ এর নিন্দা জানায় এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে।

ভারতের ভূমিকা

·         ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি সমর্থন জানায়।

·         ভারত বিশ্ববাসীর কাছে পাকিস্তানের বর্বরতা তুলে ধরে।

·         লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করে।

·         যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তান ভারতে বিমান হামলা চালালে ভারত ৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

·         মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী যৌথভাবে "যৌথ কমান্ড" গঠন করে।

·         যৌথ বাহিনীর আক্রমণে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা জেনারেল এ কে নিয়াজীর নেতৃত্বে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভূমিকা

·         সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

·         সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে বাংলাদেশে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী ধর্ষণসহ সকল মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি ইয়াহিয়া খানকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেন।

·         সোভিয়েত পত্র-পত্রিকা ও প্রচার মাধ্যমগুলো বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা         তুলে ধরে বিশ্ব জনমত গঠনে সাহায্য করে।

·         জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব দিলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো দিয়ে তা বাতিল করে      দেয়।

·         কিউবা, যুগোস্লাভিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, পূর্ব জার্মানির মতো তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন জানায়।

গ্রেট ব্রিটেনের ভূমিকা

·         বিবিসি এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা সহ ব্রিটিশ প্রচার মাধ্যমগুলি বাঙালিদের উপর পাকিস্তানি বাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতন, বাঙালিদের সংগ্রাম ও প্রতিরোধ, ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের দুঃখজনক পরিস্থিতি, পাকিস্তানি

·         বাহিনীর গণহত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্ব জনমতকে সচেতন করে তোলে।

·         ব্রিটিশ সরকারও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল।

·         লন্ডন ছিল মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে বহির্বিশ্বে প্রচারণার প্রধান কেন্দ্র।

·         বিখ্যাত ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসন, পণ্ডিত রবিশঙ্কর এবং আলী আকবর খান মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে বিশ্ব জনমত তৈরি করতে এবং সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে "কনসার্ট ফর বাংলাদেশ" আয়োজন করেন।

অন্যান্য দেশের ভূমিকা

·         ব্রিটেন ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, পশ্চিম জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান এবং কানাডার প্রচার মাধ্যমগুলি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

·         ইরাক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন জানায়।

·         মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, প্রচার মাধ্যম এবং কংগ্রেসের অনেক সদস্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন।

জাতিসংঘের ভূমিকা

·         বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলেও, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার সময় জাতিসংঘ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

·         নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

·         প্রকৃতপক্ষে 'ভেটো' ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের বাইরে জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগের পরিসরও খুব সীমিত।

মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক তাৎপর্য

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের দীর্ঘদিনের অত্যাচার, শোষণ এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ফলশ্রুতি। এই যুদ্ধ বাঙালি জাতীয়তাবাদের একটি শক্তিশালী প্রকাশ ছিল এবং সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে। বাঙালি এবং অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের জন্ম দেয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান লাভ করে এবং বিশ্বের অন্যান্য নিপীড়িত মানুষদের অনুপ্রেরণা দেয়। যুদ্ধ শেষে জনগণ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করে।


সৃজনশীল

১. আরিফার বাবা স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী ছিলেন। তাঁর গান শুনে সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়। অন্যদিকে, তার মা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে খাবার সরবরাহ করতেন। মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতেন।

ক. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কী নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে?

খ. বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুজিবনগর সরকার কেন গঠন করা হয়েছিল?

গ. আরিফার বাবা যে মাধ্যমে কাজ করতেন, মুক্তিযুদ্ধে উক্ত মাধ্যমের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে আরিফার মায়ের মতো অনেক নারীর ভূমিকাই ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে যুক্তি উপস্থাপন কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর:

ক. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে 'গণযুদ্ধ' বা 'জনযুদ্ধ' নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

খ. মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের লক্ষ্যে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়েছিল।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকার গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭০-এর নির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। ওই দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা আদেশ'।

গ. আরিফার বাবা স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী ছিলেন। অর্থাৎ তিনি গণমাধ্যমে কাজ করতেন। মুক্তিযুদ্ধে উক্ত মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী

ভূমিকা পালন করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন। পরে এটি মুজিবনগর সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা ইত্যাদি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়ে বিজয়ের পথ সুগম করে। সর্বোপরি মুজিবনগর সরকারের প্রচার সেলের তত্ত্বাবধানে 'জয় বাংলা' পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অতএব বলা যায়, আরিফার বাবার মতো সংস্কৃতিকর্মী এবং প্রচারমাধ্যম মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ঘ. স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে আরিফার মায়ের মতো অনেক নারীই তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকে সারা দেশে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় তাতে বহু ছাত্রী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারী অস্ত্রচালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। তাদের কেউ কেউ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।

 

অন্যদিকে, আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রুষা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও শত্রুপক্ষের তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এদেশের অগণিত নারী মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া পাক সেনাবাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হয় প্রায় তিন লক্ষ নারী। তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী। উদ্দীপকে উল্লেখিত আরিফার মাও মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে খাবার সরবরাহ করতেন এবং মাঝে মাঝে সেখানে  গিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতেন।

উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলা যায় যে, স্বাধীনতা অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে আরিফার মায়ের মতো নারীদের ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ।

২.

রেসকোর্স ময়দান ১৯৭১

প্রথম সরকার গঠন, ১৯৭১

বাঙালির শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাসের বর্ণনা

হানাদারদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা

বিশ্বপ্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত।

বিজয় অর্জন নিশ্চিত করা

ক. জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী?

খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

গ. ছকের 'ক' দ্বারা কোন ঐতিহাসিক ঘটনাটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের ক্ষেত্রে ছকের 'খ'-তে উল্লিখিত সরকারের ভূমিকা মূল্যায়ন কর।

২ নং প্রশ্নের উত্তর:

ক. জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা।

খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে তা ব্যাখ্যা করা হল-

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত 'শাখার বিরাট অংশ ছিল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তারা স্বাধীনতার বিজয় পতাকা ছিনিয়ে আনতে সহায়তা করে। এভাবেই মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজ বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।

গ. উদ্দীপকের 'ছক-ক' দ্বারা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি প্রতিফলিত হয়েছে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এ ভাষণে পশ্চিম পাকিস্তানি

শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-শাসন, বঞ্চনার ইতিহাস, নির্বাচনে জয়ের পর বাঙালিদের সাথে প্রতারণা ও বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের পটভূমি তুলে ধরেন। বিশ্ব ইতিহাসে বিশেষ করে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ ভাষণ এক স্মরণীয় দলিল। এ ভাষণে তিনি চারটি দাবি পেশ করেন সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, হত্যাকান্ডের তদন্ত করা ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এ দাবির অন্যতম। এ ভাষণের থেকেই বাঙালি ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে ভাষণটিই প্রতিফলিত হয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকের 'ছক-খ' তে উল্লিখিত সরকারটি হলো বাংলাদেশের প্রথম সরকার তথা 'মুজিবনগর সরকার'। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের ক্ষেত্রে উল্লিখিত এ সরকারের ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ।

অতএব বলা যায়, আরিফার বাবার মতো সংস্কৃতিকর্মী এবং প্রচারমাধ্যম মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। এ সরকারের অধীন মোট ১২টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিল। এ সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর- কলকাতা, দিল্লি, লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, স্টকহোম প্রভৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের মিশন স্থাপন করে। সরকার বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত নিয়োগ দেয়। ১০ এপ্রিল সরকার গঠন হওয়ার পর সামরিক ও বেসামরিক জনগণকে নিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গঠিত হয়। সরকার বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ দিয়েছিলেন। সর্বোপরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের ক্ষেত্রে এ সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। যার ফলে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের ক্ষেত্রে মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা

৩. মুক্তিযোদ্ধা কবির সাহেবের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে তার ভাই তাহের কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, "আমার কলেজ পড়ুয়া বড় ভাই মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। তিনি কুমিল্লার বি-পাড়ার একটি স্থানে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। [সি. বো. '২৪]

ক. মুজিবনগর সরকার কখন গঠিত হয়?

খ. মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙ্গালিদের ব্যাখ্যা কর।

গ. মুক্তিযুদ্ধে জনাব কবির কোন শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করেন? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দৃশ্যকল্পে উল্লিখিত দেশটির অবদান বিশ্লেষণ কর।

৩ নং প্রশ্নের উত্তর:

ক. মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত হয়।

খ. মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিরা নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। বিভিন্ন দেশে তারা মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন।

বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ে পার্লামেন্ট সদস্যদের নিকট ছুটে গিয়েছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেছেন, পাকিস্তানকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ না করতে সরকারের নিকট আবেদন করেছেন। এক্ষেত্রে ব্রিটেনের প্রবাসী বাঙালিদের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ্য। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে তারা কাজ করেছেন।

গ. মুক্তিযুদ্ধে জনাব কবির ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট অংশ মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। অনেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করে। মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখার এক বিরাট অংশ ছিল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

উদ্দীপকে বর্ণিত মুক্তিযোদ্ধা কবির সাহেবের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে তার ভাই তাহের কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, "আমার কলেজ পড়ুয়া বড় ভাই (কবির) মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। যেহেতু তাহের সাহেবের ভাই কবির সাহেব ছিলেন কলেজ পড়ুয়া তাই প্রথমত তিনি ছিলেন ছাত্র। আমরা মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের যে ভূমিকা ও ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে দেশে ফিরে যুদ্ধে অংশগ্রহণের কথা শুনি তাতে

কবির সাহেব ছাত্রসমাজের যে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সেটিই প্রমাণিত হয়। সুতরাং মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা কবির সাহেব ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত দৃশ্যকল্পে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে আসেন সেটি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতকে নির্দেশ করে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অপরিসীম।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি সমর্থন জানায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রির বীভৎস হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তী নয় মাস ধরে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী যে নারকীয় গণহত্যা, লুণ্ঠন ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, ভারত তা বিশ্ববাসীর নিকট সার্থকভাবে তুলে ধরে। এর ফলে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হয়।

লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয়, মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, অস্ত্র সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তান ভারতে বিমান হামলা চালায়। ভারত ৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী 'যৌথ কমান্ড' গড়ে তোলে। যৌথ বাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণের ফলে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনাসহ জেনারেল একে নিয়াজি নিঃশর্তে যৌথ কমান্ডের নিকট আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন।

উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলা যায় যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দৃশ্যকল্পে ভারতের দেশটির অবদান অনস্বীকার্য।

৪. ১ম অংশ: লুনা তার মায়ের সাথে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যায়। সেই বাসার দেয়ালে একটি ছবি লাগানো ছিল। ছবিতে একজন লোক কিছু বলছেন এবং তার সামনে অসংখ্য লোক বসে আছে। লুনা তার মায়ের কাছে ছবিটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এ ছবির ঘটনার সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জড়িত।"

২য় অংশ: দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জার্মানি ফ্রান্স দখল করে নিলে জেনারেল ডি গ্যালে লন্ডনে ফ্রান্সের একটি প্রবাসী সরকার গঠন করেছিলেন। সেই সরকারের দৃঢ় পরিচালনার মাধ্যমে জার্মানিদের পরাজিত করে ফ্রান্স নিজেদের সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছিল।

 

ক. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী?

খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের ১ম অংশে বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে কোন ঐ তিহাসিক চিত্র ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. "দ্বিতীয় অংশে উল্লিখিত বিষয়টির মতো একটি বিষয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা পালন

করেছিল।"- বিশ্লেষণ কর।

৪ নং প্রশ্নের উত্তর:

ক. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। নিম্নে তা ব্যাখ্যা করা হল- সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়ে বিজয়ের পথ সুগম করে। এছাড়া মুজিবনগর সরকারের প্রচার সেলের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল।

গ. উদ্দীপকের ১ম অংশে বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের যে ঐতিহাসিক চিত্র ফুটে উঠেছে তা হলো ৭ মার্চের ভাষণ। কেননা, ছবিতে দৃশ্যমান ঘটনা তথ্য একজন লোকের সামনে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণের বিষয়টিকেই সম্পর্কিত করে।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।

এ ভাষণে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-শাসন, বঞ্চনার ইতিহাস, নির্বাচনে জয়ের পর বাঙালি জাতির সাথে প্রতারণা ও বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের পটভূমি তুলে ধরেন। বিশ্ব ইতিহাসে বিশেষ করে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ ভাষণ এক স্মরণীয় দলিল। ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা ও মুক্তিযুদ্ধের নির্দেশনা পায়। এ ভাষণের পরই বাঙালি জাতির সামনে এক গন্তব্য নির্ধারণ হয়ে যায়, তা হলো 'স্বাধীনতা'। আর উদ্দীপকে এই ঐতিহাসিক ঘটনাটিই ইঙ্গিত রয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়টির মতো একটি বিষয় তথা বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারও এদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছিল।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকার গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। উদ্দীপকে ফ্রান্স যেমন দ্বিতীয়

বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকার গঠন করে বিজয় লাভ করে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার তেমনিভাবে সার্বভৌমত্ব অর্জনে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের লক্ষ্যে বাঙালি কর্মকর্তাদের নিয়ে মুজিবনগর সরকার প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেন। এতে মোট ১২টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিল। এগুলো হচ্ছে- প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ-শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়, সাধারণ প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিভাগ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, যুব ও অভ্যর্থনা শিবিরের নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ইত্যাদি। মুজিবনগর সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে (কলকাতা, দিল্লি, লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, স্টকহোম) বাংলাদেশ সরকারের মিশন স্থাপন করে। এসব মিশন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রচারণা ও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে। সরকার বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত নিয়োগ দেয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব নেতৃত্ব ও জনমতের সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করেন। মুজিবনগর সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক, বেসামরিক জনগণকে নিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সরকার বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করে। এছাড়া বেশ কিছু সাব-সেক্টর এবং তিনটি ব্রিগেড ফোর্স গঠিত হয়। সর্বোপরি ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে দেশকে দখলমুক্ত করার জন্য রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে।

৫. মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ১৫ দিন পরে একটি সরকার গঠন করা হয়। এই সরকার মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়। ঐ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে, "বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা।"

ক. রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কী কী?

খ. মুক্তিযুদ্ধে জাতিসংঘের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে যে সরকারের কথা বলা হয়েছে তার গঠন কাঠামো ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উক্ত সরকারের কার্যক্রম বিশ্লেষণ কর।

৫ নং প্রশ্নের উত্তর

ক. বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার চারটি মূলনীতি হলো- ১. জাতীয়তাবাদ; ২. গণতন্ত্র; ৩. সমাজতন্ত্র, ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ।

খ. মুক্তিযুদ্ধে জাতিসংঘ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, 'ভেটো' ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের বাইরে জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা ছিল সীমিত। তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জাতিসংঘের ভূমিকা প্রায় নিষ্ক্রিয়ই ছিল বলা যায়।

 

গ. উদ্দীপকে মুজিবনগর সরকারের কথা বলা হয়েছে। মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়।

মুজিবনগর সরকারের গঠন কাঠামো নিম্নরূপ-

১. রাষ্ট্রপতি: শেখ মুজিবুর রহমান

২. উপ-রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম (শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি)

৩. প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দীন আহমদ

৪. অর্থমন্ত্রী: এম, মনসুর আলী

৫. স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী: এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান

৬. পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী: খন্দকার মোশতাক আহমেদ

স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে উপদেশ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়। ন্যাশনাল আওয়ামী পাটির (ভাসানী ন্যাপ) মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (মোজাফফর ন্যাপ) অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, কমিউনিস্ট পার্টির কমরেড মণি সিং, জাতীয় কংগ্রেসের শ্রী মনোরঞ্জন ধর, তাজউদ্দীন আহমদ (বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী) ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ (বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী) কে নিয়ে মোট ৬ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল (অব.) এম.এ. জি ওসমানী।

ঘ. ২য় প্রশ্নে উল্লিখিত সরকার দ্বারা মুজিবনগর সরকারের কথা বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করা ছিল এ সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য।

মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের লক্ষ্যে বাঙালি কর্মকর্তাদের নিয়ে মুজিবনগর সরকার প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে। এতে মোট ১২টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিল। এগুলো হচ্ছে- প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ-শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়, সাধারণ প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিভাগ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, যুব ও অভ্যর্থনা শিবিরের নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ইত্যাদি।

মুজিবনগর সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে (কলকাতা, দিল্লি, লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, স্টকহোম) বাংলাদেশ সরকারের মিশন স্থাপন করে। এসব মিশন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রচারণা ও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে। সরকার বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত নিয়োগ দেয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব নেতৃত্ব ও জনমতের সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করেন। মুজিবনগর সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক, বেসামরিক জনগণকে নিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সরকার বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করে। এছাড়া বেশ কিছু সাব-সেক্টর এবং তিনটি ব্রিগেড ফোর্স গঠিত হয়। এসব বাহিনীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি সেনা কর্মকর্তা, সেনা সদস্য, পুলিশ, ইপিআর, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যগণ যোগদান করেন। সর্বোপরি ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে দেশকে পাকিস্তানিদের দখলমুক্ত করার জন্য রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছেন।

৬. ১৯৭১ সালে বাঙালি জনগণ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল, অন্যদিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্ব দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। ওই সময়ে ইউনিয়ন অব সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকস (USSR) বা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বর্তমান রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চরম মাত্রায় পৌঁছেছিল। রাশিয়া বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল; কিন্তু আমেরিকা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু আমেরিকার জনগণ আমাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল।

ক. মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?

খ. 'অপারেশন সার্চলাইট' কী? ব্যাখ্যা কর।

গ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্ব দুইদিকে অবস্থান নিয়েছিল কেন? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের সাধারণ জনগণের অবদান কী ছিল? উদ্দীপকের আলোকে আলোচনা কর

৬ নং প্রশ্নের উত্তর:

ক. মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

খ. ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালায় সেটি 'অপারেশন সার্চলাইট' নামে পরিচিত। ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পাকিস্তানি সামারিক বাহিনী এ হত্যাকাণ্ড চালায়। বাংলার ইতিহাসে এটি '২৫ মার্চের কালরাত্রি' নামে পরিচিত।

১৭ই মার্চ টিক্কা খান ও রাও ফরমান আলী 'অপারেশন সার্চলাইট' এর মাধ্যমে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। ২৫শে মার্চ রাতে ইয়াহিয়া ও ভুট্টো গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং ইয়াহিয়ার নির্দেশে পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে গণহত্যা চালায়। এটি এখন 'জাতীয় গণহত্যা দিবস' হিসেবে স্বীকৃত।

গ. আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতি, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক স্বার্থের কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পুরো বিশ্ব দুইদিকে অবস্থান নিয়েছিল।

বিশ্বের প্রধান দুটি শক্তিশালী রাষ্ট্র সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বর্তমান রাশিয়া ও. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্নায়ুযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে কমিউনিজম ও পুঁজিবাদী শিবিরে ভাগ হয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির কারণে ভারত বাংলাদেশকে সমর্থন দেয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন সহায়তা করে। কারণ সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ভারতের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ছিল। ভারত চেয়েছিল পাকিস্তান ভেঙে গেলে তাদের সামরিক প্রতিপত্তি ও আঞ্চলিক প্রভাব বাড়বে। আবার পাকিস্তান স্নায়ুযুদ্ধের সময় ন্যাটো জোটের সদস্য থাকায় যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছিল। আবার আঞ্চলিক কৌশলগত স্বার্থে বিশেষ করে ভারতের প্রভাব কমাতে চীন পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছিল। এছাড়া অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক স্বার্থের কারণে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পাকিস্তান ছিল গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও কৌশলগত অংশীদার। অপরদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের সাথে মিত্রতা গড়ে তুলেছিল। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেছিল।

উদ্দীপকে দেখা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চরম মাত্রায় পৌঁছেছিল। এ সময় আমেরিকা পাকিস্তানের পক্ষে এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয় তাদের নীতিগত স্বার্থের কারণে। তাই বলা যায়, আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতি এবং কূটনৈতিক স্বার্থের কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছিল।

ঘ. আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের সাধারণ জনগণের অবদান ছিল খুবই সুদূরপ্রসারী।

বিশ্বের অনেক দেশের সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেছে এবং বিভিন্ন রকমের সহায়তা প্রদান করেছে। বিভিন্ন দেশে সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তুলেছিল। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারত, ফ্রান্স এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে মানবাধিকার সংগঠন, ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের পক্ষে মিছিল, প্রতিবাদ এবং সংবাদ প্রচার করে জনমত সৃষ্টি করেছিল।

উদ্দীপকে উল্লিখিত আমেরিকা মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু আমেরিকার জনগণই আবার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল। ব্রিটিশ নাগরিক বিখ্যাত সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসন, পণ্ডিত রবি শংকর ও আলী আকবর খান মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি ও দান সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' ৪০,০০০ লোকের সমাগমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডভিত্তিক গান পরিবেশন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের পাশাপাশি প্রচার মাধ্যম, কংগ্রেসের অনেক সদস্য এদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করেছিল।

সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, সাধারণ মানুষের এই অবদান মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জনে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল।


প্র্যাকটিস

১. ইসরায়েলের বিধ্বংসী আগ্রাসনের কারণে ফিলিস্তিনের বাসিন্দাদের মারাত্মক জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। অগণিত ফিলিস্তিনি নাগরিক পার্শ্ববর্তী লেবানন ও মিশরে আশ্রয় গ্রহণ করছে। এসব দেশের সরকার তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শরণার্থী শিবির স্থাপন করেছে।

ক. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন?

খ. মুক্তিযুদ্ধকে গণযুদ্ধ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিতে মিশর ও লেবাননের সাথে কোন দেশের মিল রয়েছে? ঘটনাটি বর্ণনা কর।

ঘ. "উক্ত দেশগুলোর বন্ধুসুলভ মনোভাব বাংলাদেশের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল"- বিশ্লেষণ কর।

২. তথ্য-১: আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় লোকজন চায় দেশটি দক্ষিণাঞ্চলীয় অত্যাচারী শাসকদের হাত থেকে মুক্ত হোক। তাই কয়েকটি দল দেশটিতে জনগণের চেতনা বৃদ্ধিতে কাজ করে।

তথ্য-২: 'B' সাহেব নিজেকে ধন্য মনে করেন এজন্য যে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও বিশ্ব জনমত সৃষ্টিকারী সরকারের তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

ক. মুজিবনগর সরকার কবে শপথ গ্রহণ করে?

খ. গণমাধ্যম মুক্তিযুদ্ধে কীভাবে ভূমিকা রেখেছিল? ব্যাখ্যা কর।

গ. তথ্য-১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কোন শ্রেণিকে নির্দেশ করছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. 'B' সাহেবের সরকারই ছিল মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী তৈরির উদ্যোক্তা"- মতামত দাও।

৩. ফয়সাল বিদ্যালয়ে প্রদর্শিত একটি প্রামাণ্য চিত্রে একটি দেশের অস্থায়ী সরকারের ইতিহাস জানতে পারে। উক্ত সরকারের ছয়জন উপদেষ্টার ছবি এবং তাদের কার্যক্রমের বর্ণনা দেখে তার ইতিহাস জানার কৌতূহল আরও বেড়ে যায়।

ক. মুজিবনগর সরকারের কয়টি মন্ত্রণালয় ছিল?

খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে পাঠ্যপুস্তকের যে সরকারের ইঙ্গিত বহন করে তার বর্ণনা দাও।

ঘ. "উদ্দীপকের অনুরূপ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাণস্বরূপ।"- বিশ্লেষণ কর।

৪. রিফাতের বাবা 'P' দেশের নাগরিক। 'P' দেশের যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি আমেরিকায় বসবাস করতেন। নিজ দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে ওই দেশে বসবাসরত অন্যদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে নিজ দেশকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। তাদের পাঠানো এ অর্থ দিয়ে 'P' দেশের তৎকালীন সরকার যুদ্ধ পরিচালনার কাজে ব্যয় করেন।

ক. সোভিয়েত ইউনিয়নের বর্তমান নাম কি?

খ. ২৫শে মার্চকে কালরাত্রি বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে উদ্দীপকের প্রথমাংশে উল্লিখিত শ্রেণির ব্যাখ্যা দাও।

ঘ. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে উদ্দীপকে উল্লিখিত সরকারের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

প্রশ্ন-১. ইয়াহিয়া খান কত তারিখে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন?

উত্তর: ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন।

প্রশ্ন-২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবে রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন?

উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।

প্রশ্ন-৩. গণযুদ্ধ কাকে বলে?

উত্তর: যে যুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করে তাকে গণযুদ্ধ বলে।

প্রশ্ন-৪. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী?

উত্তর: রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

প্রশ্ন-৫. অপারেশন সার্চলাইট কী?

উত্তর: পাকিস্তানি সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে ঢাকাসহ কয়েকটি স্থানে যে ভয়াবহ গণহত্যা চালায়, তারই সাংকেতিক নাম ছিল 'অপারেশন সার্চলাইট।

প্রশ্ন-৬. কত তারিখে 'অপারেশন সার্চলাইট' পরিচালনার নীলনক্সা তৈরি করা হয়?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ১৭ই মার্চ 'অপারেশন সার্চলাইট' পরিচালনার নীলনক্সা তৈরি করা হয়।

প্রশ্ন-৭. কোন তারিখটি 'জাতীয় গণহত্যা দিবস' হিসেবে স্বীকৃত ?

উত্তর: ২৫শে মার্চ'জাতীয় গণহত্যা দিবস' হিসেবে স্বীকৃত।

প্রশ্ন-৮. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন?

উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন

প্রশ্ন-৯. বঙ্গবন্ধুকে কত তারিখে বন্দি করা হয়?

উত্তর: বঙ্গবন্ধুকে ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বন্দি করা হয়।

প্রশ্ন-১০. পেশাজীবী কারা?

উত্তর: সাধারণ অর্থে যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত তারাই হলেন পেশাজীবী।

প্রশ্ন-১১. 'স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র' কোথায় অবস্থিত ছিল?'

উত্তর: স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র চট্টগ্রামের কালুরঘাটে অবস্থিত ছিল।

প্রশ্ন-১২, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কবে চালু করা হয়?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করা হয়।

প্রশ্ন-১৩. যৌথ কমান্ড কী?

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী মিলে যে কমান্ড গঠন করে তাকে 'যৌথ কমান্ড' বলে।

প্রশ্ন-১৪. মুজিবনগর সরকার কখন গঠিত হয়েছিলো?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিলো।

প্রশ্ন-১৫. মুজিবনগর সরকার কবে শপথ গ্রহণ করে?

উত্তর: মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে।

প্রশ্ন-১৬. মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রশ্ন-১৭. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কে?

উত্তর: মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ।

প্রশ্ন-১৮. মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তর: মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী।

প্রশ্ন-১৯. মুজিবনগর সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?

উত্তর: মুজিবনগর সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠন করা।

প্রশ্ন-২০. কয়জন সদস্য নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়?

উত্তর: ৬ জন সদস্য নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়।

প্রশ্ন-২১. মুজিবনগর সরকারের কয়টি মন্ত্রণালয় ছিল?

উত্তর: মুজিবনগর সরকারের ১২টি মন্ত্রণালয় ছিল।

প্রশ্ন-২২. বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?

উত্তর: বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।

প্রশ্ন-২৩. কারা মুক্তিফৌজ নামে পরিচিত ছিল?

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের সময় সামরিক ও বেসামরিক জনগণের মিলিত অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা বাহিনী মুক্তিফৌজ নামে পরিচিত ছিল।

প্রশ্ন-২৪. সোভিয়েত ইউনিয়নের বর্তমান নাম কী?

উত্তর: সোভিয়েত ইউনিয়নের বর্তমান নাম রাশিয়া।

প্রশ্ন-২৫. জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা।

প্রশ্ন-২৬. বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারের প্রধান কেন্দ্র কোনটি ছিল?

উত্তর: বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারের প্রধান কেন্দ্র ছিল লন্ডন।

প্রশ্ন-২৭. কাদের নিয়ে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের প্রতিনিধিদের নিয়ে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়েছিল।

প্রশ্ন-২৮. মুজিবনগর সরকারের বিশেষ দূত কে ছিলেন?

উত্তর: মুজিবনগর সরকারের বিশেষ দূত ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।

প্রশ্ন-২৯. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কী নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে?

উত্তর: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে 'গণযুদ্ধ' বা 'জনযুদ্ধ' নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন-৩০. বাংলাদেশ কত তারিখে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে?

উত্তর: বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

১. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কাদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। অনেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করে। মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখার বিরাট অংশ ছিল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মুক্তিযুদ্ধের একপর্যায়ে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল মূলত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র সমাজের মহান আত্মত্যাগ ব্যতীত স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হতো

২. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। সংবাদপত্র ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করেন। পরে এটি মুজিবনগর সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র সংবাদ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, রণাঙ্গনের নানা ঘটনা ইত্যাদি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস যুগিয়ে বিজয়ের পথ সুগম করেছে গণমাধ্যম। এছাড়া মুজিবনগর সরকারের প্রচার সেলের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজ কীভাবে বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। মুক্তিবাহিনীর অনিয়মিত শাখার বিরাট অংশ ছিল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী; ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা। বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তারা স্বাধীনতার বিজয় পতাকা ছিনিয়ে আনতে সহায়তা করে। এভাবেই মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজ বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।

৪. মুক্তিযুদ্ধকে কেন 'গণযুদ্ধ' বা 'জনযুদ্ধ' বলা হয়?

উত্তর: সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে পরিচালিত হয়েছিল বিধায় মুক্তিযুদ্ধকে গণযুদ্ধ বলা হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক, ইপিআর, পুলিশ, আনসার, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্রছাত্রী, পেশাজীবী, নারী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাই মুক্তিযুদ্ধকে 'গণযুদ্ধ' বা 'জনযুদ্ধ' বলা হয়।

৫. ২৫ মার্চকে কেন কালরাত্রি হিসেবে অভিহিত করা হয়?

উত্তর: ২৫ মার্চ বাঙালির ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে 'অপারেশন সার্চলাইট' নামে দেশব্যাপী শুরু হয় পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলা। ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে হানাদার বাহিনী চালাতে থাকে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ। তারা ঢাকাসহ অন্যান্য শহরেও হাজার হাজার নিরীহ, নিরস্ত্র বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ কারণে ২৫ মার্চকে ইতিহাসে কালরাত্রি হিসেবে অভিহিত করা হয়।

৬. মুক্তিযুদ্ধে জাতিসংঘের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতিসংঘ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা। পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান যখন বাংলাদেশের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে বাঙালি নিধনে তৎপর হয়ে ওঠে, তখন জাতিসংঘ এর প্রতিবাদ না করে নীরবতা পালন করে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নারকীয় হত্যাকাণ্ড, মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধেও জাতিসংঘ কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। প্রকৃতপক্ষে 'ভেটো' ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তির রাষ্ট্রের বাইরে জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা ছিল সীমিত।

৭. মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় তাতে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

অপরদিকে, সহযোদ্ধা হিসেবে নারীরা আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রুষা, তাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৮. যুক্তফ্রন্ট কেন গঠন করা হয়?

উত্তর: পূর্ব বাংলার ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে পরাজিত করা এবং বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই ছিল যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূল উদ্দেশ্য। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর শাসক দল মুসলিম লীগ দীর্ঘদিন নির্বাচনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার গঠনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করে প্রাদেশিক সরকার নিয়ে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার টালবাহানা করে। ফলে প্রাদেশিক পরিষদে (পূর্ব বাংলায়) মুসলিম লীগ বা তৎকালীন পাকিস্তান শাসকদের শোচনীয় পরাজয় ঘটানোর লক্ষ্যে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়।

৯. মুক্তিযুদ্ধে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মীর অবদান বর্ণনা কর।

উত্তর: মুক্তিযুদ্ধে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মীর অবদান ছিল খুবই প্রশংসনীয়। পত্রপত্রিকার লেখা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে খবর পাঠ, দেশাত্মবোধক গান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান, কবিতা পাঠ, নাটক, কথিকা, এম. আর. আকতার মুকুলের অত্যন্ত জনপ্রিয় 'চরমপত্র' অনুষ্ঠান এবং 'জল্লাদের দরবার' ইত্যাদি রণক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের মানসিক ও নৈতিক বল ধরে রাখতে সহায়তা করেছে, সাহস জুগিয়েছে, জনগণকে শত্রুর বিরুদ্ধে দুর্দমনীয় করেছে।

১০. 'অপারেশন সার্চলাইট' কী? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালায় সেটি 'অপারেশন সার্চলাইট' নামে পরিচিত। ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পাকিস্তানি সামারিক বাহিনী এ হত্যাকাণ্ড চালায়। বাংলার ইতিহাসে এটি '২৫ মার্চের কালরাত্রি' নামে পরিচিত।

বহুনির্বাচনী

১. মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী কে ছিলেন?

ক. এম. মনসুর আলী

খ. তাজউদ্দীন আহমদ

গ. খন্দকার মোশতাক আহমেদ

ঘ. এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান

উত্তর: ঘ. এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান

২. মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্ব জনমত গঠনের জন্য সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব-

i. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন

ii. গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন

iii. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য রাখেন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও iii

খ. i, ii ও iii

গ. i ও ii

ঘ. ii ও iii

উত্তর: গ. i ও ii

৩. পাকিস্তানের ২৪ বছরে বাঙালি জাতির স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে কারা?

ক. বুদ্ধিজীবীরা

খ. ছাত্রসমাজ

গ. নারীসমাজ

ঘ. পেশাজীবীরা

উত্তর: খ. ছাত্রসমাজ

৪. মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয় ত্বরান্বিত হয় কীভাবে?

ক. ভারত-বাংলাদেশ যৌথবাহিনী গঠনের ফলে

খ. জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের মধ্য দিয়ে

গ. ভারতের স্বীকৃতিদানের মাধ্যমে

ঘ. বাংলাদেশে মুক্তিবাহিনী গঠনের মাধ্যমে

উত্তর: ক. ভারত-বাংলাদেশ যৌথবাহিনী গঠনের ফলে

৫. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের পর সর্বাধিক অবদান রাখে কোন দেশ?

ক. যুক্তরাষ্ট্র

খ. ব্রিটেন

গ. রাশিয়া

ঘ. ইরাক

উত্তর: গ. রাশিয়া

৬. মুজিবনগর সরকারের 'বিশেষ দূত' হিসেবে কাজ করেন কে?

ক. অধ্যাপক ইউসুফ আলী

খ. বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী

গ. অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ

ঘ. খন্দকার মোশতাক আহমেদ

উত্তর: খ. বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী

৭. ৭ মার্চ, ১৯৭১-এর ভাষণে কিসের ইঙ্গিত রয়েছে?

ক. ঐক্য

খ. নির্বাচন

গ. জাতীয়তা

ঘ. স্বাধীনতা

উত্তর: ঘ. স্বাধীনতা

৮. 'অপারেশন সার্চলাইট'-এর নীল নকশা কে তৈরি করেন?

ক. ইয়াহিয়া খান

খ. রাও ফরমান আলী

গ. আইয়ুব খান

ঘ. জুলফিকার আলী ভুট্টো

উত্তর: খ. রাও ফরমান আলী

৯. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

ক. এম. মনসুর আলী

খ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম

গ. তাজউদ্দীন আহমদ

ঘ. এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান

উত্তর: গ. তাজউদ্দীন আহমদ

১০. মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কে ছিলেন?

ক. সৈয়দ নজরুল ইসলাম

খ. অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ

গ. শেখ মুজিবুর রহমান

ঘ. এম মনসুর আলী

উত্তর: খ. অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ

১১. কখন মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল?

ক. ২৬ মার্চ ১৯৭১

খ. ১০ এপ্রিল ১৯৭১

গ. ১১ এপ্রিল ১৯৭১

ঘ. ১৭ এপ্রিল ১৯৭১

উত্তর: খ. ১০ এপ্রিল ১৯৭১

১২. মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কে?

ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

খ. কর্নেল (অব.) এম.এ.জি ওসমানী

গ. মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

ঘ. তাজউদ্দীন আহমদ

উত্তর: খ. কর্নেল (অব.) এম.এ.জি ওসমানী

১৩. অস্থায়ী সরকার গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?

ক. দেশ পরিচালনা করা

খ. পাকিস্তান সরকারের সাথে আলোচনা করা

গ. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি করা

ঘ. প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করা

উত্তর: গ. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি করা

১৪. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাকবাহিনীর সমর্থনে কোন দলটি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে?

ক. ন্যাপ (মোজাফফর)

খ. মুসলিম লীগ

গ. কমিউনিস্ট পার্টি

ঘ. জাতীয় কংগ্রেস

উত্তর: খ. মুসলিম লীগ

১৫. স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ছিল কত জন?

ক.৪

খ. ৬

গ. ৮

ঘ. ১২

উত্তর: খ. ৬

১৬. ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম হরতালে পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি কার্যক্রমে কীরূপ অবস্থা বিরাজ করে?

ক. সংগ্রামমুখী

খ. প্রতিবাদমুখর

গ. স্থবিরতা

ঘ. আন্দোলনরত

উত্তর: গ. স্থবিরতা

১৭. মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের কত তারিখে শপথ গ্রহণ করেন

ক. ২৬ মার্চ

খ. ১০ এপ্রিল

গ. ১৭ এপ্রিল

ঘ. ১৬ এপ্রিল

উত্তর: গ. ১৭ এপ্রিল

১৮. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

ক. সৈয়দ নজরুল ইসলাম

খ. তাজউদ্দীন আহমদ

গ. এম. মনসুর আলী

ঘ. খন্দকার মোশতাক আহমেদ

উত্তর: খ. তাজউদ্দীন আহমদ

১৯. জনাব রাশেদ এবং তার সহযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীকে হঠাৎ আক্রমণ করে পালিয়ে আত্মরক্ষা করতেন। তিনি কোন ধরনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন?

ক. গেরিলা

খ. সম্মুখ

গ. নিয়মিত

ঘ. সহায়ক

উত্তর: ক. গেরিলা

২০. 'অপারেশন সার্চলাইট' শুরু হয়-

ক. ২৫ মার্চ রাতে

খ. ২৬ মার্চ রাতে

গ. ২৭ মার্চ রাতে

ঘ. ১৭ এপ্রিল রাতে

উত্তর: ক. ২৫ মার্চ রাতে

২১. পাকিস্তান গণপরিষদে দেশের সংবিধান প্রণয়ন করতে কত বছর সময় লাগে?

ক. ৭

খ. ৮

গ. ৯

ঘ. ১০

উত্তর: গ. ৯

২২. শিল্পী জর্জ হ্যারিসন মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করে কোনটির দ্বারা?

ক. কবিতা রচনা করে

খ. চলচ্চিত্র তৈরি করে

গ. গান গেয়ে

ঘ. ছবি এঁকে

উত্তর: গ. গান গেয়ে

২৩. 'অপারেশন সার্চলাইট' কী?

ক. যুদ্ধপ্রস্তুতি

খ. আলোর সন্ধান

গ. গণহত্যা

ঘ. নৌ-ঘাঁটি আক্রমণ

উত্তর: গ. গণহত্যা

২৪. মুক্তিবাহিনীতে একক গোষ্ঠী হিসেবে কাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল?

ক. শ্রমিক

খ. কৃষক

গ. চাকরিজীবী

ঘ. ছাত্র

উত্তর: ঘ. ছাত্র

২৫. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী?

ক. রমনা পার্ক

খ. শিশু পার্ক

গ. বোটানিকাল গার্ডেন

ঘ. সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

উত্তর: ঘ. সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

২৬. ২৫ মার্চের পৈশাচিক গণহত্যার নাম কী ছিল?

ক. অপারেশন জ্যাকপট

খ. অপারেশন ফ্রিডম

গ. কিলিং

ঘ. অপারেশন সার্চলাইট

উত্তর: ঘ. অপারেশন সার্চলাইট

২৭. মুক্তিযুদ্ধের উপদেষ্টা কমিটিতে সদস্য ছিলেন-

ক. কমরেড মনি সিং

খ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম

গ. এম মনসুর আলী

উত্তর: ক. কমরেড মনি সিং

ঘ. এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান

২৮. কত হাজার পাকসেনা নিঃশর্তে যৌথ কমান্ডের নিকট আত্মসমর্পণ করে?

ক. ৯২

খ. ৯৩

গ. ৯৪

ঘ. ৯৫

উত্তর: খ. ৯৩

২৯. কখন অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা করা হয়?

ক. ১৫ মার্চ

খ. ১৭ মার্চ

গ. ২১ মার্চ

ঘ. ২৫ মার্চ

উত্তর: খ. ১৭ মার্চ

৩০. অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন-

ক. টিক্কা খান

খ. জুলফিকার আলী ভুট্টো

গ. জেনারেল নিয়াজি

ঘ. ইয়াহিয়া খান

উত্তর: ক. টিক্কা খান

৩১. ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সংঘটিত হয়-

i. আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা

ii. মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ

iii. মুজিবনগর সরকার গঠন নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i

খ. Ii

গ. i ও iii

ঘ. ii ও iii

উত্তর: গ. i ও iii

৩২. মুজিবনগর সরকার গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল-

i. বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি করা

ii. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন বাহিনী গঠন

iii. রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দল গঠন করা

নিচের কোনটি সঠিক

ক. i ও ii

খ. i ও ii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

৩৩. এ দেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা মুক্তিযুদ্ধে কীভাবে অবদান রেখেছিল?

i. অস্ত্র চালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে

ii. আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রুষা করে

iii. মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৩৪. 'A' দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জনাব 'X' একটি কমিটি তৈরির ঘোষণা দেন। তিনি উক্ত কমিটির প্রধানমন্ত্রী হন এবং এই কমিটির অধীনে যুদ্ধটিকে সফলতার সাথে পরিচালনা করেন।

তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন রাজনৈতিক নেতাটি জনাব 'X' এর মতো?

ক. তাজউদ্দীন আহমদ

খ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম

গ. এম. মনসুর আলী

ঘ. এ, এইচ, এম কামারুজ্জামান

উত্তর: ক. তাজউদ্দীন আহমদ

৩৫. জনাব 'ক' ১৯৭০ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে সদ্য কর্মস্থলে যোগদান করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে যুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে কাদের প্রতিনিধিত্ব করেন?

ক. ছাত্রসমাজ

খ. বুদ্ধিজীবী

গ. পেশাজীবী

ঘ. জনসাধারণ

উত্তর: গ. পেশাজীবী

৩৬. জনাব 'ক' ১৯৭০ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে সদ্য কর্মস্থলে যোগদান করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে যুদ্ধে যোগদান করেন।

উক্ত গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন-

i. সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে

ii. বিশ্ববাসীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য দিয়ে

iii. শরণার্থীদের মানসিকভাবে সাহস যুগিয়ে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i

খ. ii

গ. iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৩৭. মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা কেমন ছিল?

ক. গৌরবোজ্জ্বল

খ. ভীতিজনক

গ. নৈরাশ্যজনক

ঘ. বিশ্বাস ঘাতক

উত্তর: ক. গৌরবোজ্জ্বল

৩৮. কোন পাকিস্তানি নেতারা ২৫ মার্চ রাতে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন?

ক. ইয়াহিয়া ও টিক্কা খান

খ. ইয়াহিয়া ও ভুট্টো

গ. ইয়াহিয়া ও রাও ফরমান আলী

ঘ. ইয়াহিয়া ও খাজা নাজিমুদ্দীন

উত্তর: খ. ইয়াহিয়া ও ভুট্টো

৩৯. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য প্রদানে কারা ভূমিকা পালন করে?

ক. ছাত্র

খ. পেশাজীবী

গ. রাজনীতিবিদ

ঘ. প্রবাসী

উত্তর: খ. পেশাজীবী

৪০. কত জনের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা করা হয়?

ক. ৩০

খ. ৩৫

গ. ৩৭

ঘ.৩৮

উত্তর: খ. ৩৫

৪১. ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল কতজন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়?

ক. ৮

খ. ১০

গ. ১১

ঘ. ১২

উত্তর: গ. ১১

৪২. মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য হলো-

i. জাতীয়তাবাদের উন্মেষ

ii. নিপীড়ন থেকে মুক্তি

iii. বাঙালির স্বপ্নপূরণ নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৪৩. মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যম যে ভূমিকা পালন করে-

i. মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করে

ii. দেশাত্মবোধক গান ও সংবাদ প্রচার

iii. রণাঙ্গনের তথ্য প্রচার

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৪৪. অপারেশন সার্চলাইটের নীল নকশাকারীরা হলো-

i. টিক্কা খান

ii. রাও ফরমান আলী

iii. আইয়ুব খান

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

৪৫. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক এক সেমিনারে একজন বক্তা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনেক দেশ সহযোগিতা করেছিল। একটি দেশ শরণার্থীদের আশ্রয় ও যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।

উদ্দীপকে কোন দেশটির কথা বলা হয়েছে?

ক. চীন

খ. ভারত

গ. রাশিয়া

ঘ. যুক্তরাষ্ট্র

উত্তর: খ. ভারত

৪৬. দেশটির সহযোগিতার ফল হলো-

i. স্বাধীনতা অর্জন

ii. নিজেদের স্বার্থলাভ

iii. পাক-বাহিনীর উচ্ছেদ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

উত্তর: খ. i ও iii

ঘ. i. ii ও iii

৪৭. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কোন সরকার গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?

ক. পাকিস্তান সরকার

খ. আওয়ামী লীগ সরকার

গ. মুজিবনগর সরকার

ঘ. পূর্ব পাকিস্তান সরকার

উত্তর: গ. মুজিবনগর সরকার

৪৮. কত তারিখে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়?

ক. ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১

খ. ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭১

গ. ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১

ঘ. ২২শে ডিসেম্বর, ১৯৭১

উত্তর: ক. ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১

৪৯. বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কত তারিখে ঘোষিত হয়?

ক. ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১

খ. ১১ই এপ্রিল, ১৯৭১

গ. ১৬ই এপ্রিল, ১৯৭১

ঘ. ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭১

উত্তর: ক. ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১

৫০. কবে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পাঠ করেন?

ক. ২৬শে মার্চ

খ. ২৫শে মার্চ

গ. ২৮শে মার্চ

ঘ. ২৯শে মার্চ

উত্তর: ক. ২৬শে মার্চ

৫১. কবে মেজর জিয়াউর রহমান বন্দবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন?

ক. ২৬শে মার্চ

খ. ২৫শে মার্চ

গ. ২৭শে মার্চ

ঘ. ২৯শে মার্চ

উত্তর: গ. ২৭শে মার্চ

৫২. মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?

ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

খ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম

গ. তাজউদ্দীন আহমদ

ঘ. এম. মনসুর আলী

উত্তর: ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

৫৩. মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?

ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

খ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম

গ. এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান

ঘ. কমরেড মণি সিং

উত্তর: খ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম

৫৪. ১৯৭১ সালে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে কে ছিলেন?

ক. কমরেড মণি সিং

খ. ফরহাদ মাজহার

গ. অলি আহাদ

ঘ. সুখময় সেন

উত্তর: ক. কমরেড মণি সিং

৫৫. মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?

ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

খ. কর্নেল (অব.) এম. এ. জি. ওসমানী

গ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম

ঘ. তাজউদ্দীন আহমদ

উত্তর: খ. কর্নেল (অব.) এম. এ. জি. ওসমানী

৫৬. ১০ই এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করে?

ক.৪

খ. ৮

গ. ৯

ঘ. ১১

উত্তর: ঘ. ১১

৫৭. মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে কয়টি ব্রিগেড ফোর্স গঠিত হয়েছিল?

ক. ৩টি

খ. ৪টি

গ. ৫টি

ঘ. ৬টি

উত্তর: ক. ৩টি

৫৮. ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী অতর্কিত হামলা চালালে বাঙালিরা কীরূপ ভূমিকা পালন করেছিল?

ক. প্রতিরোধ করেছিল

খ. নিয়তি ভেবে মেনে নিয়েছিল

গ. বিনা প্রতিরোধে শহিদ হয়েছিল

ঘ. পরাস্ত হয়েছিল

উত্তর: ক. প্রতিরোধ করেছিল

৫৯. কারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল?

ক. ছাত্র

খ. জনগণ

গ. সাংস্কৃতিক কর্মী

ঘ. পেশাজীবী

উত্তর: খ. জনগণ

৬০. মুক্তিযুদ্ধের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করেছিল কারা?

ক. মিত্র বাহিনী

খ. সেক্টর কমান্ডাররা

গ. গেরিলা বাহিনী

ঘ. রাজনৈতিক নেতৃত্ব

উত্তর: ঘ. রাজনৈতিক নেতৃত্ব

৬১. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল-

i. নতুন দেশ গঠনের ইচ্ছা

ii. প্রশাসনের দুর্নীতি

iii. বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. iii

খ. i ও ii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৬২. ১৯৭০ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পরও আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় না যেতে পারার কারণ-

i. পাক প্রশাসনের ষড়যন্ত্র

ii. পাক প্রশাসনের ভীতি

iii. আওয়ামী নেতাদের দুর্বলতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. iii

গ. ii ও iii

খ. i ও ii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও ii

৬৩. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে-

i. সামরিক বাহিনী

ii. বেসামরিক বাহিনী

iii. স্বাধীনতাকামী জনগণ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. iii

খ. i ও ii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৬৪. মুজিবনগর স্বাধীনতা যুদ্ধে যে ভূমিকা পালন করেছিল-

i. জনমত সৃষ্টি

ii. যুদ্ধ পরিচালনা

iii. রাষ্ট্র পরিচালনা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. ii

খ. i ও ii

গ. ii ও iii

ঘ. i. ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৬৫. বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের যে বৈশিষ্ট্য ১৯৭১ সালে ফুটে ওঠে-

i. দেশপ্রেম

ii. সাহসিকতা

iii. আত্মত্যাগ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. iii

খ. i ও ii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৬৬. বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের যে কারণে সারা জীবন স্মরণ করবে-

i. তাদের আত্মত্যাগের জন্য

ii. সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান বলে

iii. দেশকে স্বাধীন করেছে বলে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. iii

খ. i ও ii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ. i ও ii

৬৭. মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক দল যেভাবে অবদান রাখে-

i. বিদেশে জনমত সৃষ্টি

ii. নেতৃত্বদান

iii. মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৬৮. পেশাজীবী হলেন-

i. চিকিৎসক

ii. সাংবাদিক

iii. ছাত্র

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ক. i ও ii

৬৯. মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবীরা যেভাবে অবদান রাখে

i. প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহ

ii. শরণার্থীদের উৎসাহ প্রদান

iii. মুক্তিযুদ্ধের তথ্য প্রচার

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও ii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

৭০. মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যম যে ভূমিকা পালন করে

i. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রচার

ii. রণাঙ্গনের তথ্য প্রচার

iii. মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অনুপ্রাণিত করা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও ii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ঘ. i, ii ও iii

 

প্র্যাকটিস

১. ১৯৭১ সালের ১১ই এপ্রিল বেতার ভাষণে মুজিবনগর সরকার

গঠনের কথা প্রচার করেন কে?

ক. তাজউদ্দীন আহমদ

খ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম

গ. ক্যাপ্টেন এম, মনসুর আলী

ঘ. এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান

২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে কে মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা করেন?

ক. সৈয়দ নজরুল ইসলাম

খ. ক্যাপ্টেন মনসুর আলী

গ. তাজউদ্দীন আহমদ

ঘ. বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী

৩. মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের দায়িত্বে কোন নেতা নিয়োজিত ছিলেন?

ক. এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান

খ. এম. মনসুর আলী

গ. কমরেড মণি সিং

ঘ. মওলানা ভাসানী

৪. কোন দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি সমর্থন জানায়?

ক. ভুটান

গ. ভারত

খ. নেপাল

ঘ. শ্রীলংকা

৫. কত তারিখে ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়?

ক. ৩রা ডিসেম্বর

খ. ৫ই ডিসেম্বর

গ. ৬ই ডিসেম্বর

ঘ. ৭ই ডিসেম্বর

৬. মুক্তিবাহিনী কোন দেশের বাহিনীর সাথে যৌথ কমান্ড গড়ে তোলে?

ক. রাশিয়া

খ. যুক্তরাষ্ট্র

গ. নেপাল

ঘ. ভারত

৭. কোন রাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব করেছিল?

ক. সোভিয়েত ইউনিয়ন

খ. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

গ. চীন

ঘ. ভারত

৮. ভেটো কী?

ক. বিরোধিতা করা

খ. প্রস্তাব গ্রহণের ক্ষমতা

গ. বিশেষ নিরাপত্তা ক্ষমতা

ঘ. আগ্রাসনের ক্ষমতা

৯. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ দলীয় প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের কত তারিখে শপথ পাঠ করানো হয়?

ক. ১৯৭১ সালের ৩রা জানুয়ারি

খ. ১৯৭১ সালের ৪ঠা জানুয়ারি

গ. ১৯৭১ সালের ৫ই জানুয়ারি

ঘ. ১৯৭১ সালের ৬ই জানুয়ারি

১০. প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কোথায় হয়?

ক. জাতীয় সংসদে

গ. জিরো পয়েন্টে

খ. রেসকোর্স ময়দানে

ঘ. ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বারে

১১. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সদস্যদের শপথ পাঠ করান কে?

ক. তোফায়েল আহমেদ

খ. মওলানা ভাসানী

গ. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

ঘ. এম. মনসুর আলী

১২. শপথ অনুষ্ঠানে কীসের প্রতি অবিচল থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়?

ক. বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি

খ. ৬ দফা ও ১১ দফার প্রতি

গ. ইয়াহিয়ার নির্দেশের প্রতি

ঘ. গণপরিষদের ঘোষণার প্রতি

১৩. জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার কারণে কোন নেতা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন?

ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

খ. তাজউদ্দীন আহমদ

গ. এম. মনসুর আলী

ঘ. মওলানা ভাসানী

১৪. ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকায় হরতাল পালিত হওয়ার কারণ কী ছিল

ক. অধিবেশন আহ্বান

খ. অধিবেশন স্থগিত

গ. ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব

ঘ. নির্বাচনে কারচুপি

১৫. আফগানিস্তানের বাদশাহ জহির শাহের পতনের পর রাশিয়ার মদদে ও বামপন্থীদের দুঃশাসনে লাখ লাখ আফগান পার্শ্ববর্তী পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়। পাকিস্তান সরকার তাদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন রাষ্ট্রের ভূমিকা উদ্দীপকের পাকিস্তান রাষ্ট্রের অনুরূপ ছিল?

ক. চীন

খ. আমেরিকা

গ. ভারত

ঘ. রাশিয়া

১৬. আফগানিস্তানের বাদশাহ জহির শাহের পতনের পর রাশিয়ার মদদে ও বামপন্থীদের দুঃশাসনে লাখ লাখ আফগান পার্শ্ববর্তী পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়। পাকিস্তান সরকার তাদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করে।

উক্ত রাষ্ট্রের গৃহীত কার্যক্রমের ফলে-

i. স্বাধীনতা লাভ বিলম্বিত হয়

ii. স্বাধীনতা লাভ ত্বরান্বিত হয়

iii. বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠিত হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i

খ. i ও ii

গ. i ও iii

ঘ. ii ও iii

 

১৭. ১৯৯৫ সালের ১১ই জুলাই সাব সেনারা বসনিয়ায় এক বাভৎস গণহত্যা চালায়। তারা বিমান-কামান-কন্দুক ব্যবহার করে ওই দিন প্রায় আট হাজার মুসলিম বসনিয়ানকে হত্যা করে।

উদ্দীপকটি বাঙালির জীবনের কোন ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়?

ক. ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান

খ. ১৯৭০ সালের নির্বাচন

গ. ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালরাত

ঘ. ১৯৯১ সালের গণআন্দোলন

১৮. এদেশের অগণিত নারী মুক্তিসেনা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিল-

i. অস্ত্র চালনা ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে

ii. আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রুষা করে

iii. মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান ও তথ্য সরবরাহ করে নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

১৯. এদেশের সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছে-

i. মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়ে

ii. শত্রুর অবস্থান ও চলাচলের তথ্য দিয়ে

iii. খাবার ও ঔষধ সরবরাহ করে নিচের কোনটি সঠিক?

ক. iii

খ. i ও ii

গ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

২০. কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এর শিল্পী হিসেবে ছিলেন-

i. পণ্ডিত রবিশংকর

ii. আলী আকবর খান

iii. রফিকুল ইসলাম

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. ii ও iii

গ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

২১. শিল্পী জর্জ হ্যারিসন কর্তৃক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডভিত্তিক গান পরিবেশন করার কারণ হলো-

i. বিশ্ব জনমত সৃষ্টি

ii. দান সহায়তা কার্যক্রম

iii. অর্থ উপার্জন নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

২২. জর্জ হ্যারিসন কোন দেশের নাগরিক ছিলেন?

ক. আমেরিকা

খ. ভারত

গ. রাশিয়া

ঘ. ব্রিটেন

২৩. বিশ্ব নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করলেও কোন সংস্থা মুক্তিযুদ্ধের সময় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল?

ক. কমনওয়েলথ

খ. জাতিসংঘ

গ. ওআইসি

ঘ. ইইউ

২৪. নিচের কোন দেশ তৃতীয় বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে?

ক. সোমালিয়া

খ. দক্ষিণ সুদান

গ. বাংলাদেশ

ঘ. পূর্ব তিমুর

২৫. 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' আয়োজনের উদ্দেশ্য কী ছিল?

ক. পাকিস্তানকে সাহায্য করা

খ. বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো

গ. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন এবং তহবিল সংগ্রহ করা

ঘ. কোনো উদ্দেশ্য ছিল না

২৬. ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবীদের ভূমিকা কী ছিল?

ক. পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করা

খ. নিরপেক্ষ থাকা

গ. প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা

ঘ. মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা

২৭. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কত তারিখে চালু হয়েছিল?

ক. ২৫শে মার্চ

খ. ২৬শে মার্চ

গ. ২৭শে মার্চ

ঘ. ২৮শে মার্চ

২৮. 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

ক. ঢাকা

খ. লন্ডন

গ. নিউইয়র্ক

ঘ. কলকাতা

২৯. ছাত্ররা ১১ দফার দাবিতে কত সালে আন্দোলন করেছিল?

ক. ১৯৬১

খ. ১৯৬২

গ. ১৯৬৮

ঘ. ১৯৬৯

৩০. পাকিস্তানে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কত সালে?

ক. ১৯৫৪

খ. ১৯৬৫

গ. ১৯৬৯

ঘ. ১৯৭০

৩১. মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সপক্ষে নিচের কোন দলটি ভূমিকা পালন করেছিল?

ক. কমিউনিস্ট পার্টি

খ. পিডিপি

গ. মুসলিম লীগ

ঘ. খেলাফত মজলিশ

৩২. ছাত্ররা কত সালে শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে?

ক. ১৯৬০

খ. ১৯৬২

গ. ১৯৬৫

ঘ. ১৯৬৬

৩৩. যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন সাধারণত তাদেরকে কী নামে আখ্যায়িত করা হয়?

ক. আইনজীবী

খ. আমলা

গ. পেশাজীবী

ঘ. কূটনীতিক

৩৪. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবীরা কীভাবে অবদান রেখেছিলেন?

ক. বিশ্ববাসীর কাছে তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে

খ. অর্থ সংগ্রহের জন্য কনসার্ট আয়োজন করে

গ. মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রুষা করে

ঘ. মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে

৩৫. ১৯৭১ সালে গঠিত সংগ্রাম পরিষদে নারীদের মধ্যে কাদের অংশগ্রহণ স্বতঃস্ফূর্ত ছিল?

ক. কিশোরীদের

খ. প্রবীণদের

গ. বিধবাদের

ঘ. ছাত্রীদের

৩৬. মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ত্যাগের স্বীকৃতি

তাদেরকে কী উপাধিতে ভূষিত করা হয়?

ক. তিলোত্তমা

খ. বীরাঙ্গনা

গ. বীরোত্তমা

ঘ. মহীয়সী নারী

৩৭. সরকার কত সালে বীরাঙ্গনাদের 'মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?

ক. ২০১২

খ. ২০১৩

গ. ২০১৪

ঘ. ২০১৬

৩৮. কারা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন?

ক. ঢাকা বেতারের কর্মীরা

খ. রাজশাহী বেতারের কর্মীরা

গ. চট্টগ্রাম বেতারের কর্মীরা

ঘ. খুলনা বেতারের কর্মীরা

৩৯. কোথায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করা হয়?

ক. ঢাকায়

খ. কুমিল্লায়

গ. রাজশাহীতে

ঘ. চট্টগ্রামে

৪০. মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি বেতার কেন্দ্র তাদের সম্প্রচার কার্যক্রমের কারণে 'স্বাধীন বাংলা' বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রে

পরিণত হয়। বেতার কেন্দ্রটির নাম কী?

ক. ঢাকা সম্প্রচার কেন্দ্র

খ. খুলনা সম্প্রচার কেন্দ্র

গ. আকাশবাণী সম্প্রচার কেন্দ্র

ঘ. কালুরঘাট সম্প্রচার কেন্দ্র

৪১. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো?

ক. মুক্তিযোদ্ধাদের

খ. মিত্রবাহিনীর

গ. মুজিবনগর সরকারের

ঘ. সেক্টর কমান্ডারের

৪২. মারুফ আহমেদ একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। ১৯৭১ সালে তিনি মুজিবনগর সরকারের প্রচারসেলের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন। পত্রিকাটির নাম কী?

ক. জয়বাংলা

গ. চরমপত্র

খ. জাগো

ঘ. কথিকা সংকলন

উত্তরমালা

১.ক

২. গ

 

৩. ক

 

৪. গ

 

৫. গ

 

৬. ঘ

 

৭. খ

 

৮. ক

 

৯. ক

 

১০. খ

 

১১. গ

 

১২. খ

 

১৩. ক

১৪. খ

 

১৫. গ

 

১৬. ঘ

 

১৭. গ

 

১৮. ঘ

১৯. 

২০.ক

২১.ক

২২.ঘ

২৩.খ

২৪.গ

২৫.গ

২৬.গ

২৭.খ

২৮.গ

২৯.গ

৩০.ঘ

৩১.ক

৩২.খ

৩৩.গ

৩৪.ক

৩৫.ঘ

৩৬.খ

৩৭. ঘ

৩৮.গ

৩৯.ঘ

৪০.ঘ

৪১.গ

৪২.ক