বাংলা ১ম পত্র - সেইদিন এই মাঠ ( সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান )

 


সেইদিন এই মাঠ

জীবনানন্দ দাশ

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

০১। লক্ষ্মীপেঁচার কণ্ঠে কী ধ্বনিত হয়? [ঢা.বো.'২৩]

উত্তর: লক্ষ্মীপেঁচার কণ্ঠে ধ্বনিত হয় মঙ্গলবার্তা।

০২। খেয়া নৌকাগুলো কোথায় এসে লেগেছে? [রা.বো.'২৩; কু বো.'২২]

উত্তর: খেয়া নৌকাগুলো চরের খুব কাছে এসে লেগেছে।

০৩। জীবনানন্দ দাশের কবিতার মৌলিক প্রেরণা কী?

উত্তর: প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য জীবনানন্দ দাশের কবিতার মৌলিক প্রেরণা।

০৪। পৃথিবীর কোন সভ্যতাটি ধুলো হয়ে গেছে? [য.বো.'২২]

উত্তর: পৃথিবীর এশিরিয়া নামক সভ্যতাটি ধুলো হয়ে গেছে।

০৫। 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় চালতা ফুল কীসের জলে ভিজবে? [দি.বো.'২২, সি.বো.'১৯]

উত্তর: চালতা ফুল শিশিরের জলে ভিজবে।

০৬। জীবনানন্দ দাশ পেশায় কী ছিলেন?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশ পেশায় অধ্যাপক ছিলেন।

০৭। জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কী?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কুসুমকুমারী দাশ।

০৮। কবি না থাকলেও প্রকৃতি তার কী নিয়ে মানুষের স্বপ্ন-সাধ-কল্পনাকে তৃপ্ত করে যাবে?

উত্তর: কবি না থাকলেও প্রকৃতি তার অফুরন্ত ঐশ্বর্য নিয়ে মানুষের স্বপ্ন-সাধ-কল্পনাকে তৃপ্ত করে যাবে।

০৯। জীবনানন্দ দাশ কোন সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন?

 উত্তর: জীবনানন্দ দাশ ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রি লাভকরেন।

১০। 'সেই দিন এই মাঠ' কবিতাটি কোন কাব্য থেকে সংকলিত হয়েছে?

উত্তর: 'সেই দিন এই মাঠ' কবিতাটি রূপসী বাংলা কাব্য থেকে সংকলিত হয়েছে।

প্রশ্ন ১১। লক্ষ্মীপেঁচার কণ্ঠে কী ধ্বনিত হয়? [দি. বো. '২৩]

 উত্তর: লক্ষ্মীপেঁচার কণ্ঠে মঙ্গলবার্তা ধ্বনিত হয়।

১২। খেয়া নৌকাগুলো কোথায় এসে লেগেছে? [রা. বো. '২৩; য. বো. '২৩; কু. বো. '২২]

উত্তর: খেয়া নৌকাগুলো এসে চরের খুব কাছে লেগেছে।

১৩। পৃথিবীর কোন সভ্যতাটি ধুলো হয়ে গেছে? [য. বো. '২২]

উত্তর: পৃথিবীর 'এশিরিয়া' সভ্যতাটি ধুলো হয়ে গেছে।

১৪। চালতা ফুল কিসের জলে ভিজবে? [সি. বো. '১৯]

উত্তর: চালতা ফুল শিশিরের জলে ভিজবে।

১৫। জীবনানন্দ দাশের কবিতার মৌলিক প্রেরণা কী?[ব. বো. '২২]

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের কবিতার মৌলিক প্রেরণা হলো প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য।

১৬। 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতাটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? [মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, টাঙ্গাইল]

উত্তর: 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতাটি 'রূপসী বাংলা' গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

১৭। কবি জীবনানন্দ দাশের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ কী রকম?

উত্তর: কবি জীবনানন্দ দাশের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ এক অনন্য রূপসী।

১৮। লক্ষ্মীপেঁচা কীসের প্রতীক? [সিলেট ক্যাডেট কলেজ]

উত্তর: লক্ষ্মীপেঁচা মঙ্গলের প্রতীক।

১৯। কী ছাই হয়ে গেছে? [বরিশাল ক্যাডেট কলেজ]

উত্তর: বেবিলন ছাই হয়ে আছে।

২০। রূপসী বাংলার কবি বলা হয় কাকে? [ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ]

উত্তর: জীবনানন্দ দাশকে রূপসী বাংলার কবি বলা হয় ?

২১। 'কুসুমকুমারী দাশ' কেমন কবি ছিলেন? [আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ঢাকা]

উত্তর: কুসুমকুমারী দাশ স্বভাবকবি ছিলেন।

অনুধাবনমূলক

০১। 'সোনার স্বপ্নের সাধ' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?[ঢা.বো.'২৩]

উত্তর: 'সোনার স্বপ্নের সাধ' বলতে কবি মানুষের আশা, আকাঙক্ষা ও কল্পনার কথা বলেছেন।

মানুষ মরণশীল। তাকে একসময় মৃত্যুবরণ করতে হয়। কিন্তু পৃথিবীতে থেকে যায় তার স্বপ্ন-সাধ-কল্পনা। এসবের ধারাবাহিকতা জীবিতদের মাধ্যমে বয়ে চলে যুগ থেকে যুগান্তরে। প্রকৃতি তার অবিনাশী শক্তির দ্বারা মানুষের সেই স্বপ্ন-সাধ-কল্পনাকে তৃপ্ত করে। সোনার স্বপ্নের সাধ দ্বারা কবি এইসব কল্পনাকে বুঝিয়েছেন।

০২। "সেইদিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো জানি।" চরণটিতে কী বোঝানো হয়েছে? [রা.বো.'২৩, ব. বো.'১৯]

উত্তর: 'সেইদিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো', কেননা বিচিত্র বিবর্তনের মধ্যেও প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধ কখনই হারিয়ে ফেলবে না।

প্রকৃতি তার অফুরন্ত ঐশ্বর্য নিয়ে চিরবহমান রয়েছে। সভ্যতা একদিন ধ্বংস হবে, কিন্তু প্রকৃতির চিরন্তনতার সত্যে চলবে তার পুনর্নির্মাণ। মাঠে থাকবে চঞ্চলতা, চালতাফুলে পড়বে শীতের শিশির, লক্ষ্মীপেঁচার কণ্ঠে ধ্বনিত হবে মঙ্গলবার্তা। প্রকৃতির এই চিরন্তনতাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটির অন্তর্নিহিত অর্থ।

০৩। "এশিরিয়া ধুলো আজ বেবিলন ছাই হয়ে আছে"- কেন?[য.বো.'২৩; কু.বো.'২২]

উত্তর: এশিরিয়া ধুলো আজ বেবিলন ছাই হয়ে আছে কারণ মানুষের গড়া পৃথিবীর অনেক সভ্যতা বিলীন হয়ে গেছে। এশিরিয়া ও ব্যাবিলনীয় সভ্যতা এখন ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছু না। কিন্তু প্রকৃতি তার আপন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে চিরকাল প্রাণময় থাকে। প্রকৃতির মধ্যে বিচিত্র গন্ধের আস্বাদ মৃদুমন্দ কোলাহলের আনন্দ, তার অন্তর্গত অফুরন্ত সৌন্দর্য কখনোই শেষ হয় না। কবিতাটিতে জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির এই চিরকালীন সৌন্দর্যকে বিস্ময়কর নিপুণতায় উপস্থাপন করেছেন।

০৪। 'পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? [ব.বো. ২২, সি.বো. ১৯]

উত্তর: প্রশ্নোক্ত উক্তিটিতে কবি মূলত প্রকৃতির শাশ্বত রূপকে মূর্ত করে তুলেছেন।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি মানুষের মরণশীলতার পাশাপাশি দেখিয়েছেন প্রকৃতির নিত্যতা। কবি মনে করেন, জীবন বা প্রকৃতির সৌন্দর্যের গল্পই পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকে। ব্যক্তি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। মানুষের গড়া সভ্যতাও বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু প্রকৃতি তার চিরন্তন সৌন্দর্য নিয়ে চিরকাল মানুষের স্বপ্ন ও সাধকে পূরণ করে যায়। প্রশ্নোক্ত চরণ দ্বারা কবির এ ভাবনাই প্রকাশ পেয়েছে।

০৫। 'বেবিলন ছাই হয়ে গেছে'- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?[কু.বো.'২২]

উত্তর: প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা মানুষের গড়া সভ্যতার ধ্বংস হওয়ার চিরন্তনতা প্রকাশ পেয়েছে।

মানুষ মরণশীল, একদিন তার মৃত্যু হবেই। এই পরিণতি বরণ করে নেবে মানুষের গড়া সভ্যতাও। এক সময়কার বিখ্যাত সভ্যতা এশিরিয়া ও বেবিলন আজ ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই নয়। অথচ একদিন এই সভ্যতাগুলো মানুষের পদচারণায় ছিল মুখর। এই চিরন্তন সত্যই প্রশ্নোক্ত চরণের তাৎপর্য। প্রবাহমানতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।পৃথিবীতে কেউ চিরস্থায়ী নয়। প্রত্যেক মানুষকেই এক সময় চলে যেতে হবে। কিন্তু প্রকৃতির প্রবাহমানতা চিরন্তন। এই শাশ্বত প্রকৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ লক্ষ্মীপেঁচার মমত্বের অনুভাবনা। লক্ষ্মীপেঁচা তার লক্ষ্মীর তরে গান গাইবে, মঙ্গল প্রদান করবে এই প্রকৃতির সহজাত নিয়ম। জীবন থেমে গেলেও পৃথিবীর এই বহমানতা কখনো থেমে থাকবে না।

সৃজনশীল

বইয়ের সৃজনশীল প্রশ্ন:

প্রশ্ন ১: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথাসাহিত্যে প্রকৃতিকে একটি জীবন্ত চরিত্র হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে 'পথের পাঁচালী' ও 'আরণ্যক' উপন্যাসে প্রকৃতি চিরকালের নবীনরূপে আবির্ভূত হয়েছে। অপু, দুর্গা এবং আরও অনেকে সেই চিরন্তন' প্রকৃতির সন্তান। এরা যায়-আসে- থাকে না। কিন্তু প্রকৃতি চিরকালই নানা রূপ-রস-গন্ধ-বর্ণে বিরাজমান থাকে।

ক. কী ছাই হয়ে গেছে?

খ. 'পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের প্রকৃতি জানার সঙ্গে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিক ব্যাখ্যা কর।।

ঘ. কবিতায় উল্লিখিত সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. বেবিলন ছাই হয়ে গেছে।

খ. 'পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল' বলতে কবি মানবজীবন অবিনশ্বর প্রকৃতির প্রবাহ চেতনাকে বুঝিয়েছেন।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি প্রকৃতির চিরকালীন সৌন্দর্যের এবং মানুষের স্বপ্নের অমরত্বের দিকটি তুলে ধরেছেন। বিচিত্রভাবে বিবর্তনের মধ্যেও রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে প্রকৃতি টিকে থাকবে। জাগতিক নিয়মে নম্বর মানবজীবনস্রোত চলে অবিনশ্বর প্রকৃতির বিপরীতে। মানুষের সাধারণ মৃত্যু রহিত করতে পারে না পৃথিবীর বহমানতা। এই বহমানতা এবং মানুষের স্বপ্ন দেখার গল্প চিরকাল বেঁচে থাকবে। এখানে সেই প্রসঙ্গেই কবি এ কথা বলেছেন।

গ. উদ্দীপকের প্রকৃতি জানার সঙ্গে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার প্রকৃতির বর্ণনা সাদৃশ্যপূর্ণ।

পৃথিবীতে কেউই চিরস্থায়ী নয়। মানুষের গড়া পৃথিবীর অনেক সভ্যতাই আজ বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকৃতি তার বিচিত্র বিবর্তনের মধ্যেও রূপ, রস, গন্ধ নিয়ে অম্লান। প্রকৃতির এ বহমানতা চিরকালীন।

উদ্দীপকে অবিনশ্বর প্রকৃতির কথা বলা হয়েছে। প্রকৃতি চিরকালই নতুন, অভিনব। মানুষের গড়া সভ্যতা হারিয়ে গেলেও প্রকৃতি টিকে থাকে। বিখ্যাত কথাশিল্পীরা তাঁদের লেখায় প্রকৃতিকে যে অমর-অক্ষয়ভাবে উপস্থাপন করেন তা নিছক কল্পনা নয়। কারণ প্রকৃতি চিরকালই শাশ্বত, অম্লান, অক্ষয়। 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় বর্ণিত হয়েছে- যুগ-যুগান্তর ধরে চলে আসা-যাওয়ার খেলা, প্রকৃতির স্নেহধন্য মানুষের হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা চির ভাস্কর করে রাখে প্রকৃতি। প্রকৃতি নিজে অক্ষয় ও অমলিন বলেই তা সম্ভব হয়। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষ মিশে গিয়ে যে স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্নেরও মৃত্যু নেই। মানুষ চলে যায় কিন্তু তার স্বপ্ন বেঁচে থাকে। তাই উদ্দীপকের জানা প্রকৃতি ও কবিতার জানা প্রকৃতি পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. কবিতায় উল্লিখিত সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্কটি অত্যন্ত নিবিড়। উভয় ক্ষেত্রেই প্রকৃতির অমর-অক্ষয় রূপটি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। মানুষের বিভিন্ন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে নানাভাবে পৃথিবীর বুকে সভ্যতা গড়ে তুলেছে। প্রকৃতির আঘাতে বা কালের গর্ভে সেই সভ্যতা আবার কখনো কখনো ম্লানও হয়েছে। কিন্তু তাতে তাদের সভ্যতার নির্মাণকাজ থেমে থাকেনি, থেমে থাকেনি প্রকৃতির বহমানতা। ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে টিকে আছে প্রকৃতি। আর প্রকৃতির রূপমুগ্ধ হয়ে বেঁচে আছে মানুষের স্বপ্ন।

উদ্দীপকে প্রকৃতির চিরকাল প্রাণময় হয়ে বিরাজমান থাকার বিষয়টি প্রতিফলিত। প্রকৃতির এই চিরকালীন সৌন্দর্য ফুরিয়ে যাওয়ার নয়। উদ্দীপকের এই বোধের সঙ্গে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় বর্ণিত অফুরন্ত সৌন্দর্যবোধ সাদৃশ্যপূর্ণ। সভ্যতা বিবর্তনের সঙ্গে এ সৌন্দর্যের পরিবর্তন হয় না। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কেবল রূপ বদলায়, ধ্বংস হয় না। উদ্দীপকে অপু, দুর্গা প্রকৃতির শাশ্বত সন্তান হয়ে উঠলেও তাদের যেমন আসা-যাওয়া আছে, তেমনই কবিতায়ও মানুষের তৈরি বা গড়া সভ্যতার বিলীন বা ধ্বংস লক্ষ করা যায়। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রে প্রকৃতি চির অমর, অবিনশ্বর।

উদ্দীপক ও কবিতায় প্রকৃতির অমরত্বের দিকটি ফুটে উঠেছে।

কবিতায় প্রকৃতির চিরকালের ব্যস্ততা, মাঠের চঞ্চলতা, চালতাফুলে পড়ে থাকা শীতের শিশিরবিন্দু, লক্ষ্মীপেঁচার মঙ্গলধ্বনি প্রভৃতি অমরত্বের প্রতীক। উদ্দীপকে এই বিষয়টিই প্রকৃতির নানা রূপ-রসে, গন্ধ-বর্ণে বিরাজমান থাকার সঙ্গে সম্পর্কিত। কাজেই সভ্যতার বিবর্তনে প্রকৃতির যে পরিবর্তন নেই সেই সত্যটি উদ্দীপক ও কবিতায় সমানভাবে ধরা পড়ে।

অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন;

প্রশ্ন ১। মনে হয় একদিন আকাশের শুকতারা দেখিব না আর; দেখিব না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে এক ঝাড় জোনাকি কখন

নিভে যায়; দেখিব না আর আমি এই পরিচিত বাঁশবন, শুকনো বাঁশের পাতা ছাওয়া মাটি হয়ে যাবে গভীর আঁধার

আমার চোখের কাছে; লক্ষ্মীপূর্ণিমার রাতে সে কবে আবার।

ক. লক্ষ্মীপেঁচার কণ্ঠে কী ধ্বনিত হয়?

খ. 'সোনার স্বপ্নের সাধ' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার মৌলিক প্রেরণা উদ্দীপকের চিত্রকল্পে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা কর।

ঘ. উদ্দীপক ও 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতা- উভয় ক্ষেত্রেই কবির জীবনতৃষ্ণাকে অভিন্ন বলা যায় কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. লক্ষ্মীপেঁচার কণ্ঠে মঙ্গলবার্তা ধ্বনিত হয়।

খ. সোনার স্বপ্নের সাধ বলতে কবি জগতের সৌন্দর্যের মতো মানুষের স্বপ্নের বেঁচে থাকাকে বুঝিয়েছেন।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি বলেছেন যে, বিচিত্র বিবর্তনের মধ্যেও প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধ কখনই হারিয়ে ফেলবে না। তিনি যখন থাকবেন না তখনও প্রকৃতি তার অফুরন্ত ঐশ্বর্য নিয়ে মানুষের স্বপ্ন, সাধ ও কল্পনাকে তৃপ্ত করে যাবে। কারণ পৃথিবীতে মানবকল্যাণের বাণী বা কল্যাণকর্ম কোনোকিছুই বিলীন হয় না। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শুধু ব্যক্তি

হারিয়ে যায়। তাতে প্রকৃতির স্বাভাবিকতার কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। কবি মনে করেন পৃথিবীর সবকিছুই তার নিয়মে স্বাভাবিকভাবেই চলবে।

গ. 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার মৌলিক প্রেরণা উদ্দীপকের চিত্রকল্পে প্রকৃতির চিরকালীন সৌন্দর্য চেতনাগতভাবে ফুটে উঠেছে।

প্রকৃতির সৌন্দর্যচেতনা চির প্রবহমান। মানুষের স্বপ্নও প্রকৃতির সঙ্গে চির প্রবহমান। মানুষ ও মানুষের তৈরি সভ্যতা ধ্বংস হলেও মানুষের কীর্তি থেকে যায়। উদ্দীপকে প্রকৃতির চিরন্তনতার যে পরিচয় পাওয়া যায়, তা 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় প্রতিফলিত সৌন্দর্যচেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কবিতায় কবি একদিকে ধ্বংস অন্যদিকে প্রকৃতির বিনির্মাণের কথা বলেছেন। মানুষ এবং তার তৈরি বস্তু ধ্বংস হয়ে যাবে। আর প্রকৃতির সৌন্দর্যের ধ্বংস বা বিনাশ নেই। প্রকৃতি তার অফুরন্ত সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্য দিয়ে মানুষের স্বপ্ন, সাধ ও কল্পনাকে তৃপ্ত করে যায়। প্রকৃতির এ দিকটি উদ্দীপকের কবিতাংশে প্রতিফলিত হয়েছে। উদ্দীপকের কবি হারিয়ে গেলে আকাশের শুকতারা, প্রকৃতির কোনো সৌন্দর্য আর দেখবেন না। অথচ সেগুলো অবিকল থেকে যাবে। এই চেতনা 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার প্রকৃতির চিরকালীন চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. উদ্দীপক ও 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতা- উভয় ক্ষেত্রেই কবির জীবনতৃষ্ণাকে পুরোপুরি এক বা অভিন্ন বলা যায় না।

পৃথিবীতে মানুষ ও মানুষের তৈরি সভ্যতা চিরস্থায়ী নয়। মানুষ যেমন মৃত্যুবরণ করে তেমনই মানুষের তৈরি সভ্যতাও বিলীন হয়ে যায়।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় প্রকৃতির চিরকালীন সৌন্দর্যের মধ্যে সভ্যতার ধ্বংস ও বিনির্মাণের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। মানুষ এবং মানুষের তৈরি সভ্যতা নশ্বর হলেও প্রকৃতি অবিনশ্বর। এই চেতনার সঙ্গে উদ্দীপকের চেতনাগত মিল থাকলেও কবিতায় কবি মানুষের স্বপ্নের-অবিনশ্বরতার যে কথা বলেছেন তা উদ্দীপকে নেই। এ কবিতায় কবি রূপ-রস-গন্ধ-বর্ণ নিয়ে প্রকৃতির টিকে থাকার সঙ্গে মানুষের স্বপ্নের টিকে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ধরনের বিষয় প্রসঙ্গে কোনো কথা উদ্দীপকে নেই। উদ্দীপকে যে বিষয় অনুষঙ্গ ও চিত্রকল্প প্রকাশ পেয়েছে তা 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার মূলভাবকে পুরোপুরি ধারণ করে না।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার মূল বক্তব্য হচ্ছে- এ পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যু আছে, প্রকৃতির সৌন্দর্যের মৃত্যু নেই। সেই সঙ্গে মানুষের স্বপ্নও অমর। এ কবিতায় কবি প্রকৃতির চিরকালের যে ব্যস্ততার কথা বলেছেন তা উদ্দীপকের প্রকৃতি চেতনায় অভিন্নভাবে প্রকাশ পায়নি। আবার মানুষের স্বপ্ন টিকে থাকার যে কথা কবি বলেছেন তা উদ্দীপকে নেই। এ দিক বিচারে তাই উদ্দীপক ও কবিতার বিষয়কে অভিন্ন বলা যায় না।

 

প্রশ্ন ২। [রাজশাহী বোর্ড ২০২৩]

অংশ-১: মানুষ ক্ষণিক জীবনের তরে

নতুন স্বপ্নগুলো করছে বপন পরাজিত হয়েও জীবন যুদ্ধে গড়ছে আপন ভুবন।

অংশ-২: শুধু হেথা দুই তীরে, কেবা জানে নাম দোঁহা পানে চেয়ে আছে দুই খানি গ্রাম। এই খেয়া চিরদিন চলে নদী স্রোতে-কেহ যায় ঘরে, কেহ আসে ঘর হতে।

ক. খেয়া নৌকাগুলো কোথায় এসে লেগেছে?

খ. "সেই দিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো জানি।" চরণটিতে কি বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের ১নং অংশে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. "উদ্দীপকের ২নং অংশে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় বর্ণিত প্রকৃতির চিরন্তনতার কথা উঠে এসেছে।"- বিশ্লেষণ কর।

২নং প্রশ্নের উত্তর

 

ক. খেয়া নৌকাগুলো এসে চরের খুব কাছে লেগেছে।

খ. "সেই দিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো জানি।" চরণটিতে প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ অবিকল থাকার বিষয়কে বোঝানো হয়েছে।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি প্রকৃতির চিরকালীন সৌন্দর্যের এবং মানুষের স্বপ্নের অমরত্বের দিকটি তুলে ধরেছেন। কবি জানেন বিচিত্রভাবে বিবর্তনের মধ্যেও প্রকৃতি আপন বৈশিষ্ট্য নিয়ে সমুজ্জ্বল থাকে। আর মানুষের মৃত্যুতে প্রকৃতি জগতের কোনো পরিবর্তন হয় না। কারণ মানুষের সাধারণ মৃত্যু পৃথিবীর বহমানতায় কোনো প্রভাব 'ফেলে না। প্রকৃতি তার আপন ছন্দেই চলতে থাকে। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কেবল মানুষ হারিয়ে যায়.

গ. উদ্দীপকের ১নং অংশে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনে অন্তর্নিহিত স্বপ্ন বিনির্মাণের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।

মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী হলেও মানুষের স্বপ্ন ক্ষণস্থায়ী নয়। মানুষের মতো পৃথিবীতে সভ্যতারও পতন হয়। তবে স্বপ্ন বেঁচে থাকে।

উদ্দীপকে মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনের কথা বলা হয়েছে। মানুষ ক্ষণিকের জীবনে তবুও স্বপ্নের বীজ বপন করে মানুষ পরাজিত হলেও তার স্বপ্ন পরাজিত হয় না। সেখানে তার আপন ভুবন নির্মিত হয়। অন্যদিকে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় মানুষের বহমান জীবনের কথা হয়েছে। মানুষের মৃত্যু হলেও প্রকৃতি আপন বেগে চলতে থাকার কথা বলা হয়েছে। সভ্যতার ক্ষয় হলেও পৃথিবীতে মানুষের সোনার স্বপ্নের সমাপ্তি ঘটবে না। শুধু ব্যক্তিমানুষের মৃত্যু ঘটবে, যা উদ্দীপকের মৃত্যুচেতনাকে রূপক অর্থে চিত্রিত করে। এভাবে উদ্দীপকের ১নং অংশে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনে অন্তর্নিহিত স্বপ্ন বিনির্মাণের দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।

ঘ. "উদ্দীপকের ২নং অংশে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় বর্ণিত প্রকৃতির চিরন্তনতার কথা উঠে এসেছে।- মন্তব্যটি যথার্থ।

মানবজীবন ক্ষণস্থায়ী। প্রকৃতি চিরস্থায়ী চির বহমান। প্রকৃতি ও প্রকৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ পৃথিবীতে টিকে থাকে চিরকাল।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি মানবজীবন, মানবসৃষ্ট সভ্যতা ও প্রকৃতির কথা বলেছেন। কবি বলেছেন মানুষ মরণশীল। প্রকৃতির সৌন্দর্য চিরন্তন। সে তার আপন গতিতে প্রবহমান। কবি মৃত্যুবরণ করলেও প্রকৃতিতে তার স্বাভাবিক ব্যস্ততা থাকবে। প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধ বিলিয়ে যাবে আপন নিয়মে। মানবসৃষ্ট সভ্যতা ধ্বংস হবে, কিন্তু প্রকৃতি চির প্রবহমান।

কবিতার এই মূলভাবটিই উদ্দীপকের ২নং অংশে প্রকাশিত হয়েছে। উদ্দীপকের ২নং অংশে কবি প্রকৃতির মমতা ঘেরা দুটি গ্রামের চিরন্তন প্রবহমান জীবনচিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। নদীর স্রোতে জীবনের খেয়া চিরদিন একই নিয়মে চলে। প্রকৃতি তার চির চলমানতা ধরে।

উদ্দীপক ও 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতা উভয় জায়গায় প্রকাশ পায় মানবজীবনের ক্ষণস্থায়ী দিক ও প্রকৃতির চির প্রবহমানতা এবং মানুষের মৃত্যু প্রকৃতির চলমানতায় যে কোনো বাধা সৃষ্টি করে না সেই কথা। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের ২নং অংশে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় বর্ণিত প্রকৃতির চিরন্তনতার কথা উঠে এসেছে।

প্রশ্ন ৩ । কাল যে ছিল আজ সে নাই;

আজও যে ছিল, তাহারো ঐ নম্বর দেহ ধীরে ধীরে ভস্মসাৎ হইতেছে, আর তাহাকে চেনাই যায় না, অথচ এই দেহটাকে আশ্রয় করিয়া কত আশা, কত আকাঙ্ক্ষা, কত ভয়, কত

ভাবনাই না ছিল। কোথায় গেল? এক নিমিষে কোথায় অন্তর্হিত হইল? তবে তার দাম? মরিতেই বা কতক্ষণ লাগে?

[যশোর বোর্ড ২০২৩ ]

ক. খেয়ানৌকাগুলো কোথায় এসে লেগেছে?

খ. "এশিরিয়া ধূলো আজ বেবিলন ছাই হয়ে আছে- কেন?

 গ. উদ্দীপকে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তার সাথে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ পেয়েছে কি? তোমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও।

 

৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক. খেয়ানৌকাগুলো চরের খুব কাছে এসে লেগেছে।

খ. "এশিরিয়া ধূলো আজ বেবিলন ছাই হয়ে আছে"- কারণ মনুষ্যসৃষ্ট সবকিছু এক সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি বলেছেন, মানুষের গড়া পৃথিবীর অনেক সভ্যতা বিলীন হয়ে গেছে। এশিরীয় ও

বেবিলনীয় সভ্যতা এখন ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই নয়। অথচ প্রকৃতির ধ্বংস নেই, প্রকৃতি নিজ রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে চিরকাল প্রাণময়। প্রকৃতির অফুরন্ত সৌন্দর্য কখনই শেষ হয় না। তাই এশিরিয়া ও বেবিলনের সভ্যতা ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করে মানবসৃষ্ট সভ্যতার নিশ্চিত ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।

গ. উদ্দীপকে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তার সাথে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার মরণশীল ব্যক্তিমানুষের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণা। পৃথিবীতে মানুষ মরণশীল। মানুষকে কালের হাত ধরে হারিয়ে যেতে হয়। প্রকৃতি হারায় না। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের স্বপ্ন ও বেঁচে থাকে। তবে মানুষের তৈরি সভ্যতা টিকে থাকে না, সভ্যতা একদিন কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। উদ্দীপকে অবিনশ্বর প্রকৃতিতে নশ্বর মানুষের হারিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ব্যক্তিমানুষ জন্মের পর থেকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হয়। এ চলার পথে তারা আশা করে, স্বপ্ন দেখে, ভাবে, ভয় পায়। আর এগুলোর মধ্য দিয়ে জীবনের সময় পার করে কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। উদ্দীপকের মানুষের এই হারিয়ে যাওয়ার দিকটি 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার মরণশীল ব্যক্তিমানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কবিতায় কবি বলেছেন যে, ব্যক্তিমানুষ তার অনিবার্য মৃত্যুকে এড়াতে পারে না।

উদ্দীপকেও মৃত্যু যে কোনোভাবেই যে এড়ানো সম্ভব নয় সেই ভাবনাই প্রকাশ পেয়েছে। এ বিষয়টি উদ্দীপক ও 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. আমার মতে উদ্দীপকে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ পায়নি।

পৃথিবীতে প্রকৃতি তার আপন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে চির প্রবহমান। প্রকৃতির সৌন্দর্য কখনো শেষ হয় না। অফুরন্ত সৌন্দর্য নিয়ে প্রকৃতি মানুষের মাঝে টিকে থাকে।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং প্রকৃতির চিরকালীন অমলিন থাকার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনের অবসান হলেও মানুষের স্বপ্ন মরে না। মানুষের স্বপ্ন প্রকৃতির চির বহমানতার সঙ্গে লীন হয়ে থাকে। উদ্দীপকে মানুষের নশ্বর জীবনের অবসান সম্পর্কে বলা হয়েছে, মানুষের স্বপ্নের টিকে থাকার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। উদ্দীপকে মানুষের তৈরি সভ্যতার নির্মাণ ও ধ্বংসের বিষয়েও কিছুই বলা হয়নি। 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় মানুষের তৈরি সভ্যতার ধ্বংসের কথা রয়েছে। এখানে এশিরিয়া ধুলো হওয়া এবং বেবিলন ছাই হয়ে থাকার উল্লেখ রয়েছে। এরূপ বিষয়ও উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি মানুষের জীবন যে চিরস্থায়ী নয় তা নির্দেশ করেছেন। প্রত্যেক মানুষকেই একসময় চলে যেতে হয়। এ বিষয়টির সঙ্গে উদ্দীপকের বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কবিতায় প্রতিফলিত মৃত্যুচেতনার ভাবটিই কেবল উদ্দীপকে লক্ষ করা যায়। এছাড়া এ কবিতার অন্যান্য বিষয় উদ্দীপকে নেই তাই আমি মনে করি উদ্দীপকের 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ পায়নি।

প্রশ্ন ৪। [যশোর বোর্ড ২০২২]

উদ্দীপক-১:যখন মৃত্যু ঘুমে শুয়ে রবো- অন্ধকারে নক্ষত্রের নিচে কাঁঠাল গাছের তলে হয়তো বা ধলেশ্বরী চিলাইয়ের পাশে দিনমান কোনো মুখ হয়তো সে শ্মশানের কাছে নাহি আসে তবুও কাঁঠাল জাম বাংলার তাহাদের ছায়া যে পড়িখে আমার বুকের 'পরে- আমার মুখের 'পরে নীরবে ঝরিছে নিবিড় হয়েছে তাই আমার চিতার ছাইয়ে বাংলার ঘাস।

উদ্দীপক-২: আমার দেশের মাটিতে আমার প্রাণ

নিতি লভে নব জীবনের সন্ধান এখানে প্লাবনে নুহের কিশতি ভাসে শান্তি কপোত বারতা লইয়া আসে জেগেছে নতুন চর

সেই চরে ফের মানুষেরা সব পাশাপাশি বাঁধে ঘর।

ক. পৃথিবীর কোন সভ্যতাটি ধুলো হয়ে গেছে?

খ. "সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে'- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. দৃশ্যপট-১ এর সাথে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার সাদৃশ্যগত দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. দৃশ্যপট-২ এ ধ্বংসের পর মানুষের নবজীবনের পদচারণা 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে?

বিশ্লেষণ কর।

৪নং প্রশ্নের উত্তর

ক নং প্রশ্নের উত্তর  

পৃথিবীর 'এশিরিয়া' সভ্যতাটি ধূলো হয়ে গেছে।

খ নং প্রশ্নের উত্তর  

উল্লিখিত চরণটি দিয়ে কবি বুঝিয়েছেন যে, বিচিত্র বিবর্তনের মধ্যেও প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধ কখনই হারিয়ে ফেলে না। কবি মনে করেন তিনি যখন থাকবেন না তখনও প্রকৃতি তার অফুরন্ত ঐশ্বর্য নিয়ে মানুষের স্বপ্ন, সাধ ও কল্পনাকে তৃপ্ত করে যাবে। পৃথিবীতে মানবকল্যাণের বাণী বা কল্যাণকর্ম কোনোকিছুই বিলীন হয় না। শুধু ব্যক্তি হারিয়ে যায়। কারও মৃত্যুতেই পৃথিবীর গতিময়তা ও প্রকৃতির স্বাভাবিকতায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। কবি মনে করেন তিনি না থাকলে লক্ষ্মীপেঁচার গান বন্ধ হবে না। পৃথিবীর সবকিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।

গ নং প্রশ্নের উত্তর  

দৃশ্যপট-১ এর সঙ্গে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার সাদৃশ্যগত দিকটি হলো প্রকৃতির চিরকালীন সৌন্দর্যের দিক। আপন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে প্রকৃতি চির প্রবহমান। প্রকৃতির সৌন্দর্য কখনো শেষ হয় না। প্রকৃতির সঙ্গে একাকার হয়ে মিশে থাকে। প্রকৃতিতে বিরাজমান বিচিত্র গন্ধ-বর্ণের স্পর্শ মানুষকে সজীব ও সতেজ করে। প্রকৃতির এ বহমানতা চিরকালীন।

উদ্দীপকের দৃশ্যপট-১ এ প্রকৃতির চির বহমানতা ও এর সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়েছে। এখানে কবি প্রকৃতির সৌন্দর্য চেতনায় লীন হয়ে থাকার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁর স্বদেশ প্রকৃতির চিরচেনা নক্ষত্রের রাত, কাঁঠাল গাছের ছায়া, ধলেশ্বরী, চিলাই নদীর সৌন্দর্য অবলোকন করেন। মৃত্যুর পরও তা অবিকল রয়ে যাবে, সৌন্দর্য ছড়াবে। কবির কাছে চিতার ছাই বাংলার সবুজ ঘাসের মতো মনে হয় স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অনুরাগের কারণে।

উদ্দীপকের দৃশ্যপট-১ এর এই চেতনা 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার প্রকৃতির চিরকালীন সৌন্দর্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিতায় কবিও প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ বর্ণের অমলিনতার কথা বলেছেন। কবি এখানে প্রকৃতির সৌন্দর্যের অমরত্বের দিকটি তুলে ধরেছেন। বিচিত্রভাবে বিবর্তনের মধ্যে আপন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে প্রকৃতি টিকে থাকে। পৃথিবীতে মানুষ এবং মানুষের সৃষ্টির ধ্বংস আছে। প্রকৃতির সৌন্দর্যের ধ্বংস নেই। এই চেতনা উদ্দীপকের দৃশ্যপট-১ যথাযথভাবে ধারণ করেছে।

ঘ নং প্রশ্নের উত্তর  

দৃশ্যপট-২ এ ধ্বংসের পর মানুষের নবজীবনের পদচারণা 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় প্রকৃতির চিরকালীন সৌন্দর্যের সঙ্গে মানুষের স্বপ্নের অবিনশ্বরতার বিষয় ভাবনার প্রতিফলিত হয়েছে।

পৃথিবীতে মানুষ ও মানুষের তৈরি সভ্যতা নম্বর। মানুষের তৈরি কোনো কিছুই অবিনশ্বর হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে প্রকৃতি

অবিনশ্বর, প্রকৃতি টিকে থাকে চিরকাল। প্রকৃতির সঙ্গে টিকে থাকে মানুষের স্বপ্ন। স্বপ্নের মৃত্যু নেই। প্রকৃতির অবিনশ্বরতার সঙ্গে মানুষের স্বপ্ন ও স্বপ্নের গল্প মিলেমিশে অবিনশ্বর হয়ে ওঠে।

উদ্দীপকের দৃশ্যপট-২ এ ধ্বংসের পর আবার মানুষের নবজাগরণ ঘটার কথা বলা হয়েছে। এখানে স্বদেশের মাটি, আলো, বাতাসে মিশে থাকা প্রাণের পুনর্জাগরণের দিকটি প্রতিফলিত হওয়ার বর্ণনা পাওয়া যায়। এখানে নুহের প্লাবনের চেতনা ধ্বংসের আর শান্তির কপোতের বারতা নিয়ে আসা নবজীবনের প্রত্যাশা পূরণের বিষয়। একদিকে ভাঙনে মানুষের অস্তিত্ব সংকট, অন্যদিকে নতুন চর জেগে ওঠায় মানুষের নবজীবনের জয়গান, নতুনভাবে বাঁচার অনুপ্রেরণা। উদ্দীপকের দৃশ্যপট-২ এর চেতনার সঙ্গে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার বিষয়গত চেতনার মিল লক্ষ করা যায়। আলোচ্য কবিতায় কবি মানুষের স্বপ্নের অবিনশ্বরতার কথা বলেছেন। তিনি যখন এই পৃথিবীতে থাকবেন না তখনও এখানকার প্রকৃতি তার অফুরন্ত ঐশ্বর্য নিয়ে মানুষের স্বপ্নসাধ ও কল্পনাকে তৃপ্ত করে যাবে। আর এর সঙ্গে মানুষের স্বপ্নও বেঁচে থাকবে। নব নব চেতনায় প্রতিফলিত হবে।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি বলেছেন যে জাগতিক নিয়মে অবিনশ্বর প্রকৃতির বিপরীতে নশ্বর মানবজীবনস্রোত। মানুষ মরে গেলেও প্রকৃতির প্রবহমানতা থামে না, কেবল ধারা বদলায় সময়ের ব্যবধানে। এই ধারা বদলানোর বিষয়টির সঙ্গে দৃশ্যপট-২ এর মূলভাব একসূত্রে গাঁথা। মানুষের স্বপ্নের প্রবহমানতা প্রকৃতির সঙ্গে এক হয়ে টিকে থাকে। এভাবে দৃশ্যপট-২ এ ধ্বংসের পর নবজীবনের পদচারণা, মানুষের স্বপ্নের অবিনশ্বরতার ধারায় প্রবহমান।

প্রশ্ন ৫। 

i. এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনই ঠিক রবে, সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে।

ii. সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা আশা তার একমাত্র ভেলা।

[কুমিল্লা বোর্ড ২০২২ ]

ক. নৌকাগুলো কোথায় এসে লেগেছে?

খ. 'বেবিলন ছাই হয়ে আছে'-বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপক (ii)-এ 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার যে দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. "উদ্দীপক (i)-এ 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার মূল বক্তব্যই যেন ফুটে উঠেছে"- মূল্যায়ন কর।

৫নং প্রশ্নের উত্তর

ক. নৌকাগুলো চরের খুব কাছে এসে লেগেছে।

খ. 'বেবিলন ছাই হয়ে আছে' বলতে মানবসৃষ্ট সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি বলেছেন, মানুষের গড়া পৃথিবীর অনেক সভ্যতা বিলীন হয়ে গেছে। বেবিলনীয় সভ্যতা

এখন ধবংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই নয়। এখনও মানুষ প্রতিনিয়ত গড়ে চলেছে বিভিন্ন স্থাপনা। এগুলোও এক সময় কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। অথচ প্রকৃতির ধ্বংস নেই। তাই বেবিলনের সভ্যতা ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করে মানবসৃষ্ট সভ্যতার নিশ্চিত ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।

গ. উদ্দীপক (ii)-এ 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার আশাবাদের দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে।

মানুষ পৃথিবীতে নশ্বর। কিন্তু মানুষের স্বপ্ন-আশা বেঁচে থাকে। প্রকৃতির অবিনশ্বরতার সঙ্গে মানুষের স্বপ্ন ও আশার গল্প মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

উদ্দীপক (ii)-এ মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন আশা- এ কথা বলা হয়েছে। এ সংসারে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিত্যদিনের বিষয়। জীবনের প্রতিকূল অবস্থায় আশাই মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়। 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায়ও কবি আশাবাদী মনোভাব প্রকাশ করেছেন। কবি বলেন তিনি যখন এই পৃথিবীতে থাকবেন না তখনও এখানকার প্রকৃতি তার অফুরন্ত 'ঐশ্বর্য নিয়ে মানুষের স্বপ্ন-সাধ ও কল্পনাকে তৃপ্ত করে যাবে। মূলত আশাই মানুষের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখে। উদ্দীপক (ii)-এ আলোচ্য কবিতার এ দিকটিই প্রতিফলিত হয়েছে।

ঘ. "উদ্দীপক (i)-এ 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার মূল বক্তব্যই যেন ফুটে উঠেছে"- মন্তব্যটি যথার্থ।

মৃত্যু এক অনিবার্য সত্য। পরিবর্তনশীলতার মধ্য দিয়ে কেবল

ব্যক্তিমানুষের অস্তিত্বই বিলীন হয়। কিন্তু প্রকৃতি থাকে চির যৌবনা। কারণ প্রকৃতি অবিনশ্বর।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি বলেন, প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য ও আনন্দের শেষ নেই। বিচিত্র বিবর্তনের মধ্যেও প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধ হারিয়ে ফেলে না। কবি জানেন তিনি যখন থাকবেন না, তখনও প্রকৃতি তার অফুরন্ত ঐশ্বর্য নিয়ে টিকে থাকবে। মৃত্যুতেই সব শেষ নয়, পৃথিবীর বহমানতা মানুষের সাধারণ মৃত্যু রহিত করতে পারে না। উদ্দীপক (i)-এ এই সত্য বিবৃত হয়েছে। এখানেও কবি অনিবার্য মৃত্যুর কথা বলেছেন। তাছাড়া তিনি বলেন পৃথিবীর সবকিছু যেমন আছে তেমনই রবে। শুধু এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে মানুষকে একদিন চলে যেতে হবে।

'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় বলা হয়েছে, মানুষ মরণশীল। একদিন মানুষ এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে। কিন্তু প্রকৃতিতে থাকবে চিরকালের ব্যস্ততা। জগতে মানুষের মৃত্যু রয়েছে, কিন্তু প্রকৃতি বা পৃথিবীর সৌন্দর্যের মৃত্যু নেই। কবিতার এই মূলভাব উদ্দীপক (i)-এও ফুটে উঠেছে। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রাকটিস

প্রশ্ন ১।

পরের জায়গা পরের জমি ঘর বানাইয়া আমি রই আমি তো সেই ঘরের মালিক নই।

ক. 'বেলা অবেলা কালবেলা' কার লেখা?

খ. এশিরিয়া ধুলো আজ- বেবিলন ছাই হয়ে আছে। কেন?

গ. সেদিনও দেখিবে স্বপ্ন- বাক্যটির সঙ্গে ঘরের মালিক না হবার সম্পর্ক দেখাও।

ঘ. জন্মিলে মরিতে হবে। কেন তবে এত আয়োজন? উদ্দীপক এবং 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতালোকে লেখা

প্রশ্ন ২। মুঘল সাম্রাজ্যের সম্রাট শাহজাহানের প্রভাব ও শৌর্যবীর্যের মহিমা ছিল সারা ভারতবর্ষ জুড়ে। তিনি স্ত্রী মমতাজকে ভালোবেসে তৈরি করেছিলেন তাজমহল। কালের বিবর্তনে সম্রাট শাহজাহান আর নেই। তাঁর সাম্রাজ্যও নেই। কিন্তু কালের সাক্ষী হিসেবে এখনও টিকে আছে তাঁর প্রেমের নিদর্শন তাজমহল। হয়তো একদিন বিখ্যাত স্থাপনাও ধ্বংস হয়ে যাবে।

ক. জীবনানন্দ দাশ কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?

খ. খেয়ানৌকাগুলো চরের কাছে লাগানোর বিষয়টি উল্লেখ করে কবিকী বোঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের সাথে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার সাদৃশ্যের দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. "উদ্দীপকে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার সম্পূর্ণ ভাব ফুটে ওঠেনি।"- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৩। হে সুনীল নভঃ অনন্ত অপার!

কত কাল আছ, কত কাল রবে অসীম বিস্তার! আনে ঊষা হদে নব প্রভাকর, ফুটায় সন্ধ্যায় কুসুম সুন্দর, প্রশান্ত হৃদয়ে লয়ে আসে নিশি নিশীথ রতন বিধু সুকুমার।

ক. 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় কবি কোন ফুলের কথা বলেছেন?

খ. 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় সৌন্দর্যের অমরত্বের দিকটি কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটিতে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? চিহ্নিত কর।

ঘ. "উদ্দীপকে বর্ণিত ভাব 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার সমধর্মী হলেও পুরোপুরি এক নয়।"- বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৪। চন্দ্র-সূর্যজ্বলে উঠবে, ফুল ফুটবে, সুবাস ছড়াবে, পাখি গাইবে, নদীর বহমান স্রোতধারা ছুটে যাবে সাগরের পানে, শুধু আমি রইব না এই পৃথিবীর পরে।

ক. জীবনানন্দ দাশ কত খ্রিষ্টাব্দে মারা যান?

খ. 'এই নদী নক্ষত্রের তলে' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকে 'সেইদিন এ মাঠ' কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. "উদ্দীপকটি 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার ভাবার্থের দর্পণ।" মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই কর।

প্রশ্ন ৫। কোথাও চলিয়া যাব একদিন- তারপর রাত্রির আকাশ অসংখ্য নক্ষত্র নিয়ে ঘুরে যাবে কতকাল জানিব না আমি; জানিব না কতকাল উঠানে ঝরিবে এই হলুদ বাদামী পাতাগুলো মাদারের-ডুমুরের-সোঁদাগন্ধ- বাংলার শ্বাস বুকে নিয়ে তাহাদের; জানিব না পরধূপী মধুরূপী ঘাস কতকাল প্রান্তরে ছড়ায়ে রবে-

ক. লক্ষ্মীপেঁচা কার জন্যে গান গাইবে?

খ. 'সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে।' ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতায় যে ভাবের প্রতিফলন আছে তা বর্ণনা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার সমগ্র ভাবকে প্রতিনিধিত্ব করে কি? তোমার মতামতের পক্ষে যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাও।

প্রশ্ন ৬। আমি চলে যাব একদিন

তাই বলে কি সকাল হবে না?

মাঠে সবুজ ধানগুলো

বাতাসে ঢেউ খেলবে না?

ভোরের আলোতে বিন্দু বিন্দু শিশিরগুলোকে

শিশিরে ভিজবে না সবুজ ঘাসগুলো,

 মনে হবে না মুক্তোর মতো?

ক. 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার কবি কে?

খ. 'সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে!'- ব্যাখ্যা কর।

গ. 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার কোন দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপক ও 'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার মূলভাব একই ধারায় উৎসারিত-বক্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।